শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আর নেই

#
news image

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আর নেই। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 
মাহবুব তালুকদারের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা, এক পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য বন্ধুবান্ধব ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার ৩ সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ডা. আইরিন মাহবুব ঢাকায় বসবাস করছেন। আর ২ সন্তানের ১ জন কানাডায় ও ১ জন আমেরিকায় থাকেন। তিনি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি  থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মাহবুব তালুকদারের মৃত্যুতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ  থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে।
মাহবুব তালুকদার ১৯৪২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ও মুজিব নগর সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের চাকুরীতে যোগ দেন। এ সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তাঁকে উপসচিবের পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেন। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সময়ে তিনি তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মাহবুব তালুকদার তাঁর সহকারী প্রেস সচিব (উপসচিব) এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মাহবুব তালুকদার ঢাকা জগন্নাথ কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতাও করেছেন।
তিনি একজন বিশিষ্ট সৃজনশীল লেখক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ভ্রমণকাহিনী মিলিয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা চল্লিশটি। তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

অনলাইন ডেস্ক

২৪ আগস্ট, ২০২২,  10:24 PM

news image

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আর নেই। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 
মাহবুব তালুকদারের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা, এক পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য বন্ধুবান্ধব ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার ৩ সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ডা. আইরিন মাহবুব ঢাকায় বসবাস করছেন। আর ২ সন্তানের ১ জন কানাডায় ও ১ জন আমেরিকায় থাকেন। তিনি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি  থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মাহবুব তালুকদারের মৃত্যুতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ  থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে।
মাহবুব তালুকদার ১৯৪২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ও মুজিব নগর সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের চাকুরীতে যোগ দেন। এ সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তাঁকে উপসচিবের পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেন। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সময়ে তিনি তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মাহবুব তালুকদার তাঁর সহকারী প্রেস সচিব (উপসচিব) এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মাহবুব তালুকদার ঢাকা জগন্নাথ কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতাও করেছেন।
তিনি একজন বিশিষ্ট সৃজনশীল লেখক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ভ্রমণকাহিনী মিলিয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা চল্লিশটি। তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।