শিরোনামঃ
মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন চর্চার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ যশোর, বাগেরহাট ও নড়াইলের ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিন নেতা ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিক্ষোভ মিছিল বর্হিবিশ্বে লন্ডনে স্হাপিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্তলাল সেন সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ

ট্রেনের টিকিট বিক্রি শেষ হলেও পরের দিনের জন্য লাইনে!

#
news image

রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল রোববার দুপুর নাগাদেই তৃতীয় দিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শেষ। কিন্তু কাউন্টারে টিকিট প্রত্যাশীদের তখনও দীর্ঘ লাইন। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের কাউন্টারের সামনে সারিতে রয়েছেন রাজধানীর শান্তিনগরের বাসিন্দা আবদুর রহিম। তিনি চিলাহাটিতে গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সবার সাথে ঈদ করতে চান। ট্রেনের টিকিট শেষেও কেন দাঁড়িয়ে আছেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আগামীকালের (সোমবার) টিকিটের জন্য।’ তার দাবি তিনি শনিবার সকাল ৯টায় এ কাউন্টারে এসেছেন। গত ২৬ ঘণ্টা তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, 'ট্রেনের টিকিট ছাড়া ঢাকা ছাড়বো না। গত রোজার ঈদেও টিকিট পাইনি, তাই বাড়ি যাইনি। আমার বউ আর মেয়ে বাস ভ্রমণ করতে পারেন না। আমার তিনটা টিকিট লাগবেই।’ তিনি জানিয়েছেন, তিনি গতকাল রোববার ৯৭ নম্বর সিরিয়ালে ছিলেন। সিরিয়াল ধরে রাখতে সারাদিন পাউরুটি, কলা আর পানি খেয়েছেন। রাতে এখানেই পেপার বিছিয়ে ঘুমিয়েছেন। তিনি বলেন, সারাদিন সিরিয়ালে থাকতে হয়। কখনও টয়লেটে গেলেও লাইনের অন্যান্যের বলে যেতে হয়। সারাদিন গোসল করতে পারিনি। আর রাতে পেপার বিছিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। এখানে যে নোংরা পরিবেশ, কাঁথা-কম্বল কিভাবে আনবো।’ কেরানীগঞ্জ থেকে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মো রাফিউল যাবেন নীলফামারীর। তার দাবি, তিনিও শনিবার ৯টায় এসেছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। গতকাল ছিলেন ৭৪ নম্বর সিরিয়ালে তাই টিকিট পাননি। তারা চার কলিগ মিলে যাবেন গ্রামের বাড়িতে। তিনি বলেন, ‘আমার অফিসের ডিউটি রাত ১০টায় আমি দুপুর ২টার দিকে চলে যাবো। আমার আরেক কলিগ এসে এখানে লাইনে দাঁড়াবে। আবার আমি কাল সকালে আসবো।' এত ভোগান্তির পরও ট্রেনের টিকিট কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে বাসযাত্রায় শান্তি নাই, জ্যামে বসে থাকতে হয়। ট্রেনে জ্যাম নাই, নির্দিষ্ট টাইমে পৌঁছে যায়। আমি চারটি টিকিট নেবো। চেষ্টা করবো এসি কেবিনের, এসি টিকিট না পেলে চেয়ার কোচের টিকিট কাটবো।’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ জুলাই, ২০২২,  10:44 PM

news image

রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল রোববার দুপুর নাগাদেই তৃতীয় দিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শেষ। কিন্তু কাউন্টারে টিকিট প্রত্যাশীদের তখনও দীর্ঘ লাইন। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের কাউন্টারের সামনে সারিতে রয়েছেন রাজধানীর শান্তিনগরের বাসিন্দা আবদুর রহিম। তিনি চিলাহাটিতে গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সবার সাথে ঈদ করতে চান। ট্রেনের টিকিট শেষেও কেন দাঁড়িয়ে আছেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আগামীকালের (সোমবার) টিকিটের জন্য।’ তার দাবি তিনি শনিবার সকাল ৯টায় এ কাউন্টারে এসেছেন। গত ২৬ ঘণ্টা তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, 'ট্রেনের টিকিট ছাড়া ঢাকা ছাড়বো না। গত রোজার ঈদেও টিকিট পাইনি, তাই বাড়ি যাইনি। আমার বউ আর মেয়ে বাস ভ্রমণ করতে পারেন না। আমার তিনটা টিকিট লাগবেই।’ তিনি জানিয়েছেন, তিনি গতকাল রোববার ৯৭ নম্বর সিরিয়ালে ছিলেন। সিরিয়াল ধরে রাখতে সারাদিন পাউরুটি, কলা আর পানি খেয়েছেন। রাতে এখানেই পেপার বিছিয়ে ঘুমিয়েছেন। তিনি বলেন, সারাদিন সিরিয়ালে থাকতে হয়। কখনও টয়লেটে গেলেও লাইনের অন্যান্যের বলে যেতে হয়। সারাদিন গোসল করতে পারিনি। আর রাতে পেপার বিছিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। এখানে যে নোংরা পরিবেশ, কাঁথা-কম্বল কিভাবে আনবো।’ কেরানীগঞ্জ থেকে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মো রাফিউল যাবেন নীলফামারীর। তার দাবি, তিনিও শনিবার ৯টায় এসেছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। গতকাল ছিলেন ৭৪ নম্বর সিরিয়ালে তাই টিকিট পাননি। তারা চার কলিগ মিলে যাবেন গ্রামের বাড়িতে। তিনি বলেন, ‘আমার অফিসের ডিউটি রাত ১০টায় আমি দুপুর ২টার দিকে চলে যাবো। আমার আরেক কলিগ এসে এখানে লাইনে দাঁড়াবে। আবার আমি কাল সকালে আসবো।' এত ভোগান্তির পরও ট্রেনের টিকিট কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে বাসযাত্রায় শান্তি নাই, জ্যামে বসে থাকতে হয়। ট্রেনে জ্যাম নাই, নির্দিষ্ট টাইমে পৌঁছে যায়। আমি চারটি টিকিট নেবো। চেষ্টা করবো এসি কেবিনের, এসি টিকিট না পেলে চেয়ার কোচের টিকিট কাটবো।’