পিএসসিকে ‘লাল ফিতায় বাঁধা' ফাইল দেখালেন প্রার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ নভেম্বর, ২০২২, 2:12 AM
পিএসসিকে ‘লাল ফিতায় বাঁধা' ফাইল দেখালেন প্রার্থীরা
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অযৌক্তিক ও অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীরা ‘লাল ফিতায় বাঁধা ফাইল’ নিয়ে প্রতীকি মিছিল করে।
বুধবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে মিছিলটি পিএসসির চারপাশ প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রার্থীরা পিএসসির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অযৌক্তিক ও অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীরা এ নিয়ে টানা দশম দিনের মতো প্রতিষ্ঠানটির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
প্রার্থীরা জানান, পিএসসির পক্ষ থেকে দাবি সংক্রান্ত বিষয়ে এ দিনেও কোনো আশ্বাস মেলেনি।
তারা জানান, পিএসসির মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এইরকম সংকটময় সময়ে দিনের পর দিন বোবা হয়ে থাকতে পারে না। ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু করে ০৯ নভেম্বর পর্যন্ত টানা নয় দিন পিএসসির সামনে লাগাতার অবস্থান ও শুক্রবার শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদসহ টানা ১০ দিন কর্মসূচি পালন করেলেও পিএসসির মৌনতা ভাঙ্গা যায়নি।
গত ২৩ আগস্ট পিএসসি থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের আগে যত শূন্য পদই আসুক, তা একটি বিসিএসে নিয়োগ দিয়ে শেষ করা যাবে না। কোন শূন্য পদ কোন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় এসেছে, তা বিবেচনায় আনতে হবে।
এ ঘটনায় ৪০ তম বিসিএসের চূড়ান্ত তালিকায় থাকা কিন্তু ক্যাডার নির্বাচিত না হতে পারা প্রার্থীরা সংক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তারা পিএসসি বরাবর ৬ দফা দাবি পেশ করেন।
প্রার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো, যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে ৪০-৪৩তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির পর ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদ সংখ্যা নির্ধারণের এ বেকার বিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম
বিসিএসকে প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করাতে হবে।
যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ২৯ মার্চ ২০২২ তারিখ পর্যন্ত ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বর্তমান বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করতে হবে।
বাংলাদেশের শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রসমাজকে পিএসসির মূল বক্তব্য আড়াল করে অর্থাৎ যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেওয়া হবে এই ভিত্তিহীন কথা বলে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং বেকার সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস অনতিবিলম্বে বন্ধ করে বেকারবান্ধব নীতি নবায়ন করতে হবে।
বিগত এক যুগে পিএসসি যে স্বপ্ন, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে
প্রার্থীরা বলেন, ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নন-ক্যাডার নিয়োগে পূর্বের নিয়মে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ নভেম্বর, ২০২২, 2:12 AM
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অযৌক্তিক ও অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীরা ‘লাল ফিতায় বাঁধা ফাইল’ নিয়ে প্রতীকি মিছিল করে।
বুধবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে মিছিলটি পিএসসির চারপাশ প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রার্থীরা পিএসসির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অযৌক্তিক ও অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীরা এ নিয়ে টানা দশম দিনের মতো প্রতিষ্ঠানটির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
প্রার্থীরা জানান, পিএসসির পক্ষ থেকে দাবি সংক্রান্ত বিষয়ে এ দিনেও কোনো আশ্বাস মেলেনি।
তারা জানান, পিএসসির মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এইরকম সংকটময় সময়ে দিনের পর দিন বোবা হয়ে থাকতে পারে না। ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু করে ০৯ নভেম্বর পর্যন্ত টানা নয় দিন পিএসসির সামনে লাগাতার অবস্থান ও শুক্রবার শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদসহ টানা ১০ দিন কর্মসূচি পালন করেলেও পিএসসির মৌনতা ভাঙ্গা যায়নি।
গত ২৩ আগস্ট পিএসসি থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের আগে যত শূন্য পদই আসুক, তা একটি বিসিএসে নিয়োগ দিয়ে শেষ করা যাবে না। কোন শূন্য পদ কোন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় এসেছে, তা বিবেচনায় আনতে হবে।
এ ঘটনায় ৪০ তম বিসিএসের চূড়ান্ত তালিকায় থাকা কিন্তু ক্যাডার নির্বাচিত না হতে পারা প্রার্থীরা সংক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তারা পিএসসি বরাবর ৬ দফা দাবি পেশ করেন।
প্রার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো, যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে ৪০-৪৩তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির পর ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদ সংখ্যা নির্ধারণের এ বেকার বিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম
বিসিএসকে প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করাতে হবে।
যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ২৯ মার্চ ২০২২ তারিখ পর্যন্ত ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বর্তমান বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করতে হবে।
বাংলাদেশের শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রসমাজকে পিএসসির মূল বক্তব্য আড়াল করে অর্থাৎ যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেওয়া হবে এই ভিত্তিহীন কথা বলে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং বেকার সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস অনতিবিলম্বে বন্ধ করে বেকারবান্ধব নীতি নবায়ন করতে হবে।
বিগত এক যুগে পিএসসি যে স্বপ্ন, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে
প্রার্থীরা বলেন, ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নন-ক্যাডার নিয়োগে পূর্বের নিয়মে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।