শিরোনামঃ
সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ বিটিএ’র পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত পরিচালককে অভিনন্দন বিকাশ দেওয়ান ছিলেন একজন সফল এমডি জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ কক্সবাজার বঙ্গবন্ধু বীচ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বীচ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল শ্রমিক নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা সুচনাকে মেয়র হিসেবে গ্রহন করলেন ঢাকাস্থ কুমিল্লা মহানগর নাগরিক ফোরাম কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচের নতুন নাম ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন গ্রীস ফেরত অসুস্থ বেলায়েত হোসেনের পাশে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও ব্র্যাক

রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে সরকার

#
news image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে সফলভাবে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে সরকার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। 

জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উপলক্ষে রোববার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সবক’টি লক্ষ্য অর্জনে আমরা সমানভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবেও বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। 

তিনি বলেন, বিএসটিডি দীর্ঘকাল ধরে মানবসম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রশিক্ষণবিষয়ক বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্ভাবন, গবেষণা পরিচালনা, সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমন্বয়মূলক কাজ ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ আয়োজন করে রাষ্ট্রের মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, বিএসটিডি আগামী দিনেও সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে প্রশিক্ষণ সেক্টরের উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সরকার যে জনপ্রশাসন নীতি বাস্তবায়ন করছে, তাতে প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোসহ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো উন্নয়নকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যাডার অফিসারদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ চার মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসকে সেবাধর্মী, উন্নয়নবান্ধব ও আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের পরিসর বাড়ানোসহ নানাবিধ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে একজন নির্বাহী ও কর্মীর মনোবল, দক্ষতা তথা সার্বিক মান উন্নয়ন সম্ভব, যা মানবসম্পদ উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। 

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের সরকার বৈশ্বিক মহামারি করোনার ভয়াবহতা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সমস্যাবলী মোকাবিলা করে সর্বক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টি সামনে রেখেই উন্নত রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সবরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আর এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সর্বস্তরে দরকার দক্ষ মানবসম্পদ। সুপ্রশিক্ষিত, দক্ষ ও নিবেদিত কর্মীবাহিনী ছাড়া কোনো চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আর চৌকশ ও পেশাদার কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার প্রধান মাধ্যম হলো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতির (বিএসটিডি) উদ্যোগে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ২৭তম জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এই আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এছাড়াও তিনি ২৭তম জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৩ জানুয়ারি, ২০২৩,  12:33 PM

news image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে সফলভাবে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে সরকার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। 

জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উপলক্ষে রোববার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সবক’টি লক্ষ্য অর্জনে আমরা সমানভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবেও বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। 

তিনি বলেন, বিএসটিডি দীর্ঘকাল ধরে মানবসম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রশিক্ষণবিষয়ক বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্ভাবন, গবেষণা পরিচালনা, সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমন্বয়মূলক কাজ ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ আয়োজন করে রাষ্ট্রের মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, বিএসটিডি আগামী দিনেও সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে প্রশিক্ষণ সেক্টরের উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সরকার যে জনপ্রশাসন নীতি বাস্তবায়ন করছে, তাতে প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোসহ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো উন্নয়নকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যাডার অফিসারদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ চার মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসকে সেবাধর্মী, উন্নয়নবান্ধব ও আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের পরিসর বাড়ানোসহ নানাবিধ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে একজন নির্বাহী ও কর্মীর মনোবল, দক্ষতা তথা সার্বিক মান উন্নয়ন সম্ভব, যা মানবসম্পদ উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। 

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের সরকার বৈশ্বিক মহামারি করোনার ভয়াবহতা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সমস্যাবলী মোকাবিলা করে সর্বক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টি সামনে রেখেই উন্নত রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সবরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আর এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সর্বস্তরে দরকার দক্ষ মানবসম্পদ। সুপ্রশিক্ষিত, দক্ষ ও নিবেদিত কর্মীবাহিনী ছাড়া কোনো চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আর চৌকশ ও পেশাদার কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার প্রধান মাধ্যম হলো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতির (বিএসটিডি) উদ্যোগে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ২৭তম জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এই আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এছাড়াও তিনি ২৭তম জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।