১৬ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া এমএল আফসার উদ্দিন নামে লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার কাশিপুর খালের উত্তর পাড়ে রাখা হয়েছে।
এদিকে উদ্ধারের পর লঞ্চের ভেতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। এ কারণে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
এর আগে রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে রাতের মতো তল্লাশি অভিযান স্থগিত রাখেন উদ্ধারকর্মীরা।
এর আগে রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জগামী এমএল আফসার উদ্দিন নামে যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে সিটি গ্রুপের এমভি রূপসী-৯ নামের কার্গো জাহাজ ধাক্কা দিলে মুহূর্তের মধ্যে ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ঘটনায় ৬ জনের মরদেহ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন নারী, দুটি শিশু ও একজন বৃদ্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো ৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো- মুন্সীগঞ্জের ইসলামপুর এলাকার মৃত জুলফিকার আলীর ছেলে জয়নাল (৫৫), মুন্সীগঞ্জের দিন ইসলামের স্ত্রী আরিফা বেগম (৩৫) ও তার ১৫ মাস বয়সী ছেলে সন্তান সাফায়েত। নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সোমবারের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। লঞ্চ ডুবে যাওয়ার কারণ, কারা দোষীসহ সবকিছু উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply