শিরোনামঃ
মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন চর্চার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ যশোর, বাগেরহাট ও নড়াইলের ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিন নেতা ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিক্ষোভ মিছিল বর্হিবিশ্বে লন্ডনে স্হাপিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্তলাল সেন সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ

পরিদর্শকদের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে রাজউক

#
news image

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নকশার বাইরে নির্মিত ও নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা করতে যাচ্ছে। একই সাথে রাজউকের পরিদর্শকদেরও আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। রাজধানীতে রাজউকের নিয়ম মেনে নকশা অনুমোদনের পর তার বাইরে অহরহ ভবন নির্মিত হচ্ছে। আর সংস্থাটির পরিদর্শকরা তা দেখেও না দেখার ভান করছে। ফলে রাজধানীর অধিকাংশ ভবনই অনুমোদিত নকশার বাইরে নির্মিত। তবে রাজউকের পরিদর্শকদের দাবি, প্রভাবশালীতের হুমকি-ধমকির কাছে তারা অসহায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বাধা দেয়া সম্ভব হয় না। রাজউক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নিয়মবহির্ভূত ভবনের লাগাম ধরতে রাজউকের কঠোর অবস্থান জরুরি। আর নিয়মের ব্যত্যয় করে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কেবল পরিদর্শকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনলেই চলবে না, সংশ্লিষ্ট অন্যান্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে যারা জেনেশুনে অনিয়ম করেছে, যারা প্রভাব খাটিয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। তবে ভবন মালিক ও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মতে, নিয়ম মেনে রাজউকের কোনো কাজই করা যায় না। ঘুষ দিলেই সব হয়। ভবন বানানোর সময় থেকেই পরিদর্শকরা ঘুষের জন্য ঘুরতে থাকে। তার আগ পর্যন্ত নানা আইন আর নিয়ম দেখানো হয়। কিন্তু টাকা দিলে সব অনিয়ম শুদ্ধ হয়ে যায়। 

সূত্র জানায়, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় যেসব ভবন নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্মাণ হয়েছে সেগুলোর একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে। পাশাপাশি ভবনগুলোর ওই অনিয়মের ক্ষেত্রে পরিদর্শকদের গাফিলতি আছে কিনা তা যাচাই করা হবে। যদি পরিদর্শকদের অনিয়ম বা দুর্নীতির প্রমাণ মেলে তখন তাদের বিরুদ্ধে বিধিমালা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান মিঞা জানান, রাজউকের পরিদর্শকরা নানা অজুহাত দেখায়। অনেক সময় তারা কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসার পর আবার শুরু করে দেয়া হয় বলেও জানায়। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এখন থেকে রাজউকের মনিটরিং টিম বেশি বেশি করে বাইরে যাব। পরিদর্শকদের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্যই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব ভবন একেবারেই নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্মাণ হয়েছে সেগুলো ভেঙে ফেলা হবে। সেক্ষেত্রে যদি কোনো পরিদর্শকের অনিয়ম বা দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষ জিরো টলারেন্স নীতি মেনে অ্যাকশনে যাবে।

অনলাইন ডেস্ক

১৫ নভেম্বর, ২০২২,  11:53 PM

news image

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নকশার বাইরে নির্মিত ও নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা করতে যাচ্ছে। একই সাথে রাজউকের পরিদর্শকদেরও আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। রাজধানীতে রাজউকের নিয়ম মেনে নকশা অনুমোদনের পর তার বাইরে অহরহ ভবন নির্মিত হচ্ছে। আর সংস্থাটির পরিদর্শকরা তা দেখেও না দেখার ভান করছে। ফলে রাজধানীর অধিকাংশ ভবনই অনুমোদিত নকশার বাইরে নির্মিত। তবে রাজউকের পরিদর্শকদের দাবি, প্রভাবশালীতের হুমকি-ধমকির কাছে তারা অসহায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বাধা দেয়া সম্ভব হয় না। রাজউক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নিয়মবহির্ভূত ভবনের লাগাম ধরতে রাজউকের কঠোর অবস্থান জরুরি। আর নিয়মের ব্যত্যয় করে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কেবল পরিদর্শকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনলেই চলবে না, সংশ্লিষ্ট অন্যান্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে যারা জেনেশুনে অনিয়ম করেছে, যারা প্রভাব খাটিয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। তবে ভবন মালিক ও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মতে, নিয়ম মেনে রাজউকের কোনো কাজই করা যায় না। ঘুষ দিলেই সব হয়। ভবন বানানোর সময় থেকেই পরিদর্শকরা ঘুষের জন্য ঘুরতে থাকে। তার আগ পর্যন্ত নানা আইন আর নিয়ম দেখানো হয়। কিন্তু টাকা দিলে সব অনিয়ম শুদ্ধ হয়ে যায়। 

সূত্র জানায়, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় যেসব ভবন নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্মাণ হয়েছে সেগুলোর একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে। পাশাপাশি ভবনগুলোর ওই অনিয়মের ক্ষেত্রে পরিদর্শকদের গাফিলতি আছে কিনা তা যাচাই করা হবে। যদি পরিদর্শকদের অনিয়ম বা দুর্নীতির প্রমাণ মেলে তখন তাদের বিরুদ্ধে বিধিমালা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান মিঞা জানান, রাজউকের পরিদর্শকরা নানা অজুহাত দেখায়। অনেক সময় তারা কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসার পর আবার শুরু করে দেয়া হয় বলেও জানায়। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এখন থেকে রাজউকের মনিটরিং টিম বেশি বেশি করে বাইরে যাব। পরিদর্শকদের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্যই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব ভবন একেবারেই নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্মাণ হয়েছে সেগুলো ভেঙে ফেলা হবে। সেক্ষেত্রে যদি কোনো পরিদর্শকের অনিয়ম বা দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষ জিরো টলারেন্স নীতি মেনে অ্যাকশনে যাবে।