শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

কলেজে শোক দিবস ও নবীন বরণ এক মঞ্চে: ব্যাপক সমালোচনা

#
news image

রাজশাহীর পুঠিয়ায় একই সময় ও একটি  আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানের জমকানো আয়োজন করেছেন ইসলামিয়া মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন, জাতীয় শোক দিবসকে বিতর্কীত করতে এই আয়োজন করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। জামায়াতের ইন্ধনে এমন বিতর্কীত ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবসী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পুঠিয়া ইসলামিয়া মহিলা কলেজে একই ব্যানারে ও একই মঞ্চে সম্পূর্ণ বিপরীত মুখে অনুষ্ঠান দুইটির এই আয়োজন করা হয়।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও এলাকাবকাসীরা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই জামায়াতের ছত্রছায়ায় পুঠিয়া ইসলামিয়া মহিলা কলেজর শিক্ষক ও কর্মচারীরা পরিচালিত হয়ে আসছে। শুধু জামায়াতের আদলে হওয়ায় “ইসলামিয়া”নামকরণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী সক্রিয় জামায়াতের নেতাকর্মী। তাদের বিষয়ে গোয়েন্দাদের কাছে একাধিক রিপোর্ট রয়েছে। এমন কি বেশ কিছুদিন আগে ওই কলেজের সাবেক হোস্টেল সুপার ও প্রভাষক কুতুব উদ্দীনকে পুলিশ জিঙ্গাসাবাদের জন্য ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তার সাথে জামায়াতের সংশ্লিষ্ঠতা ও অর্থদাতা হিসেবে গোয়েন্দাদের কাছে প্রভাষক কুতুব উদ্দীন নজরদারীতে রয়েছে। পুঠিয়া থানার ওসি বলেন, ৩রা নভেম্বর জাতীয় শোক দিবস। এটা একটি জাতীয় ইস্যু, সেখানে এমন বিতর্কীত ঘটনা সমাজের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর এক তৃতীয়াংশ জামায়াতের সংশ্লিষ্ঠতার বিষয়ে আমাদের কাছে তালিকা রয়েছে, আমরা খোজ নিচ্ছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, আজকে জেলহত্যা দিবস। বঙ্গবন্ধু'র ঘনিষ্ঠ সহচর ও অন্যতম জাতীয় ৪ নেতা, যারা বঙ্গবন্ধু'র অবর্তমানে এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য লড়াই করেছেন। তিনি বলেন, জেলখানা হচ্ছে একটি নিরাপদ স্থান। আর সেই নিরাপদ স্থানে স্বাধিনতা বিরোধিরা তাদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আজ সেই শোকের দিন। আর এই শোকের দিনে যারা আনন্দ উল্লাস করে,  তাদের মধ্যে কোনো দেশ প্রেম নেই এবং জড়িতদের বিচার হওয়া দরকার। এরাই জামায়াতের দোসর হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, শোকের দিনে আনন্দ উল্লাসের এই বিষয়টি খোজ নেয়া হচ্ছে। অব্যশই দোষিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে কলেজের অধ্যক্ষ শিহাব উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিতর্কীত বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিবেন না বলে জানান। তবে জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠতা আকপটে স্বীকার করেন এবং প্রতিষ্ঠানটি জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় জড়িয়ে রয়েছে অধিকাংশ শিক্ষক ও কর্মচারী।
কলেজ ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ ডাক্তার মনসুর রহমানের পুত্র ডাক্তার মাজরুই রহমান প্রত্যয় বলেন, কলেজে গিয়ে দেখি শিক্ষকরা শোক দিবসের সাথে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। জাতীয় শোক দিবসে এমন আয়োজনের বিষয়টি আমার কাছে খারাপ লেগেছে তাই তৎক্ষনিক অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে এসেছি। আর তাদের বলেছি, নবীন বরণ পরে করতে। এখন শুধু দোয়া মাহফিল করতে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ বলেন, ৩ নভেম্বর জাতীয় শোক দিবস। এই দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে অন্য কোনো অনুষ্ঠানের সাথে শোক দিবস পালন করার নিয়ম নেই। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজশাহী প্রতিনিধি

