শিরোনামঃ
মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন চর্চার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ যশোর, বাগেরহাট ও নড়াইলের ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিন নেতা ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিক্ষোভ মিছিল বর্হিবিশ্বে লন্ডনে স্হাপিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্তলাল সেন সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ

রাজশাহীতে ৮ শর্তে বিএনপিকে গণসমাবেশের অনুমতি

#
news image

আটটি শর্তে রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আয়োজন ও মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। বিএনপির আবেদন অনুযায়ী রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে (হাজী মুহম্মদ মুহসীন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ) গণসমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজশাহী নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপকমিশনার মো. আবদুর রকিব বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে চিঠি দিয়ে অনুমতি দেওয়ার কথা জানান। এই অনুমতিপত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে আটটি শর্ত তুলে ধরা হয়েছে।

শর্তগুলো হলো- মাদরাসা ময়দান চত্ত্বরের মধ্যে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সমাবেশস্থলের আশপাশসহ রাস্তার কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়া এবং যান ও জন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। নিরাপত্তার জন্য সমাবেশে আগতদের চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সামাজিক-ধর্মীয় মূল্যবোধ, রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কার্যকলাপ এবং উষ্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। সমাবেশে আসা-যাওয়ার পথে শোভাযাত্রা ও মিছিল করাসহ আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরূপ কর্মকাণ্ড করা যাবে না। ব্যানার-ফেস্টুন ও পতাকাতে কোনো লাঠি ও রড ব্যবহার করা যাবে না। ব্যানার-ফেস্টুনের ব্যবহার সীমিত করতে হবে।

আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

মঞ্চ তৈরির সঙ্গে যারা জড়িত (আইডি কার্ডসহ) তারা ব্যতীত অন্য কেউ আগামী ৩ ডিসেম্বরের আগে সমাবেশস্থলে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না। সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। সমাগত নেতাকর্মীরা যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে দায়িত্বশীল নেতারা বা আয়োজকদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে।

নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। সমাবেশস্থলের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর/মাইক/সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা যাবে না। সমাবেশস্থলে ইন্টারনেট সংযোগ ব্রডব্যান্ড সংযোগ ও রাউটার ব্যবহার করা যাবে না। যানবাহনগুলো শহরের ভেতরে প্রবেশ করানো যাবে না। রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। মূল সড়কে কোনো পার্কিং করা যাবে না।

এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়। স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে। জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

এর আগে গত অক্টোবরেই বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু এই মাঠ ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক ১ ডিসেম্বর থেকে মাঠটি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছেন। পরে পুলিশও সমাবেশ আয়োজন এবং সেখানে মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিল।

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ নভেম্বর, ২০২২,  11:37 PM

news image

আটটি শর্তে রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আয়োজন ও মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। বিএনপির আবেদন অনুযায়ী রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে (হাজী মুহম্মদ মুহসীন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ) গণসমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজশাহী নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপকমিশনার মো. আবদুর রকিব বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে চিঠি দিয়ে অনুমতি দেওয়ার কথা জানান। এই অনুমতিপত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে আটটি শর্ত তুলে ধরা হয়েছে।

শর্তগুলো হলো- মাদরাসা ময়দান চত্ত্বরের মধ্যে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সমাবেশস্থলের আশপাশসহ রাস্তার কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়া এবং যান ও জন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। নিরাপত্তার জন্য সমাবেশে আগতদের চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সামাজিক-ধর্মীয় মূল্যবোধ, রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কার্যকলাপ এবং উষ্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। সমাবেশে আসা-যাওয়ার পথে শোভাযাত্রা ও মিছিল করাসহ আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরূপ কর্মকাণ্ড করা যাবে না। ব্যানার-ফেস্টুন ও পতাকাতে কোনো লাঠি ও রড ব্যবহার করা যাবে না। ব্যানার-ফেস্টুনের ব্যবহার সীমিত করতে হবে।

আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

মঞ্চ তৈরির সঙ্গে যারা জড়িত (আইডি কার্ডসহ) তারা ব্যতীত অন্য কেউ আগামী ৩ ডিসেম্বরের আগে সমাবেশস্থলে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না। সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। সমাগত নেতাকর্মীরা যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে দায়িত্বশীল নেতারা বা আয়োজকদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে।

নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। সমাবেশস্থলের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর/মাইক/সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা যাবে না। সমাবেশস্থলে ইন্টারনেট সংযোগ ব্রডব্যান্ড সংযোগ ও রাউটার ব্যবহার করা যাবে না। যানবাহনগুলো শহরের ভেতরে প্রবেশ করানো যাবে না। রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। মূল সড়কে কোনো পার্কিং করা যাবে না।

এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়। স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে। জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

এর আগে গত অক্টোবরেই বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু এই মাঠ ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক ১ ডিসেম্বর থেকে মাঠটি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছেন। পরে পুলিশও সমাবেশ আয়োজন এবং সেখানে মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিল।