শিরোনামঃ
জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান

১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১২ টাকা

#
news image

ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেড়েছে। আজ (রোববার) থেকে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে লাগবে ১ হাজার ২৫৪ টাকা, যা গতমাসে ছিল ১ হাজার ২৪২ টাকা। অর্থাৎ ১২ কেজি এলপিজির দাম বেড়েছে ১২ টাকা।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। নতুন এ দাম সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে সরকারি এ সংস্থাটি। এরপর থেকে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করছে বিইআরসি। এর আগে, জুনে দাম কমেছিল ৯৩ টাকা, আর আগের মাসে কমেছিল ১০৪ টাকা।
জুলাই মাসের জন্য সমন্বয় করা দামের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেসরকারি পর্যায়ে জুলাই মাসের জন্য মূসকসহ প্রতি কেজি এলপি গ্যাসের দাম ১০৪ টাকা ৫২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজির মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ১ হাজার ২৫৪ টাকা। ফলে জুনের তুলনায় জুলাই মাসে গ্রাহককে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি কিনতে ১২ টাকা বেশি পরিশোধ করতে হবে।
ঘোষণা অনুযায়ী, মোটরগাড়ির জন্য অটো-গ্যাসের দামও বর্তমানে মূসকসহ প্রতি লিটার ৫৭ টাকা ৯১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫৮ টাকা ৪৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
সৌদি সিপি অনুসারে জুলাই মাসের জন্য প্রোপেন ও বিউটেন উভয়ের ঘোষণা করা দাম টনপ্রতি ৭২৫ ডলার, মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় জুলাইয়ের জন্য এ  নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি কেজি এলপিজির সর্বোচ্চ মূল্য ১০৪ টাকা ৫২ পয়সা ধরে জুলাই মাসে সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৭৫ টাকা, ১২ কেজির দাম ১২৫৪ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির দাম ১৩০৭ টাকা, ১৫ কেজির দাম ১৫৬৮ টাকা, ১৬ কেজির দাম ১৬৭৩ টাকা, ১৮ কেজির দাম ১৮৮১  টাকা, ২০ কেজির দাম ২০৯১ টাকা, ২২ কেজির দাম ২২৯৯ টাকা, ২৫ কেজির দাম ২৬১২ টাকা, ৩০ কেজির দাম ৩১৩৬ টাকা, ৩৩ কেজির দাম ৩৪৪৯ টাকা, ৩৫ কেজির দাম ৩৬৫৮ টাকা এবং ৪৫ কেজির দাম চার হাজার ৭০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয়ের পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির উৎপাদিত এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলপিজি দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানেন না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে এলপিজি ব্যবহারে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। আর মুনাফা লুটছে কোম্পানি, ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ জুলাই, ২০২২,  12:49 AM

news image

ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেড়েছে। আজ (রোববার) থেকে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে লাগবে ১ হাজার ২৫৪ টাকা, যা গতমাসে ছিল ১ হাজার ২৪২ টাকা। অর্থাৎ ১২ কেজি এলপিজির দাম বেড়েছে ১২ টাকা।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। নতুন এ দাম সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে সরকারি এ সংস্থাটি। এরপর থেকে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করছে বিইআরসি। এর আগে, জুনে দাম কমেছিল ৯৩ টাকা, আর আগের মাসে কমেছিল ১০৪ টাকা।
জুলাই মাসের জন্য সমন্বয় করা দামের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেসরকারি পর্যায়ে জুলাই মাসের জন্য মূসকসহ প্রতি কেজি এলপি গ্যাসের দাম ১০৪ টাকা ৫২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজির মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ১ হাজার ২৫৪ টাকা। ফলে জুনের তুলনায় জুলাই মাসে গ্রাহককে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি কিনতে ১২ টাকা বেশি পরিশোধ করতে হবে।
ঘোষণা অনুযায়ী, মোটরগাড়ির জন্য অটো-গ্যাসের দামও বর্তমানে মূসকসহ প্রতি লিটার ৫৭ টাকা ৯১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫৮ টাকা ৪৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
সৌদি সিপি অনুসারে জুলাই মাসের জন্য প্রোপেন ও বিউটেন উভয়ের ঘোষণা করা দাম টনপ্রতি ৭২৫ ডলার, মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় জুলাইয়ের জন্য এ  নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি কেজি এলপিজির সর্বোচ্চ মূল্য ১০৪ টাকা ৫২ পয়সা ধরে জুলাই মাসে সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৭৫ টাকা, ১২ কেজির দাম ১২৫৪ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির দাম ১৩০৭ টাকা, ১৫ কেজির দাম ১৫৬৮ টাকা, ১৬ কেজির দাম ১৬৭৩ টাকা, ১৮ কেজির দাম ১৮৮১  টাকা, ২০ কেজির দাম ২০৯১ টাকা, ২২ কেজির দাম ২২৯৯ টাকা, ২৫ কেজির দাম ২৬১২ টাকা, ৩০ কেজির দাম ৩১৩৬ টাকা, ৩৩ কেজির দাম ৩৪৪৯ টাকা, ৩৫ কেজির দাম ৩৬৫৮ টাকা এবং ৪৫ কেজির দাম চার হাজার ৭০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয়ের পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির উৎপাদিত এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলপিজি দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানেন না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে এলপিজি ব্যবহারে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। আর মুনাফা লুটছে কোম্পানি, ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।