শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার

সংসদে প্রধানমন্ত্রী: দাম কমেছে নিত্যপণ্যের

#
news image

সরকারি দলের সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সব দেশেই দ্রব্যমূল্য ভীষণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর কুফল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জনবান্ধব বর্তমান সরকার দেশের নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। সরকারের কার্যক্রমের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে তিনি আশা করেন।
প্রধানমন্ত্রী টিসিবির কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম, বর্তমান ও মার্চ মাসের ১ তারিখের বাজারমূল্যের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১ মার্চ সয়াবিন তেলের এক লিটার ক্যানের বাজারমূল্য ছিল ১৭০ টাকা। ৫ এপ্রিল তার মূল্য কমে হয়েছে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময়ে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৭৫ টাকা থেকে কমে ১৫৫ টাকা, পাম অয়েলের লিটার ১৫৮ টাকা থেকে কমে ১৪২ টাকা হয়েছে। এ সময় টিসিবি প্রতি লিটার ক্যান বিক্রি করেছে ১১০ টাকায়।

১ মার্চ মসুর ডালের কেজি ছিল ১২০ টাকা। ৫ এপ্রিল তা কমে হয়েছে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময়ে টিসিবি প্রতি কেজি ডাল বিক্রি করছে ৬৫ টাকায়।

প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ১ মার্চ ছিল ৮৫ টাকা, সেটা কমে ৫ এপ্রিল ৭৮ টাকা হয়েছে। এ সময়ে তা টিসিবি বিক্রি করছে ৫৫ টাকায়। ১ মার্চ ছোলার কেজি ছিল ৭৭ টাকা, ৫ এপ্রিল হয়েছে ৭২ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময়ে টিসিবি ছোলা বিক্রি করছে কেজি ৫০ টাকায়। পেঁয়াজ ১ মার্চ ছিল ৬০ টাকা কেজি। এখন তা ৩১ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। টিসিবি বিক্রি করছে ২০ টাকা কেজি দরে।

সরকারি দলের সাংসদ মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনা মূল্যে কোভিড টিকাদান শুরু থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২০ ডোজ টিকা সংগ্রহ করেছে। এখন পর্যন্ত ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৮ জনকে প্রথম ডোজ, ১১ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৪ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ কোটি ৮১ হাজার ১৯৩ জনকে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে নেগোশিয়েশন করে বিশ্ববাজারে প্রচলিত দরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। তবে টিকা কেনার ক্ষেত্রে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট থাকায় টিকার মূল্য বা এসংক্রান্ত ব্যয় প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।

প্রভাতী খবর ডেস্ক:

০৬ এপ্রিল, ২০২২,  4:30 AM

news image
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ছবি: ফাইল ফটো

সরকারি দলের সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সব দেশেই দ্রব্যমূল্য ভীষণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর কুফল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জনবান্ধব বর্তমান সরকার দেশের নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। সরকারের কার্যক্রমের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে তিনি আশা করেন।
প্রধানমন্ত্রী টিসিবির কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম, বর্তমান ও মার্চ মাসের ১ তারিখের বাজারমূল্যের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১ মার্চ সয়াবিন তেলের এক লিটার ক্যানের বাজারমূল্য ছিল ১৭০ টাকা। ৫ এপ্রিল তার মূল্য কমে হয়েছে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময়ে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৭৫ টাকা থেকে কমে ১৫৫ টাকা, পাম অয়েলের লিটার ১৫৮ টাকা থেকে কমে ১৪২ টাকা হয়েছে। এ সময় টিসিবি প্রতি লিটার ক্যান বিক্রি করেছে ১১০ টাকায়।

১ মার্চ মসুর ডালের কেজি ছিল ১২০ টাকা। ৫ এপ্রিল তা কমে হয়েছে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময়ে টিসিবি প্রতি কেজি ডাল বিক্রি করছে ৬৫ টাকায়।

প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ১ মার্চ ছিল ৮৫ টাকা, সেটা কমে ৫ এপ্রিল ৭৮ টাকা হয়েছে। এ সময়ে তা টিসিবি বিক্রি করছে ৫৫ টাকায়। ১ মার্চ ছোলার কেজি ছিল ৭৭ টাকা, ৫ এপ্রিল হয়েছে ৭২ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময়ে টিসিবি ছোলা বিক্রি করছে কেজি ৫০ টাকায়। পেঁয়াজ ১ মার্চ ছিল ৬০ টাকা কেজি। এখন তা ৩১ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। টিসিবি বিক্রি করছে ২০ টাকা কেজি দরে।

সরকারি দলের সাংসদ মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনা মূল্যে কোভিড টিকাদান শুরু থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২০ ডোজ টিকা সংগ্রহ করেছে। এখন পর্যন্ত ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৮ জনকে প্রথম ডোজ, ১১ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৪ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ কোটি ৮১ হাজার ১৯৩ জনকে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে নেগোশিয়েশন করে বিশ্ববাজারে প্রচলিত দরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। তবে টিকা কেনার ক্ষেত্রে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট থাকায় টিকার মূল্য বা এসংক্রান্ত ব্যয় প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।