শিরোনামঃ
সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ বিটিএ’র পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত পরিচালককে অভিনন্দন বিকাশ দেওয়ান ছিলেন একজন সফল এমডি জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ কক্সবাজার বঙ্গবন্ধু বীচ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বীচ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল শ্রমিক নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা সুচনাকে মেয়র হিসেবে গ্রহন করলেন ঢাকাস্থ কুমিল্লা মহানগর নাগরিক ফোরাম কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচের নতুন নাম ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন গ্রীস ফেরত অসুস্থ বেলায়েত হোসেনের পাশে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও ব্র্যাক

জঙ্গি ছিনতাইয়ে অংশ নেয় ১০-১২ জনঃ সিটিটিসি

#
news image

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের মুখে পিপার স্প্রে করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অংশ নিয়েছিল ১০-১২ জন। তাদের আশা ছিল জঙ্গি সদস্য আরাফাত ও সবুরসহ মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মইনুল হাসান শামীম, আবু সিদ্দিক সোহেলকে ছিনিয়ে নেওয়া হলেও সেটি সম্ভব হয়নি।

সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি সদস্যকে ছিনতাই অপরারেশনে নেতৃত্বদানকারী নাম আমরা জেনেছি। অপারেশনের বেশ কয়েকজন সহযোগীকেও শনাক্ত করা হয়েছে। অপারেশনের পরিকল্পনা কীভাবে হয়েছে তাও আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আপাতত তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করছি না।

আসাদুজ্জামান বলেন, অপরারেশনে যারা অংশগ্রহণ করেছে তারা সবাই আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার আস্কারি বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের সদস্য। নেতৃত্ব না দিলেও মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হক এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে আমরা শনাক্ত করেছি, কিন্তু নামটা আপাতত বলতে চাচ্ছি না।

জঙ্গি ছিনতাই অপারেশনে নেতৃত্বদানকারীসহ সবাইকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা কাজ করছি। এজন্য গণমাধ্যম ও দেশবাসীর সহযোগিতা আশা করেছেন সিটিটিসি প্রধান।

ডিএমপির অতিরিক্ত এ কমিশনার আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিষয়টি অনেক জটিল। ৯/১১’র ঘটনা কবে ঘটেছিল সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ওই ঘটনার এক যুগ পর কিন্তু ওসামা বিন লাদেনের অপারেশনটি সংঘঠিত হয়েছিল। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি আসামিকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত।

জঙ্গিদের আরও বড় কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা- জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান বলেন, অপারেশনে যারা ছিল তাদের গ্রেফতার করা গেলে বিষয়টি বলা সম্ভব। মনে হচ্ছে বড় পরিকল্পনা ছিল। তারা চারজনকে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দুজনকে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। যেহেতু চারজন করে আসামিকে আনা হচ্ছিল। প্রথমে যে চারজনকে আনা হয়েছিল তাদেরকেই ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়।

যে আসামিদের আদালতে হাজিরার জন্য আনা হয়েছিল তারা সবাই আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখা অর্থাৎ আস্কারি বিভাগের সদস্য ছিলেন। তাদের সবাইকে সিটিটিসি ২০১৬ সালে গ্রেফতার করেছিল। ফলে অনেকগুলো ঘটনা ও হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছিল।

পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা প্রত্যেকটি পয়েন্টে সতর্ক করে দিয়েছি। তারা যাতে সীমান্ত পাড়ি দিতে না পারে; কোনোভাবে যাতে বের হতে না পারে- সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রধান একটি ঘোষণা দিয়েছেন, ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।

এ ছিনতাইয়ের মাধ্যমে জঙ্গিরা নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে কিনা? বা অপারেশনে নতুন জঙ্গি সংগঠনের কোনো যোগসাজশ রয়েছে কিনা? প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠনের কোনো হাত নেই। তবে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আনসার আল ইসলাম, জেএমবি, নিউ জেএমবি, হরকাতুল জিহাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোক নিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আমরা পেয়েছি।

রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামিদের ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। শামীম ও সোহেলকে তাদের সহযোগীরা নিয়ে যেতে পারলে আরাফাত ও সবুর আটকা পড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করা হয়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।

 

অনলাইন ডেস্ক

২২ নভেম্বর, ২০২২,  1:44 AM

news image

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের মুখে পিপার স্প্রে করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অংশ নিয়েছিল ১০-১২ জন। তাদের আশা ছিল জঙ্গি সদস্য আরাফাত ও সবুরসহ মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মইনুল হাসান শামীম, আবু সিদ্দিক সোহেলকে ছিনিয়ে নেওয়া হলেও সেটি সম্ভব হয়নি।

সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি সদস্যকে ছিনতাই অপরারেশনে নেতৃত্বদানকারী নাম আমরা জেনেছি। অপারেশনের বেশ কয়েকজন সহযোগীকেও শনাক্ত করা হয়েছে। অপারেশনের পরিকল্পনা কীভাবে হয়েছে তাও আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আপাতত তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করছি না।

আসাদুজ্জামান বলেন, অপরারেশনে যারা অংশগ্রহণ করেছে তারা সবাই আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার আস্কারি বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের সদস্য। নেতৃত্ব না দিলেও মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হক এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে আমরা শনাক্ত করেছি, কিন্তু নামটা আপাতত বলতে চাচ্ছি না।

জঙ্গি ছিনতাই অপারেশনে নেতৃত্বদানকারীসহ সবাইকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা কাজ করছি। এজন্য গণমাধ্যম ও দেশবাসীর সহযোগিতা আশা করেছেন সিটিটিসি প্রধান।

ডিএমপির অতিরিক্ত এ কমিশনার আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিষয়টি অনেক জটিল। ৯/১১’র ঘটনা কবে ঘটেছিল সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ওই ঘটনার এক যুগ পর কিন্তু ওসামা বিন লাদেনের অপারেশনটি সংঘঠিত হয়েছিল। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি আসামিকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত।

জঙ্গিদের আরও বড় কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা- জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান বলেন, অপারেশনে যারা ছিল তাদের গ্রেফতার করা গেলে বিষয়টি বলা সম্ভব। মনে হচ্ছে বড় পরিকল্পনা ছিল। তারা চারজনকে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দুজনকে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। যেহেতু চারজন করে আসামিকে আনা হচ্ছিল। প্রথমে যে চারজনকে আনা হয়েছিল তাদেরকেই ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়।

যে আসামিদের আদালতে হাজিরার জন্য আনা হয়েছিল তারা সবাই আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখা অর্থাৎ আস্কারি বিভাগের সদস্য ছিলেন। তাদের সবাইকে সিটিটিসি ২০১৬ সালে গ্রেফতার করেছিল। ফলে অনেকগুলো ঘটনা ও হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছিল।

পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা প্রত্যেকটি পয়েন্টে সতর্ক করে দিয়েছি। তারা যাতে সীমান্ত পাড়ি দিতে না পারে; কোনোভাবে যাতে বের হতে না পারে- সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রধান একটি ঘোষণা দিয়েছেন, ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।

এ ছিনতাইয়ের মাধ্যমে জঙ্গিরা নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে কিনা? বা অপারেশনে নতুন জঙ্গি সংগঠনের কোনো যোগসাজশ রয়েছে কিনা? প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠনের কোনো হাত নেই। তবে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আনসার আল ইসলাম, জেএমবি, নিউ জেএমবি, হরকাতুল জিহাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোক নিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আমরা পেয়েছি।

রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামিদের ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। শামীম ও সোহেলকে তাদের সহযোগীরা নিয়ে যেতে পারলে আরাফাত ও সবুর আটকা পড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করা হয়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।