সব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
অনলাইন ডেস্ক
১৩ নভেম্বর, ২০২২, 11:30 PM
সব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
দেশের সব অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার কার্যক্রম সাত দিনের মধ্যে বন্ধের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
আদেশের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না এবং জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ এমন বিধান থাকলেও বাংলাদেশের বেশির ভাগ জেলায় শীত মৌসুমকে সামনে রেখে অবৈধ ইটভাটাগুলো কার্যক্রম শুরু করছে এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
তিনি আরও জানান, আদেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব ও পরিবেশ সচিবকে বাংলাদেশের সব জেলার জেলা প্রশাসকদের কার্যকরী নির্দেশনা দিতে বলেছেন আদালত। আগামী সাত দিনের মধ্যে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম ও জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার বন্ধ হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মনজিল মোরসেদ জানান জানান, আদালত অপর এক আদেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক ও বিভাগীয় কমিশনারদের এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মনিটরিং টিম গঠন করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম ও জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার স্থগিতকরণের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন এবং আদালতে দুই সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
রুলে দেশের সব জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ও জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়কতা কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন ও ভাটায় কাঠ ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানাতে চেয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক
১৩ নভেম্বর, ২০২২, 11:30 PM
দেশের সব অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার কার্যক্রম সাত দিনের মধ্যে বন্ধের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
আদেশের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না এবং জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ এমন বিধান থাকলেও বাংলাদেশের বেশির ভাগ জেলায় শীত মৌসুমকে সামনে রেখে অবৈধ ইটভাটাগুলো কার্যক্রম শুরু করছে এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
তিনি আরও জানান, আদেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব ও পরিবেশ সচিবকে বাংলাদেশের সব জেলার জেলা প্রশাসকদের কার্যকরী নির্দেশনা দিতে বলেছেন আদালত। আগামী সাত দিনের মধ্যে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম ও জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার বন্ধ হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মনজিল মোরসেদ জানান জানান, আদালত অপর এক আদেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক ও বিভাগীয় কমিশনারদের এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মনিটরিং টিম গঠন করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম ও জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার স্থগিতকরণের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন এবং আদালতে দুই সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
রুলে দেশের সব জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ও জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়কতা কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন ও ভাটায় কাঠ ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানাতে চেয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।