০৪ নভেম্বর, ২০২২,  12:50 AM

news image

রাজশাহীর পুঠিয়ায় একই সময় ও একটি  আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানের জমকানো আয়োজন করেছেন ইসলামিয়া মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন, জাতীয় শোক দিবসকে বিতর্কীত করতে এই আয়োজন করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। জামায়াতের ইন্ধনে এমন বিতর্কীত ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবসী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পুঠিয়া ইসলামিয়া মহিলা কলেজে একই ব্যানারে ও একই মঞ্চে সম্পূর্ণ বিপরীত মুখে অনুষ্ঠান দুইটির এই আয়োজন করা হয়।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও এলাকাবকাসীরা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই জামায়াতের ছত্রছায়ায় পুঠিয়া ইসলামিয়া মহিলা কলেজর শিক্ষক ও কর্মচারীরা পরিচালিত হয়ে আসছে। শুধু জামায়াতের আদলে হওয়ায় “ইসলামিয়া”নামকরণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী সক্রিয় জামায়াতের নেতাকর্মী। তাদের বিষয়ে গোয়েন্দাদের কাছে একাধিক রিপোর্ট রয়েছে। এমন কি বেশ কিছুদিন আগে ওই কলেজের সাবেক হোস্টেল সুপার ও প্রভাষক কুতুব উদ্দীনকে পুলিশ জিঙ্গাসাবাদের জন্য ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তার সাথে জামায়াতের সংশ্লিষ্ঠতা ও অর্থদাতা হিসেবে গোয়েন্দাদের কাছে প্রভাষক কুতুব উদ্দীন নজরদারীতে রয়েছে। পুঠিয়া থানার ওসি বলেন, ৩রা নভেম্বর জাতীয় শোক দিবস। এটা একটি জাতীয় ইস্যু, সেখানে এমন বিতর্কীত ঘটনা সমাজের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর এক তৃতীয়াংশ জামায়াতের সংশ্লিষ্ঠতার বিষয়ে আমাদের কাছে তালিকা রয়েছে, আমরা খোজ নিচ্ছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, আজকে জেলহত্যা দিবস। বঙ্গবন্ধু'র ঘনিষ্ঠ সহচর ও অন্যতম জাতীয় ৪ নেতা, যারা বঙ্গবন্ধু'র অবর্তমানে এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য লড়াই করেছেন। তিনি বলেন, জেলখানা হচ্ছে একটি নিরাপদ স্থান। আর সেই নিরাপদ স্থানে স্বাধিনতা বিরোধিরা তাদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আজ সেই শোকের দিন। আর এই শোকের দিনে যারা আনন্দ উল্লাস করে,  তাদের মধ্যে কোনো দেশ প্রেম নেই এবং জড়িতদের বিচার হওয়া দরকার। এরাই জামায়াতের দোসর হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, শোকের দিনে আনন্দ উল্লাসের এই বিষয়টি খোজ নেয়া হচ্ছে। অব্যশই দোষিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে কলেজের অধ্যক্ষ শিহাব উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিতর্কীত বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিবেন না বলে জানান। তবে জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠতা আকপটে স্বীকার করেন এবং প্রতিষ্ঠানটি জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় জড়িয়ে রয়েছে অধিকাংশ শিক্ষক ও কর্মচারী।
কলেজ ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ ডাক্তার মনসুর রহমানের পুত্র ডাক্তার মাজরুই রহমান প্রত্যয় বলেন, কলেজে গিয়ে দেখি শিক্ষকরা শোক দিবসের সাথে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। জাতীয় শোক দিবসে এমন আয়োজনের বিষয়টি আমার কাছে খারাপ লেগেছে তাই তৎক্ষনিক অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে এসেছি। আর তাদের বলেছি, নবীন বরণ পরে করতে। এখন শুধু দোয়া মাহফিল করতে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ বলেন, ৩ নভেম্বর জাতীয় শোক দিবস। এই দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে অন্য কোনো অনুষ্ঠানের সাথে শোক দিবস পালন করার নিয়ম নেই। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।