জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জুলাই, ২০২৫, 10:04 PM

জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি
জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে (নিটোর) যেনো এক পুকুর চুরির মতো ঘটনা ঘটেছে। মাল না দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমনকি সার্ভে কমিটি যাচাই-বাছাই করার আগেই এজি অফিসে বিল জমা দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম সাপ্লাইর্সে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম ও অসঙ্গতি তারপরেও কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিলের টোকেন নিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যুবায়ের সার্জিক্যালের মালিক সাবেক এমপি ছেলুন জোয়াদ্দারের ব্যবসায়িক পার্টনার হারুন।
বাৎসরিক অষুধ ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করলেও এই অর্থ বছরে অষুধ ক্রয় করা হয়েছে ৩.৫০ কোটি টাকার। তুলা, গছ,ব্যান্ডিজ, প্লাস্টার এসব আইটেমে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। ১১ কোটি টেন্ডারের মধ্যে শুধু অষুধ ক্রয় করা হয় সারে ৩ কোটি টাকার বাকি ৮ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে ৩টি কোম্পানি কাজ পেয়েছে ১১ কোটি টাকার। যা সবই ছয়নয় করে মাল পরিপূর্ণভাবে না দিলেও আগেই বিলের টোকেন নিয়ে রেখেছে কোম্পানিগুলো। যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ পেয়েছে সেগুলো হচ্ছে জোবায়ের ইন্টারন্যাশনাল, জুবায়ের সার্জিক্যাল, মিজান ট্রেডÑ এই ৩টি কোম্পানির মালিক সাবেক এমপি ছেলুন জোয়াদ্দারের ব্যবসয়ীক পার্টনার হারুন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে এখনও সিন্ডিকেটের মধ্যেমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানরা দুর্নীতি করেই যাচ্ছে। এই অর্থ বছরে এই ৩টি কোম্পানি ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকার কাজ পেয়েছে। কিন্তু প্রতিটি কাজেই রয়েছে অসঙ্গতি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করার যেনো কেউ নেই, এমনকি হাসপাতাল পরিচালক নিজেও যেনো এগুলো দেখেও না দেখার ভান করে আছেন। ইতোমধ্যে ৫ থেকে ৬টি চিকিৎসা সরঞ্জাম আইটেমে অসঙ্গতি রয়েছে এবং অষুধেও রয়েছে এমজি কমের অভিযোগ।
হাসপাতাল থেকে কয়েকজন গোপন সূত্রে জানান, বর্তমান অর্থ বছরে যে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে এরমধ্যে ব্যাপক কারসাজি রয়েছে। এগুলো দেখার মতো কেউ দেখছে না। সার্ভে কমিটিও যেনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই রয়েছে। রোগীদের অষুধেও কম এমজি অষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। সূত্রটি বলছে, কটন ওয়ার্ক অর্ডার ৪৫ হাজার পিস ওর্ডার থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়েছে ৪২ হাজার পিস, ওজন থাকার কথা ৪০০ গ্রাম আছে ৩০০ গ্রাম। ব্যান্ডেজটি ওয়ার্ক অর্ডার ৪০ হাজার পিস দিয়েছে ২০ হাজার পিস। দৈর্ঘ্য থাকার কথা ১৮ থেকে ১৯ মিটার দেয়া হয়েছে ১১ থেকে ১৪ মিটার। গজ ওয়ার্ক অর্ডার ৪০ হাজার পিস দিয়েছে ৩০ হাজার পিস। দৈর্ঘ্য থাকার কথা ১৪ থেকে ১৮ মিটার দেয়া হয়েছে ১১ থেকে ১৪ মিটার এবং প্লাস্টার রোল ছয় ইঞ্চি সাইজের পাশে কম দেয়া হয়েছে অর্ডার ছিল ৮৫ হাজার পিস দিয়েছে ৫০ হাজার। এ ছাড়া প্লাস্টার রোল চার ইঞ্চি অর্ডার ছিলো ৯ হাজর পিস, দিয়েছে ২ হাজার। কিন্তু পাশে কম, প্লাস্টার রোল ৬ ইঞ্চি একটি আইটেমের, ওয়ার্ক অর্ডার নয় হাজার যে পিস ছিলো এক পিসও হাসপাতালে ঢুকে নাই বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতাল থেকে কয়েকজন এই তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে ১১ কোটি টাকার কাজের মধ্যে ওষুধের কাজও নিয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকার, কোন ওষুধের যথাযথ মান ঠিক নাই বলেও জানিয়েছেন হাসপাতাল থেকে। ১ কোটি ৫৫ লাখ, ৯৫ লাখ, ৯০ লাখ। টাকার ঔষধ সরবরাহ করেছে জোবায়ের ইন্টারন্যাশনাল। কোম্পানি কিন্তু ঔষধের মান নিয়ে সেখানেও রয়েছে কারসাজি। গোপন সূত্রে জানা গেছে, সেখানে ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। ঔষধের ডেম্পারিং কম এবং এমজি কম রয়েছে তবে ঔষধ গুলো যথাযথ নামি-দামি কোম্পানি থেকেই ক্রয় করা হয়েছ। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ গুলা ল্যাবে টেস্ট করে তারপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল সরবরাহ করবে। কিন্তু সেই ল্যাপ-টেস্ট ছাড়াই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিল কপিতে সিগন্যাচার করে নিয়েছে হাসপাতালের পরিচালকের কাছ থেকে। ফলে অনেকেই বলছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি, পঙ্গুর পরিচালক ও এজি অফিসের কারসাজির কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে।
এদিকে হাসপাতালটির কারসাজির সঙ্গে একাউন্টিং হুমায়ুন, স্টোরকিপার মোহন ও সায়েম এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামার রিপনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। হুমায়ুন সাবেক বিতর্কিত প্রোজেক্ট ডাইরেক্টর সিরাজ মোল্লার সহকারী ছিলেন। অনেকের ভাষ্য, হাসপাতালের ডাক্তাররা দুর্নীতি ও অনিয়ম করার সাহস না থাকলেও হুমায়ুনের সাহসেই এসব হচ্ছে।
টেন্ডার কমিটি যাচাই-বাছাই করার জন্য কাগজপত্র জমা দেন একাউন্টটিংয়ের কাছে, একাউন্টটিং তার মনমতো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে থাকবেন। এর কারণ একাউন্টটিং ফাস্ট লোয়েস্টকে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে ৯-১০ নম্বর লোয়েস্টকে কাজ দিয়ে থাকেন এমন অভিযোগ ও রয়েছে একাউন্টটিং হুমায়ুন এর বিরুদ্ধে। পঙ্গু হাসপাতালের একাউন্টটিং হুমায়ুন এর কাছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিষয় তথ্য চাইতে গেলে তিনি এসব বিষয় কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। হাসপাতালের ড্রেসিং রুমে সরেজমিনে গেলে সেখান থেকে সেখানে দায়িত্বে থাকা সিনিয়র নার্স শাহীন খোলা কাগজকে জানান, নতুন যে মালÑ গজ তুলা এসেছে সেগুলো ৫টি খুললে ২টিই নষ্ট পাওয়া যায়। বর্তমান গজ তুলার মান তেমন ভালো না।
এ বিষয় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, যারা মালগুলো রিসিভ করেছেন তাদের কাছে যান, তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন। আমি তো রিসিভ করি নাই, যারা রিসিভ করেছে; তাদের কাছে যান এবং খোঁজ নেন। এ সময় হাসপাতালে যা হচ্ছে নিয়ম মেনেই হচ্ছে, কোনো অনিয়ম নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
১১ কোটি টাকার মালামালের অনিয়ম তারপরও কিভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আগাম বিলের টোকেন নিয়ে রাখেন জানতে চাইলো তিনি বলেন, হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিল দেওয়া হয়েছে। এখন অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।অন্যদিকে প্রতিবেদক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আইটেমগুলো দেখতে চাইলে হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক ডাক্তার রশিদুল আলম জানান, জনস্বার্থে এগুলো দেখানো যাবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জুলাই, ২০২৫, 10:04 PM

জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে (নিটোর) যেনো এক পুকুর চুরির মতো ঘটনা ঘটেছে। মাল না দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমনকি সার্ভে কমিটি যাচাই-বাছাই করার আগেই এজি অফিসে বিল জমা দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম সাপ্লাইর্সে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম ও অসঙ্গতি তারপরেও কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিলের টোকেন নিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যুবায়ের সার্জিক্যালের মালিক সাবেক এমপি ছেলুন জোয়াদ্দারের ব্যবসায়িক পার্টনার হারুন।
বাৎসরিক অষুধ ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করলেও এই অর্থ বছরে অষুধ ক্রয় করা হয়েছে ৩.৫০ কোটি টাকার। তুলা, গছ,ব্যান্ডিজ, প্লাস্টার এসব আইটেমে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। ১১ কোটি টেন্ডারের মধ্যে শুধু অষুধ ক্রয় করা হয় সারে ৩ কোটি টাকার বাকি ৮ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে ৩টি কোম্পানি কাজ পেয়েছে ১১ কোটি টাকার। যা সবই ছয়নয় করে মাল পরিপূর্ণভাবে না দিলেও আগেই বিলের টোকেন নিয়ে রেখেছে কোম্পানিগুলো। যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ পেয়েছে সেগুলো হচ্ছে জোবায়ের ইন্টারন্যাশনাল, জুবায়ের সার্জিক্যাল, মিজান ট্রেডÑ এই ৩টি কোম্পানির মালিক সাবেক এমপি ছেলুন জোয়াদ্দারের ব্যবসয়ীক পার্টনার হারুন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে এখনও সিন্ডিকেটের মধ্যেমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানরা দুর্নীতি করেই যাচ্ছে। এই অর্থ বছরে এই ৩টি কোম্পানি ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকার কাজ পেয়েছে। কিন্তু প্রতিটি কাজেই রয়েছে অসঙ্গতি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করার যেনো কেউ নেই, এমনকি হাসপাতাল পরিচালক নিজেও যেনো এগুলো দেখেও না দেখার ভান করে আছেন। ইতোমধ্যে ৫ থেকে ৬টি চিকিৎসা সরঞ্জাম আইটেমে অসঙ্গতি রয়েছে এবং অষুধেও রয়েছে এমজি কমের অভিযোগ।
হাসপাতাল থেকে কয়েকজন গোপন সূত্রে জানান, বর্তমান অর্থ বছরে যে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে এরমধ্যে ব্যাপক কারসাজি রয়েছে। এগুলো দেখার মতো কেউ দেখছে না। সার্ভে কমিটিও যেনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই রয়েছে। রোগীদের অষুধেও কম এমজি অষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। সূত্রটি বলছে, কটন ওয়ার্ক অর্ডার ৪৫ হাজার পিস ওর্ডার থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়েছে ৪২ হাজার পিস, ওজন থাকার কথা ৪০০ গ্রাম আছে ৩০০ গ্রাম। ব্যান্ডেজটি ওয়ার্ক অর্ডার ৪০ হাজার পিস দিয়েছে ২০ হাজার পিস। দৈর্ঘ্য থাকার কথা ১৮ থেকে ১৯ মিটার দেয়া হয়েছে ১১ থেকে ১৪ মিটার। গজ ওয়ার্ক অর্ডার ৪০ হাজার পিস দিয়েছে ৩০ হাজার পিস। দৈর্ঘ্য থাকার কথা ১৪ থেকে ১৮ মিটার দেয়া হয়েছে ১১ থেকে ১৪ মিটার এবং প্লাস্টার রোল ছয় ইঞ্চি সাইজের পাশে কম দেয়া হয়েছে অর্ডার ছিল ৮৫ হাজার পিস দিয়েছে ৫০ হাজার। এ ছাড়া প্লাস্টার রোল চার ইঞ্চি অর্ডার ছিলো ৯ হাজর পিস, দিয়েছে ২ হাজার। কিন্তু পাশে কম, প্লাস্টার রোল ৬ ইঞ্চি একটি আইটেমের, ওয়ার্ক অর্ডার নয় হাজার যে পিস ছিলো এক পিসও হাসপাতালে ঢুকে নাই বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতাল