ফলমূল-খাদ্যদ্রব্যে বিষ মেশানোর সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ জুন, ২০২২, 10:20 PM

ফলমূল-খাদ্যদ্রব্যে বিষ মেশানোর সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি
মৌসুমি ফলমূলসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য বিষমুক্ত রাখার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাগান থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত খাদ্যে যারা ফরমালিন ও বিষ যুক্ত করে তাদের কঠোর আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি তুলে ধরেন পরিবেশ সংশ্লিষ্ট প্রায় ১৫টি সংগঠন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফলের মৌসুম গ্রীষ্মকাল। এ সময় যত ফল-ফলাদি পাওয়া যায়, অন্য কোনো মৌসুমে এতটা পাওয়া যায় না। এরইমধ্যে বাজারে এসেছে মধুমাসের আম, লিচু, জাম, আনারস ও কাঁঠালসহ বিভিন্ন সুস্বাদু ফল। তবে বর্তমানে নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত মৌসুমি ফল পাওয়া নিয়ে জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, মৌসুমি ফলের উৎপাদন, বিপণন, বাজারজাতকরণ ও সংরক্ষণে ব্যাপকভাবে বিষ ও ভেজালের মিশ্রণ করা হয়। চাহিদা বেশি থাকায় তাড়াতাড়ি ফল বাজারজাত করতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল মেশানোর প্রতিযোগিতায় নামে। তাই জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় বিষ ও ভেজালমুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত মৌসুমি ফল নিশ্চিত করা জরুরি। মানববন্ধনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, নিরাপদ খাদ্য আমাদের নাগরিক অধিকার। রাষ্ট্র সেই দায়িত্ব পালন করছে না। আমরা নিরাপদ খাদ্য পাচ্ছি না। বাজারে যে ফল বিক্রি হয়, প্রতিটি পদে পদে সেখানে বিষ মেশানো হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি আমবাগান থেকেই বিষ মেশানো শুরু হয়। ফলে পরিপক্ক হওয়ার আগেই আম বাজারে চলে আসছে। এখন কাঁঠালের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যারা এসব নিয়ন্ত্রণ করে, তারা পর্যাপ্ত উদ্যোগ নিচ্ছে না। নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না বলেন, মানুষকে হত্যা করলে যদি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তাহলে বিষ খাইয়ে যারা মানুষকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলছে তাদেরও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। একজন ব্যবসায়ী যদি আদর্শবান ও সৎ না হয় তাহলে এগুলো বন্ধ হবে না। আমরা সবাইকে আহ্বান জানাবো- সৎভাবে ব্যবসা করুন। আমরা আশা করবো, সরকার মানুষের সুস্থতার কথা চিন্তা করে বিষমুক্ত ফল যেন খেতে পারি, সে ব্যবস্থা চালু করবেন। পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদ বলেন, ফলমূলে ফরমালিন ব্যবহার করে আমাদের বিষ খাওয়ানো হচ্ছে। এতে আমাদের শিশু ও বয়স্করা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। ফলমূলে ফরমালিন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, ফলে বিষ মেশানো শুরু হয় বাগান থেকেই। সেখান থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে বিষ। এর ফলে আমরা সবাই একসঙ্গে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। এটা বন্ধ করতে হবে। যে বাগানে বিষ মেশানো হয়, সেই বাগানের ফল বিক্রি বন্ধ করতে হবে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য মাহবুবুল হক ও বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল রহমান। এ সময় ফরমালিন ও বিষমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে মানববন্ধনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন বক্তারা। সেগুলো হলো-
১। উৎপাদন পর্যায় থেকে খাদ্যগ্রহণ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে খাদ্যের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
২। দেশে বর্তমানে খাদ্যে বিষ বা ভেজালের সঠিক চিত্র নিরুপণে অপপৎবফরঃবফ খধনড়ৎধঃড়ৎু তে পরীক্ষা করা।
৩। খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি মেশানোর সঙ্গে জড়িত ও রাসায়নিক দ্রব্যাদিযুক্ত খাদ্য বিক্রয়কারীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ড দেওয়াই যথেষ্ট নয়, এদের বিরুদ্ধে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট-১৯৭৪ এর ২৫-গ ধারা প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই ধারায় খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার জন্য কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ বা ভেজাল খাবার বিক্রয়ের জন্য মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
৪। ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদ কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। আইনের আওতায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের বাস্তব কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। আইনটি বাস্তবায়নে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৫। ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৫ দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
৬। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া।
৭। ভেজালবিরোধী টিম কর্তৃক নিয়মিত খেজুরসহ অন্যান্য ফল, মুড়ি, সেমাই ও রঙমিশ্রিত খাবার ইত্যাদি পরীক্ষা করা এবং খাদ্য মজুদকারী সব গুদাম,কারখানা বা মোকাম পরিদর্শন করা।
৮। পণ্য আমদানি পর্যায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ফরমালিনসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যাদি পরীক্ষা করা এবং এ কাজে এনবিআরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৯। সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ রাসায়নিক পদার্থের আমদানিকারক ও ব্যবহারকারী এবং লেবেল ছাড়া বা মিথ্যা লেবেলের অধীন কীটনাশক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১০। গণমাধ্যমে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের ফরমালিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যাদির বিষয়ে সচেতন করা।
১১। সময়োপযোগী কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা।
১২। খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারকরণ এবং পরিদর্শন ও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনায় সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় করা।
