নির্দিষ্ট কিছু পণ্যেই আটকা রপ্তানি

প্রভাতী খবর ডেস্ক
২১ আগস্ট, ২০২২, 9:28 PM

নির্দিষ্ট কিছু পণ্যেই আটকা রপ্তানি
দেশের অর্থনীতির টানাপোড়েনের সময়ও স্বস্তি দিয়েছে রপ্তানিখাত। বিদেশে পণ্য পাঠিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ এনেছেন রপ্তানিকারকরা। গতবারের ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেখে এবার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১৫ বিলিয়ন বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়েই এসেছে ধাক্কা। এ সময়ে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাকি ১১ মাসে গড়ে রপ্তানি করতে হবে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার করে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানিপণ্যে বৈচিত্র্য না আনতে পারলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে মূলত ৩৪ ক্যাটাগরির পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে সাত পণ্য থেকেই এসেছে প্রায় ৯৪ শতাংশ রপ্তানি আয়। এককভাবে মোট রপ্তানির প্রায় ৮২ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাকখাত থেকে। যদিও আমাদের রপ্তানির তালিকায় সাত শতাধিক পণ্য রয়েছে।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফাঁকা বুলি আওড়ালেও পণ্য বৈচিত্র্যকরণে নীতিনির্ধারকরা আন্তরিক নন। তৈরি পোশাকে বেশি নজর, পণ্যের বাজার ধরতে অনাগ্রহ, পণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও জাহাজীকরণ, ট্যারিফ নীতিমালা প্রণয়ন না করাসহ একাধিক কারণে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে আগ্রহী হচ্ছেন না উদ্যোক্তারা।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, তৈরি পোশাক, হোমটেক্সটাইল, হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ, কৃষিজাত পণ্য, পাট ও পাটজাতপণ্য, চামড়া ও চামড়াপণ্য এবং হালকা প্রকৌশল পণ্য- এই সাত ধরনের পণ্যেই মূলত আটকে আছে রপ্তানি।
২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেন উদ্যোক্তারা। এর মধ্যে ওই আট পণ্য থেকে এসেছে চার হাজার ৯১০ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের মতো ২০২০-২১ অর্থবছরেও ৮ পণ্য থেকে এসেছিল মোট রপ্তানির ৯৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, একই অবস্থা ছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরও। সে বছর ৯৫ শতাংশ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯৫ দশমিক ১৬ শতাংশ রপ্তানি আয় এসেছিল পণ্যগুলো থেকে।
প্রভাতী খবর ডেস্ক
২১ আগস্ট, ২০২২, 9:28 PM

দেশের অর্থনীতির টানাপোড়েনের সময়ও স্বস্তি দিয়েছে রপ্তানিখাত। বিদেশে পণ্য পাঠিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ এনেছেন রপ্তানিকারকরা। গতবারের ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেখে এবার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১৫ বিলিয়ন বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়েই এসেছে ধাক্কা। এ সময়ে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাকি ১১ মাসে গড়ে রপ্তানি করতে হবে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার করে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানিপণ্যে বৈচিত্র্য না আনতে পারলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে মূলত ৩৪ ক্যাটাগরির পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে সাত পণ্য থেকেই এসেছে প্রায় ৯৪ শতাংশ রপ্তানি আয়। এককভাবে মোট রপ্তানির প্রায় ৮২ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাকখাত থেকে। যদিও আমাদের রপ্তানির তালিকায় সাত শতাধিক পণ্য রয়েছে।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফাঁকা বুলি আওড়ালেও পণ্য বৈচিত্র্যকরণে নীতিনির্ধারকরা আন্তরিক নন। তৈরি পোশাকে বেশি নজর, পণ্যের বাজার ধরতে অনাগ্রহ, পণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও জাহাজীকরণ, ট্যারিফ নীতিমালা প্রণয়ন না করাসহ একাধিক কারণে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে আগ্রহী হচ্ছেন না উদ্যোক্তারা।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, তৈরি পোশাক, হোমটেক্সটাইল, হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ, কৃষিজাত পণ্য, পাট ও পাটজাতপণ্য, চামড়া ও চামড়াপণ্য এবং হালকা প্রকৌশল পণ্য- এই সাত ধরনের পণ্যেই মূলত আটকে আছে রপ্তানি।
২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেন উদ্যোক্তারা। এর মধ্যে ওই আট পণ্য থেকে এসেছে চার হাজার ৯১০ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের মতো ২০২০-২১ অর্থবছরেও ৮ পণ্য থেকে এসেছিল মোট রপ্তানির ৯৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, একই অবস্থা ছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরও। সে বছর ৯৫ শতাংশ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯৫ দশমিক ১৬ শতাংশ রপ্তানি আয় এসেছিল পণ্যগুলো থেকে।