শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার

সদরঘাট লঞ্চশূন্য, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

#
news image

নৌযান শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে রাজধানী ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চশূন্য হয়ে পড়েছে। রোববার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। সরেজমিনে সদরঘাট ঘুরে দেখা যায়, পল্টুনগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। সদরঘাট থেকে লঞ্চ সরিয়ে শ্যামবাজার ঘাটে সারি করে করে রাখা হয়েছে।

ধর্মঘটের বিষয় না জানা থাকায় বিভিন্নস্থান থেকে যাত্রীরা এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন। সদরঘাট থেকে অনেকে বিকল্প বাহন হিসেবে পিকআপ ও মাইক্রোবাসে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। চাঁদপুর যেতে মাইক্রোবাসে জনপ্রতি খরচ পড়ছে ৭০০ টাকা ও পিকআপে ৪০০ টাকা। রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর থেকে আসা হোসনে আরা বানু বলেন, ‘চাঁদপুর যেতে এসে দেখি, সদরঘাটে কোনো লঞ্চ নেই। বাসে যাতায়াত করলে বমি করি, তাই লঞ্চেই আসা যাওয়া করি। কিন্তু এখন শুনি লঞ্চ যাবে না, তাই বাধ্য হয়ে বাসে যেতে হচ্ছে।’

শ্যাওড়াপাড়া থেকে আসা আসাদুল বলেন, ‘লঞ্চ চলবে না জানলে আগেই বাসে যেতে পারতাম। অযথা সদরঘাট আসতাম না। এখন ঘুরে যাওয়া লাগছে।’ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ূন আহমেদ বলেন, ‘সকাল থেকে চাঁদপুর ও ইলিশা রুটে ১০টি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও যায়নি। ভোলার উদ্দেশ্য মাত্র একটি লঞ্চ ছেড়ে গিয়েছে।’

ধর্মঘটের বিষয়ে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য আতিকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমাদের ১০ দফা দাবিতে চলমান কর্মবিরতিতে সারাদেশের নৌযান শ্রমিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিলে কর্মসূচি তুলে নিবো।’ লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘লঞ্চ না চলায় যেমন আমাদের ক্ষতি, তেমনই তাদেরও ক্ষতি। তাদের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি। দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক এটাই চাই।’ ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। লঞ্চ বন্ধ থাকবে, এটা জানা না থাকায় অনেক যাত্রী এসে ফিরে যাচ্ছেন।’

নৌশ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নৌযান শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিংপাস দিতে হবে। বাল্কহেডের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে হবে। বাংলাদেশের বন্দরসমূহ থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রোতাশ্রয় নির্মাণ ও চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের চলমান কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করতে হবে। বাংলাদেশের বন্দরগুলো থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা ১০০ ভাগ কার্যকর করতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ নভেম্বর, ২০২২,  10:44 PM

news image

নৌযান শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে রাজধানী ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চশূন্য হয়ে পড়েছে। রোববার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। সরেজমিনে সদরঘাট ঘুরে দেখা যায়, পল্টুনগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। সদরঘাট থেকে লঞ্চ সরিয়ে শ্যামবাজার ঘাটে সারি করে করে রাখা হয়েছে।

ধর্মঘটের বিষয় না জানা থাকায় বিভিন্নস্থান থেকে যাত্রীরা এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন। সদরঘাট থেকে অনেকে বিকল্প বাহন হিসেবে পিকআপ ও মাইক্রোবাসে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। চাঁদপুর যেতে মাইক্রোবাসে জনপ্রতি খরচ পড়ছে ৭০০ টাকা ও পিকআপে ৪০০ টাকা। রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর থেকে আসা হোসনে আরা বানু বলেন, ‘চাঁদপুর যেতে এসে দেখি, সদরঘাটে কোনো লঞ্চ নেই। বাসে যাতায়াত করলে বমি করি, তাই লঞ্চেই আসা যাওয়া করি। কিন্তু এখন শুনি লঞ্চ যাবে না, তাই বাধ্য হয়ে বাসে যেতে হচ্ছে।’

শ্যাওড়াপাড়া থেকে আসা আসাদুল বলেন, ‘লঞ্চ চলবে না জানলে আগেই বাসে যেতে পারতাম। অযথা সদরঘাট আসতাম না। এখন ঘুরে যাওয়া লাগছে।’ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ূন আহমেদ বলেন, ‘সকাল থেকে চাঁদপুর ও ইলিশা রুটে ১০টি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও যায়নি। ভোলার উদ্দেশ্য মাত্র একটি লঞ্চ ছেড়ে গিয়েছে।’

ধর্মঘটের বিষয়ে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য আতিকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমাদের ১০ দফা দাবিতে চলমান কর্মবিরতিতে সারাদেশের নৌযান শ্রমিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিলে কর্মসূচি তুলে নিবো।’ লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘লঞ্চ না চলায় যেমন আমাদের ক্ষতি, তেমনই তাদেরও ক্ষতি। তাদের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি। দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক এটাই চাই।’ ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। লঞ্চ বন্ধ থাকবে, এটা জানা না থাকায় অনেক যাত্রী এসে ফিরে যাচ্ছেন।’

নৌশ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নৌযান শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিংপাস দিতে হবে। বাল্কহেডের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে হবে। বাংলাদেশের বন্দরসমূহ থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রোতাশ্রয় নির্মাণ ও চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের চলমান কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করতে হবে। বাংলাদেশের বন্দরগুলো থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা ১০০ ভাগ কার্যকর করতে হবে।