শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাসের সময় পরিবর্তন হচ্ছে না: শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ আগস্ট, ২০২২, 10:44 PM
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাসের সময় পরিবর্তন হচ্ছে না: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে জ¦ালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সরকারি অফিসের সময় সাময়িক পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাসের সময় পরিবর্তন করার চিন্তা করা হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশের (ইবার) সঙ্গে মতবিনিয়ম সভায় এসব কথা বলেছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলমান বৈশিক সংকটের কারণে সরকারি অফিসের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। এ সংকট কেটে গেলে সেটি আবার পরিবর্তন করা হবে।
আগামী বছর থেকে আমাদের নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন কার্যকর করার কথা ছিল। সেটি এখন থেকে কার্যকর করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের ছুটি শুক্রবার-শনিবারের বদলে বৃহস্পতিবার-শুক্রবার কেন করা হচ্ছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেক কর্মজীবী অভিভাবক বৃহস্পতিবার বাসায় থাকেন না। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর ছুটি কাজে আসে না। এটি আমাদের প্রস্তাবনায় থাকলেও সেটি বাতিল করে শুক্রবার-শনিবার করা হয়েছে। হলিক্রসের শিক্ষার্থী নিহতের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমাদের কাছে এখনো স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বোঝা যাবে। নিহত শিক্ষার্থী তিন বিষয়ে ফেল করেছিল।
পরিবারে এ নিয়ে এক ধরনের চাপ ছিল। সামাজিকভাবেও এক ধরনের চাপ তৈরি হয়। এসব কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলিংয়ের জন্য অন্তত দুজন শিক্ষককে অভিজ্ঞ করা হবে। এ লক্ষ্যে সারাদেশের দুই লাখের মতো শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে মন্ত্রী জানান, যোগ্যতা থাকার পরও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব পর্যালোচনা শেষ করেছে। শিগগির এমপিওভুক্তির নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তি নীতিমালা সংশোধন করে তালিকা থেকে বাদ পড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রিভিউ প্রক্রিয়া যুক্ত করা হয়েছে। এখানে নতুন করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার সুযোগ নেই। তবে যারা বাদ পড়েছে, তাদের মধ্য থেকে রিভিউ করেছে। সেসব পুনরায় যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। এখানে নতুন কিছু প্রতিষ্ঠান যুক্ত হচ্ছে। খুব শিগগির সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর এমপিও সুবিধা প্রদানে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে, যোগ্যতা অর্জন করার পরেও এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ২ হাজারের বেশি স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছে। সেসব আবেদন পুনরায় মাউশি থেকে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (স্কুল-কলেজ) এমপিওভুক্ত করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় ৪ হাজার ৬২১টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৪ হাজার ৭২৯টি আবেদন পাওয়া যায়।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় কারিগরিতে ২ হাজার ৫৪৪ এবং মাদ্রাসায় ১ হাজার ৩৫৯টিসহ মোট ৩ হাজার ৯০৩টি আবেদন পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে ২ হাজার ৭১৬টি প্রতিষ্ঠানের নতুন করে এমপিও ঘোষণা করা হলেও সেগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের এখনো সুবিধার আওতায় আনা যায়নি। ইরাব সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এতে অংশ নেন ইরাবের উপদেষ্টা রাকিব উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মুসতাক আহমেদ, সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান মামুন, যুগ্ম সম্পাদক নাজিউর রহমান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ এলতেফাত হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, প্রচার সম্পাদক রাহুল শর্মা, প্রকাশনা সম্পাদক তুহিন সাইফুল, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক রুম্মান তূর্য, ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুরাদ মজুমদার, আইসিটি সম্পাদক এনামুল হক প্রিন্স, কার্যনির্বাহী সদস্য বিভাষ বাড়ৈ, আবদুল হাই তুহিনসহ অন্যরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ আগস্ট, ২০২২, 10:44 PM
দেশে জ¦ালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সরকারি অফিসের সময় সাময়িক পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাসের সময় পরিবর্তন করার চিন্তা করা হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশের (ইবার) সঙ্গে মতবিনিয়ম সভায় এসব কথা বলেছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলমান বৈশিক সংকটের কারণে সরকারি অফিসের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। এ সংকট কেটে গেলে সেটি আবার পরিবর্তন করা হবে।
আগামী বছর থেকে আমাদের নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন কার্যকর করার কথা ছিল। সেটি এখন থেকে কার্যকর করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের ছুটি শুক্রবার-শনিবারের বদলে বৃহস্পতিবার-শুক্রবার কেন করা হচ্ছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেক কর্মজীবী অভিভাবক বৃহস্পতিবার বাসায় থাকেন না। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর ছুটি কাজে আসে না। এটি আমাদের প্রস্তাবনায় থাকলেও সেটি বাতিল করে শুক্রবার-শনিবার করা হয়েছে। হলিক্রসের শিক্ষার্থী নিহতের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমাদের কাছে এখনো স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বোঝা যাবে। নিহত শিক্ষার্থী তিন বিষয়ে ফেল করেছিল।
পরিবারে এ নিয়ে এক ধরনের চাপ ছিল। সামাজিকভাবেও এক ধরনের চাপ তৈরি হয়। এসব কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলিংয়ের জন্য অন্তত দুজন শিক্ষককে অভিজ্ঞ করা হবে। এ লক্ষ্যে সারাদেশের দুই লাখের মতো শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে মন্ত্রী জানান, যোগ্যতা থাকার পরও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব পর্যালোচনা শেষ করেছে। শিগগির এমপিওভুক্তির নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তি নীতিমালা সংশোধন করে তালিকা থেকে বাদ পড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রিভিউ প্রক্রিয়া যুক্ত করা হয়েছে। এখানে নতুন করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার সুযোগ নেই। তবে যারা বাদ পড়েছে, তাদের মধ্য থেকে রিভিউ করেছে। সেসব পুনরায় যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। এখানে নতুন কিছু প্রতিষ্ঠান যুক্ত হচ্ছে। খুব শিগগির সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর এমপিও সুবিধা প্রদানে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে, যোগ্যতা অর্জন করার পরেও এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ২ হাজারের বেশি স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছে। সেসব আবেদন পুনরায় মাউশি থেকে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (স্কুল-কলেজ) এমপিওভুক্ত করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় ৪ হাজার ৬২১টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৪ হাজার ৭২৯টি আবেদন পাওয়া যায়।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় কারিগরিতে ২ হাজার ৫৪৪ এবং মাদ্রাসায় ১ হাজার ৩৫৯টিসহ মোট ৩ হাজার ৯০৩টি আবেদন পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে ২ হাজার ৭১৬টি প্রতিষ্ঠানের নতুন করে এমপিও ঘোষণা করা হলেও সেগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের এখনো সুবিধার আওতায় আনা যায়নি। ইরাব সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এতে অংশ নেন ইরাবের উপদেষ্টা রাকিব উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মুসতাক আহমেদ, সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান মামুন, যুগ্ম সম্পাদক নাজিউর রহমান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ এলতেফাত হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, প্রচার সম্পাদক রাহুল শর্মা, প্রকাশনা সম্পাদক তুহিন সাইফুল, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক রুম্মান তূর্য, ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুরাদ মজুমদার, আইসিটি সম্পাদক এনামুল হক প্রিন্স, কার্যনির্বাহী সদস্য বিভাষ বাড়ৈ, আবদুল হাই তুহিনসহ অন্যরা।