ভারতে প্রেমিক যুগল হত্যায় সুপারগ্লুর ব্যবহার
অনলাইন ডেস্ক
২৫ নভেম্বর, ২০২২, 1:35 AM
ভারতে প্রেমিক যুগল হত্যায় সুপারগ্লুর ব্যবহার
গত সপ্তাহে এক পুরুষের ছিন্নমস্তক লাশ এবং ছুরিকাঘাতে এক নারীর মৃতদেহ রাজস্থানের উদয়পুরে জঙ্গলে পাওয়া গেলে ভারতজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ।
জঙ্গলের মাঝে যৌনক্রিয়া করার সময় ওই যুগলকে হত্যা করা হয়েছিল। মারার আগে কেউ তাদের খালি গায়ে সুপারগ্লু লাগিয়ে দিয়েছিল বলেও পরে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে।
এ ঘটনায় সোমবার ৫২ বছর বয়সী এক তান্ত্রিককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ এখন এ জোড়াখুনের রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করছে ।
ভারতের গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, গত সপ্তাহে গোগুন্ডা থানাধীন কেলা বাউডি জঙ্গল এলাকায় সরকারি স্কুলের ৩২ বছর বয়সী শিক্ষক রাহুল মিনা ও ৩১ বছর বয়সী সোনু কানওয়ারের লাশ মেলে।
বাধভি গুদা মন্দিরে দেখা হওয়ার পর এই দুই নারী-পুরুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ। ওই মন্দিরেই থাকতেন প্রভাবশালী তান্ত্রিক বালেশ জোশি। অঞ্চলটির স্থানীয় রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে তার ব্যাপক প্রভাব ব্যাপক।
সাধারণত, বিপদে পড়া লোকজনই এ তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হতেন। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কই সম্ভবত রাহুলের সংসারে অশান্তি ডেকে এনেছিল, যে কারণে তার স্ত্রী তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন। বালেশ তখন রাহুলের স্ত্রীকে তার স্বামীর সঙ্গে সোনুর সম্পর্কের কথা বলে দেন, বলেন পুলিশ কর্মকর্তা বিকাশ কুমার।
রাহুল-সোনু বিষয়টি জানতে পেরে তান্ত্রিককে ভয় দেখানো শুরু করে; মানহানি করতে তারা বালেশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনবে, এমন হুমকিও দেয়।
লোকের কাছে অপমানিত হওয়ার আশঙ্কায় তান্ত্রিক এ যুগলকে হত্যার ছক কষেন। তিনি ১৫ রুপি দামের ৫০টি দ্রুত শুকায় এমন সুপারগ্লুর টিউব কিনে একটি বোতলের মধ্যে সব আঠা ঢোকান।
এরপর গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাহুল-সোনুকে ডাকেন এবং জঙ্গলের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যান। ‘সব সমস্যার সমাধান পেতে’ সেখানে ওই যুগলকে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হতেও প্ররোচিত করেন তিনি, বলছে পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক
২৫ নভেম্বর, ২০২২, 1:35 AM
গত সপ্তাহে এক পুরুষের ছিন্নমস্তক লাশ এবং ছুরিকাঘাতে এক নারীর মৃতদেহ রাজস্থানের উদয়পুরে জঙ্গলে পাওয়া গেলে ভারতজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ।
জঙ্গলের মাঝে যৌনক্রিয়া করার সময় ওই যুগলকে হত্যা করা হয়েছিল। মারার আগে কেউ তাদের খালি গায়ে সুপারগ্লু লাগিয়ে দিয়েছিল বলেও পরে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে।
এ ঘটনায় সোমবার ৫২ বছর বয়সী এক তান্ত্রিককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ এখন এ জোড়াখুনের রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করছে ।
ভারতের গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, গত সপ্তাহে গোগুন্ডা থানাধীন কেলা বাউডি জঙ্গল এলাকায় সরকারি স্কুলের ৩২ বছর বয়সী শিক্ষক রাহুল মিনা ও ৩১ বছর বয়সী সোনু কানওয়ারের লাশ মেলে।
বাধভি গুদা মন্দিরে দেখা হওয়ার পর এই দুই নারী-পুরুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ। ওই মন্দিরেই থাকতেন প্রভাবশালী তান্ত্রিক বালেশ জোশি। অঞ্চলটির স্থানীয় রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে তার ব্যাপক প্রভাব ব্যাপক।
সাধারণত, বিপদে পড়া লোকজনই এ তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হতেন। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কই সম্ভবত রাহুলের সংসারে অশান্তি ডেকে এনেছিল, যে কারণে তার স্ত্রী তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন। বালেশ তখন রাহুলের স্ত্রীকে তার স্বামীর সঙ্গে সোনুর সম্পর্কের কথা বলে দেন, বলেন পুলিশ কর্মকর্তা বিকাশ কুমার।
রাহুল-সোনু বিষয়টি জানতে পেরে তান্ত্রিককে ভয় দেখানো শুরু করে; মানহানি করতে তারা বালেশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনবে, এমন হুমকিও দেয়।
লোকের কাছে অপমানিত হওয়ার আশঙ্কায় তান্ত্রিক এ যুগলকে হত্যার ছক কষেন। তিনি ১৫ রুপি দামের ৫০টি দ্রুত শুকায় এমন সুপারগ্লুর টিউব কিনে একটি বোতলের মধ্যে সব আঠা ঢোকান।
এরপর গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাহুল-সোনুকে ডাকেন এবং জঙ্গলের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যান। ‘সব সমস্যার সমাধান পেতে’ সেখানে ওই যুগলকে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হতেও প্ররোচিত করেন তিনি, বলছে পুলিশ।