থেকে কয়েকজন এই তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে ১১ কোটি টাকার কাজের মধ্যে ওষুধের কাজও নিয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকার, কোন ওষুধের যথাযথ মান ঠিক নাই বলেও জানিয়েছেন হাসপাতাল থেকে। ১ কোটি ৫৫ লাখ, ৯৫ লাখ, ৯০ লাখ। টাকার ঔষধ সরবরাহ করেছে জোবায়ের ইন্টারন্যাশনাল। কোম্পানি কিন্তু ঔষধের মান নিয়ে সেখানেও রয়েছে কারসাজি। গোপন সূত্রে জানা গেছে, সেখানে ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। ঔষধের ডেম্পারিং কম এবং এমজি কম রয়েছে তবে ঔষধ গুলো যথাযথ নামি-দামি কোম্পানি থেকেই ক্রয় করা হয়েছ। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ গুলা ল্যাবে টেস্ট করে তারপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল সরবরাহ করবে। কিন্তু সেই ল্যাপ-টেস্ট ছাড়াই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিল কপিতে সিগন্যাচার করে নিয়েছে হাসপাতালের পরিচালকের কাছ থেকে। ফলে অনেকেই বলছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি, পঙ্গুর পরিচালক ও এজি অফিসের কারসাজির কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে।
এদিকে হাসপাতালটির কারসাজির সঙ্গে একাউন্টিং হুমায়ুন, স্টোরকিপার মোহন ও সায়েম এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামার রিপনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। হুমায়ুন সাবেক বিতর্কিত প্রোজেক্ট ডাইরেক্টর সিরাজ মোল্লার সহকারী ছিলেন। অনেকের ভাষ্য, হাসপাতালের ডাক্তাররা দুর্নীতি ও অনিয়ম করার সাহস না থাকলেও হুমায়ুনের সাহসেই এসব হচ্ছে।
টেন্ডার কমিটি যাচাই-বাছাই করার জন্য কাগজপত্র জমা দেন একাউন্টটিংয়ের কাছে, একাউন্টটিং তার মনমতো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে থাকবেন। এর কারণ একাউন্টটিং ফাস্ট লোয়েস্টকে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে ৯-১০ নম্বর লোয়েস্টকে কাজ দিয়ে থাকেন এমন অভিযোগ ও রয়েছে একাউন্টটিং হুমায়ুন এর বিরুদ্ধে। পঙ্গু হাসপাতালের একাউন্টটিং হুমায়ুন এর কাছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিষয় তথ্য চাইতে গেলে তিনি এসব বিষয় কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। হাসপাতালের ড্রেসিং রুমে সরেজমিনে গেলে সেখান থেকে সেখানে দায়িত্বে থাকা সিনিয়র নার্স শাহীন খোলা কাগজকে জানান, নতুন যে মালÑ গজ তুলা এসেছে সেগুলো ৫টি খুললে ২টিই নষ্ট পাওয়া যায়। বর্তমান গজ তুলার মান তেমন ভালো না।
এ বিষয় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, যারা মালগুলো রিসিভ করেছেন তাদের কাছে যান, তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন। আমি তো রিসিভ করি নাই, যারা রিসিভ করেছে; তাদের কাছে যান এবং খোঁজ নেন। এ সময় হাসপাতালে যা হচ্ছে নিয়ম মেনেই হচ্ছে, কোনো অনিয়ম নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
১১ কোটি টাকার মালামালের অনিয়ম তারপরও কিভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আগাম বিলের টোকেন নিয়ে রাখেন জানতে চাইলো তিনি বলেন, হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিল দেওয়া হয়েছে। এখন অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।অন্যদিকে প্রতিবেদক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আইটেমগুলো দেখতে চাইলে হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক ডাক্তার রশিদুল আলম জানান, জনস্বার্থে এগুলো দেখানো যাবে না।
সম্পর্কিত