নৌপথ আরো আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 10:57 PM
নৌপথ আরো আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপথ আরো আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে। এ সক্ষমতা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আছে। সে অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিআইডব্লিউটিএ’র উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, দখল ও দূষণরোধে সরকার কাজ করছে। বাংলার মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে, এটা আমাদের প্রথম সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী খননের কথা বলেছেন। নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে তিনি ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কথা বলেছেন। তাঁর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ ব্যয় করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক ও বিভাগীয় প্রধানগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত (চলমান) ১২ হাজার ২৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। উদ্ধারকৃত তীরভূমি বা জায়গার পরিমাণ ৩শ ৮৯ দশমিক ৬২ একর। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার, নওয়াপাড়া, ঘোড়াশাল ও টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আগস্ট পর্যন্ত ৬ হাজার ২শ ২টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। ১০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে (পায়ে হাঁটার পথ) দৃশ্যমান হয়েছে এবং আরো ৪২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আমিন বাজার, পাগলাবাজার পূর্ব প্রান্ত, পাগলাবাজার পশ্চিম প্রান্ত, মুন্সিখোলা, সিন্নিরটেক ও গাবতলীতে ছয়টি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আলীগঞ্জ আফছার উদ্দিন ঘাট, আলীগঞ্জ মাদ্রাসা ঘাট, সুলতানা কামাল ব্রীজ সংলগ্ন, মাছুয়া বাজার ঘাট, নারায়ণগঞ্জ লেবার ল্যান্ডিং পয়েন্ট, নারায়ণগঞ্জ সাইলো পয়েন্ট, শিমরাইল ২ ও ৩ নম্বর ঘাট এবং সারুলিয়া লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টে আরো আটটি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়া টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় একটি ইকোপার্ক নির্মিত হয়েছে এবং গাবতলীর বড়বাজার এবং নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় আরো দু’টি ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আগামি ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় নির্মিত ইকোপার্কের উদ্বোধন করা হবে। একই সাথে টঙ্গি নদী বন্দর হতে ঢাকা পর্যন্ত বৃত্তাকার নৌপথে স্পীডবোট সার্ভিস এর উদ্বোধন করা হবে।
চাঁদপুর নদী বন্দরের আধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি আবর্জনা মুক্ত করার লক্ষ্যে ছয়টি রিভার ক্লিনিক ভেসেল সংগ্রহ, কক্সবাজার-মহেশখালী ফেরি সার্ভিস চালু, দু’টি বড় ধরনের উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ, ড্রেজার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করাসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 10:57 PM
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপথ আরো আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে। এ সক্ষমতা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আছে। সে অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিআইডব্লিউটিএ’র উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, দখল ও দূষণরোধে সরকার কাজ করছে। বাংলার মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে, এটা আমাদের প্রথম সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী খননের কথা বলেছেন। নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে তিনি ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কথা বলেছেন। তাঁর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ ব্যয় করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক ও বিভাগীয় প্রধানগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত (চলমান) ১২ হাজার ২৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। উদ্ধারকৃত তীরভূমি বা জায়গার পরিমাণ ৩শ ৮৯ দশমিক ৬২ একর। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার, নওয়াপাড়া, ঘোড়াশাল ও টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আগস্ট পর্যন্ত ৬ হাজার ২শ ২টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। ১০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে (পায়ে হাঁটার পথ) দৃশ্যমান হয়েছে এবং আরো ৪২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আমিন বাজার, পাগলাবাজার পূর্ব প্রান্ত, পাগলাবাজার পশ্চিম প্রান্ত, মুন্সিখোলা, সিন্নিরটেক ও গাবতলীতে ছয়টি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আলীগঞ্জ আফছার উদ্দিন ঘাট, আলীগঞ্জ মাদ্রাসা ঘাট, সুলতানা কামাল ব্রীজ সংলগ্ন, মাছুয়া বাজার ঘাট, নারায়ণগঞ্জ লেবার ল্যান্ডিং পয়েন্ট, নারায়ণগঞ্জ সাইলো পয়েন্ট, শিমরাইল ২ ও ৩ নম্বর ঘাট এবং সারুলিয়া লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টে আরো আটটি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়া টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় একটি ইকোপার্ক নির্মিত হয়েছে এবং গাবতলীর বড়বাজার এবং নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় আরো দু’টি ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আগামি ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় নির্মিত ইকোপার্কের উদ্বোধন করা হবে। একই সাথে টঙ্গি নদী বন্দর হতে ঢাকা পর্যন্ত বৃত্তাকার নৌপথে স্পীডবোট সার্ভিস এর উদ্বোধন করা হবে।
চাঁদপুর নদী বন্দরের আধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি আবর্জনা মুক্ত করার লক্ষ্যে ছয়টি রিভার ক্লিনিক ভেসেল সংগ্রহ, কক্সবাজার-মহেশখালী ফেরি সার্ভিস চালু, দু’টি বড় ধরনের উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ, ড্রেজার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করাসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।