সুন্দবনের একমাত্র কৃত্রিম বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্র করমজলের জীর্ণ ফুট ট্রেইলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন দর্শনার্থীরা। প্রতিদিন অসংখ্য ভ্রমণপিপাসুর পদচারণায় মুখর থাকলেও পর্যটনকেন্দ্রের অবকাঠামো আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি।
বন ঘুরে দেখার জন্য নির্মিত ফুট ট্রেইলটি সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়েই দর্শনার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ ট্রেইলটি ব্যবহার করছেন। দ্রুত ট্রেইলটি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থী ও স্থানীয়রা।
চট্টগ্রাম থেকে সুন্দরবনে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী তানজীনা আহমেদ বলেন, পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের এই সুন্দরবন। অনেক দিন ধরে ইচ্ছা ছিল ঘুরতে আসার। আসতে পেরে ভালো লাগছে।

তবে কাঠের ট্রেইলে হাঁটার সময় কিছুটা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেছি। কারণ জায়গায় জায়গায় এটি ভেঙে গেছে, দীর্ঘদিন সংস্কারও করা হয়নি। সংস্কার হলে দর্শনার্থীদের সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করা আরও সহজ হবে, যোগ করেন তিনি।
দর্শনার্থী তাহমিদুর রহমান বলেন, বছরে কয়েকবার মানসিক প্রশান্তির জন্য সুন্দরবনে আসি। করমজল কেন্দ্রে দিনে এসে দিনেই ফিরে যাওয়া সম্ভব বিধায় এখানেই আসি। তবে দিন দিন সৌন্দর্য কমে যাচ্ছে। কাঠের ট্রেইল, ওয়াচ টাওয়ারে সংস্কার নেই দীর্ঘদিন।

সাতক্ষীরা থেকে আসা শিক্ষার্থী ফাহিম ফয়সাল বলেন, সাতক্ষীরার সুন্দরবন অংশে একাধিকবার গেলেও করমজল পর্যটনকেন্দ্রে প্রথমবার এসেছি। মোংলার রাস্তা খুবই খারাপ, আবার বনের ফুট ট্রেইলেরও ভগ্নদশা। এছাড়া সব কিছুই ভালো লেগেছে।
স্থানীয় আকবর হোসেন, লতিফ, সালামসহ কয়েকজন বলেন, সুন্দরবনের নিকটেই আমাদের বসবাস। ফলে করমজলকেন্দ্রিক পর্যটনশিল্পের সঙ্গে আমাদের অনেকেই জড়িত। করমজলের বিভিন্ন অবকাঠামো ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হওয়া প্রয়োজন।
পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবীর বলেন, মন্ত্রিসভায় সুরক্ষা প্রজেক্ট নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। দ্রুত শোভাবর্ধন ও ফুট ট্রেইলটি আধুনিক মানের করা হবে।
ইউনেস্কো-ঘোষিত বাংলাদেশের তিনটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মধ্যে সুন্দরবন একটি। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে করমজল পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে রয়েছে কুমির, হরিণসহ নানা প্রজাতির পশুপাখি।
Leave a Reply