১৩। স্টকহোম কনভেনশনে সই করা দেশ হিসেবে ডাইক্লোরো ডাইফেনাইল ট্রাইক্লোরো ইথেন (ডিডিটি) ও হেপ্টাক্লোরের মতো কীটনাশকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে কার্যক্রম গ্রহণ করা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ জুন, ২০২২, 10:20 PM

মৌসুমি ফলমূলসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য বিষমুক্ত রাখার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাগান থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত খাদ্যে যারা ফরমালিন ও বিষ যুক্ত করে তাদের কঠোর আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি তুলে ধরেন পরিবেশ সংশ্লিষ্ট প্রায় ১৫টি সংগঠন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফলের মৌসুম গ্রীষ্মকাল। এ সময় যত ফল-ফলাদি পাওয়া যায়, অন্য কোনো মৌসুমে এতটা পাওয়া যায় না। এরইমধ্যে বাজারে এসেছে মধুমাসের আম, লিচু, জাম, আনারস ও কাঁঠালসহ বিভিন্ন সুস্বাদু ফল। তবে বর্তমানে নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত মৌসুমি ফল পাওয়া নিয়ে জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, মৌসুমি ফলের উৎপাদন, বিপণন, বাজারজাতকরণ ও সংরক্ষণে ব্যাপকভাবে বিষ ও ভেজালের মিশ্রণ করা হয়। চাহিদা বেশি থাকায় তাড়াতাড়ি ফল বাজারজাত করতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল মেশানোর প্রতিযোগিতায় নামে। তাই জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় বিষ ও ভেজালমুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত মৌসুমি ফল নিশ্চিত করা জরুরি। মানববন্ধনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, নিরাপদ খাদ্য আমাদের নাগরিক অধিকার। রাষ্ট্র সেই দায়িত্ব পালন করছে না। আমরা নিরাপদ খাদ্য পাচ্ছি না। বাজারে যে ফল বিক্রি হয়, প্রতিটি পদে পদে সেখানে বিষ মেশানো হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি আমবাগান থেকেই বিষ মেশানো শুরু হয়। ফলে পরিপক্ক হওয়ার আগেই আম বাজারে চলে আসছে। এখন কাঁঠালের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যারা এসব নিয়ন্ত্রণ করে, তারা পর্যাপ্ত উদ্যোগ নিচ্ছে না। নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না বলেন, মানুষকে হত্যা করলে যদি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তাহলে বিষ খাইয়ে যারা মানুষকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলছে তাদেরও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। একজন ব্যবসায়ী যদি আদর্শবান ও সৎ না হয় তাহলে এগুলো বন্ধ হবে না। আমরা সবাইকে আহ্বান জানাবো- সৎভাবে ব্যবসা করুন। আমরা আশা করবো, সরকার মানুষের সুস্থতার কথা চিন্তা করে বিষমুক্ত ফল যেন খেতে পারি, সে ব্যবস্থা চালু করবেন। পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদ বলেন, ফলমূলে ফরমালিন ব্যবহার করে আমাদের বিষ খাওয়ানো হচ্ছে। এতে আমাদের শিশু ও বয়স্করা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। ফলমূলে ফরমালিন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, ফলে বিষ মেশানো শুরু হয় বাগান থেকেই। সেখান থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে বিষ। এর ফলে আমরা সবাই একসঙ্গে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। এটা বন্ধ করতে হবে। যে বাগানে বিষ মেশানো হয়, সেই বাগানের ফল বিক্রি বন্ধ করতে হবে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য মাহবুবুল হক ও বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল রহমান। এ সময় ফরমালিন ও বিষমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে মানববন্ধনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন বক্তারা। সেগুলো হলো-
১। উৎপাদন পর্যায় থেকে খাদ্যগ্রহণ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে খাদ্যের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
২। দেশে বর্তমানে খাদ্যে বিষ বা ভেজালের সঠিক চিত্র নিরুপণে অপপৎবফরঃবফ খধনড়ৎধঃড়ৎু তে পরীক্ষা করা।
৩। খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি মেশানোর সঙ্গে জড়িত ও রাসায়নিক দ্রব্যাদিযুক্ত খাদ্য বিক্রয়কারীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ড দেওয়াই যথেষ্ট নয়, এদের বিরুদ্ধে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট-১৯৭৪ এর ২৫-গ ধারা প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই ধারায় খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার জন্য কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ বা ভেজাল খাবার বিক্রয়ের জন্য মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
৪। ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদ কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। আইনের আওতায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের বাস্তব কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। আইনটি বাস্তবায়নে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৫। ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৫ দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
৬। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া।
৭। ভেজালবিরোধী টিম কর্তৃক নিয়মিত খেজুরসহ অন্যান্য ফল, মুড়ি, সেমাই ও রঙমিশ্রিত খাবার ইত্যাদি পরীক্ষা করা এবং খাদ্য মজুদকারী সব গুদাম,কারখানা বা মোকাম পরিদর্শন করা।
৮। পণ্য আমদানি পর্যায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ফরমালিনসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যাদি পরীক্ষা করা এবং এ কাজে এনবিআরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৯। সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ রাসায়নিক পদার্থের আমদানিকারক ও ব্যবহারকারী এবং লেবেল ছাড়া বা মিথ্যা লেবেলের অধীন কীটনাশক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১০। গণমাধ্যমে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের ফরমালিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যাদির বিষয়ে সচেতন করা।
১১। সময়োপযোগী কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা।
১২। খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারকরণ এবং পরিদর্শন ও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনায় সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় করা।
১৩। স্টকহোম কনভেনশনে সই করা দেশ হিসেবে ডাইক্লোরো ডাইফেনাইল ট্রাইক্লোরো ইথেন (ডিডিটি) ও হেপ্টাক্লোরের মতো কীটনাশকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে কার্যক্রম গ্রহণ করা।