সরকারের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ এপ্রিল, ২০২২, 7:20 AM
সরকারের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ বিএনপির
সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়ে তা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি।সোমবার দুপুর দেড়টায় বিএনপি প্রতিনিধিদলের নেতা দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে এ-সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এ সময় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু তার সঙ্গে ছিলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের জানান, সরকারের সুনির্দিষ্ট দুটি দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দুদকে অভিযোগ জমা দিয়েছি। আশা করি দুদক বিএনপির অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেবে। গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টায় দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা দেন।
এরপর বেরিয়ে এসে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আজকে যে দুটি দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দুদকে এসেছি, তার একটি হচ্ছেÑ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার সঙ্গে একজন মন্ত্রীর কথোপকথন। আরেকটি হলোÑ সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই বাবরের মামলার বিষয়টি। এর আগে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রতিনিধিদল দুদকে প্রবেশ করে। বিএনপির প্রতিনিধিদলের আসা খবরে দুদকের প্রধান কার্যালয় চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির কয়েকজন এখানে এসেছিলেন। তারা দুটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। দুদকের তফসিল ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিএনপি দুটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিল, এখানে যে কেউ অভিযোগ করতে পারে।
দুদকের বিধি মোতাবেক সেটা যাচাই-বাছাইয়ের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা চাই জনগণ এগিয়ে আসুক। জনগণ এগিয়ে এলে দুর্নীতি দমন করা সহজ হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এর আগে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, দুদক একটি সংবিধিবদ্ধ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও ডেপুটিশনে আসা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এটা ঠিক না, এটা অনুচিত। তাদের এখানে অনেক জনবল রয়েছে। এ অনুচিত কাজের জন্য অনেক জাতীয় স্পর্শকাতর তদন্ত থেমে আছে, আটকে যাচ্ছে, এটা ঠিক না। তিনি বলেন, আজ আমরা আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে দুটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে এখানে এসেছিলাম। আমরা ওঁদের বলেছি এখন থেকে আমরা নিয়মিত আসবো। ওঁদের সাহায্য করবো দায়বদ্ধতা থেকে, যাতে ওঁরা সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার থাকতে পারেন।
এদিকে বিএনপি নেতাদের আসার খবরে দুদক কার্যালয়ে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এর আগে বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আপনারা (গণমাধ্যম) এই সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির খবর পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেল এবং নিউজপোর্টালে প্রকাশ ও প্রচার করছেন। এই সাহসিকতার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ দিতেই হয়। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত এসব দুর্নীতির খবরের ওপর ভিত্তি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো অ্যাকশনে যায়Ñএমনটি আমাদের চোখে পড়ে না। বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে পেশাগত দায়িত্ব পালন করায় দুদকের একজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত এবং হেনস্তা করার ঘটনা ঘটেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারপরও একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং প্রচারিত দুর্নীতির খবরগুলো যাচাই-বাছাই করে দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেব। এতে কোনো লাভ হবে কিনা জানি না। তবে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এই কাজটা করতে চাই।
প্রখ/ সাদ্দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ এপ্রিল, ২০২২, 7:20 AM
সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়ে তা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি।সোমবার দুপুর দেড়টায় বিএনপি প্রতিনিধিদলের নেতা দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে এ-সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এ সময় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু তার সঙ্গে ছিলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের জানান, সরকারের সুনির্দিষ্ট দুটি দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দুদকে অভিযোগ জমা দিয়েছি। আশা করি দুদক বিএনপির অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেবে। গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টায় দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা দেন।
এরপর বেরিয়ে এসে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আজকে যে দুটি দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দুদকে এসেছি, তার একটি হচ্ছেÑ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার সঙ্গে একজন মন্ত্রীর কথোপকথন। আরেকটি হলোÑ সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই বাবরের মামলার বিষয়টি। এর আগে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রতিনিধিদল দুদকে প্রবেশ করে। বিএনপির প্রতিনিধিদলের আসা খবরে দুদকের প্রধান কার্যালয় চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির কয়েকজন এখানে এসেছিলেন। তারা দুটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। দুদকের তফসিল ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিএনপি দুটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিল, এখানে যে কেউ অভিযোগ করতে পারে।
দুদকের বিধি মোতাবেক সেটা যাচাই-বাছাইয়ের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা চাই জনগণ এগিয়ে আসুক। জনগণ এগিয়ে এলে দুর্নীতি দমন করা সহজ হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এর আগে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, দুদক একটি সংবিধিবদ্ধ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও ডেপুটিশনে আসা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এটা ঠিক না, এটা অনুচিত। তাদের এখানে অনেক জনবল রয়েছে। এ অনুচিত কাজের জন্য অনেক জাতীয় স্পর্শকাতর তদন্ত থেমে আছে, আটকে যাচ্ছে, এটা ঠিক না। তিনি বলেন, আজ আমরা আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে দুটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে এখানে এসেছিলাম। আমরা ওঁদের বলেছি এখন থেকে আমরা নিয়মিত আসবো। ওঁদের সাহায্য করবো দায়বদ্ধতা থেকে, যাতে ওঁরা সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার থাকতে পারেন।
এদিকে বিএনপি নেতাদের আসার খবরে দুদক কার্যালয়ে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এর আগে বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আপনারা (গণমাধ্যম) এই সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির খবর পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেল এবং নিউজপোর্টালে প্রকাশ ও প্রচার করছেন। এই সাহসিকতার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ দিতেই হয়। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত এসব দুর্নীতির খবরের ওপর ভিত্তি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো অ্যাকশনে যায়Ñএমনটি আমাদের চোখে পড়ে না। বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে পেশাগত দায়িত্ব পালন করায় দুদকের একজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত এবং হেনস্তা করার ঘটনা ঘটেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারপরও একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং প্রচারিত দুর্নীতির খবরগুলো যাচাই-বাছাই করে দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেব। এতে কোনো লাভ হবে কিনা জানি না। তবে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এই কাজটা করতে চাই।
প্রখ/ সাদ্দাম