শিরোনামঃ
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন চর্চার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ যশোর, বাগেরহাট ও নড়াইলের ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিন নেতা ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিক্ষোভ মিছিল বর্হিবিশ্বে লন্ডনে স্হাপিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্তলাল সেন সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ বিটিএ’র পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত পরিচালককে অভিনন্দন বিকাশ দেওয়ান ছিলেন একজন সফল এমডি

দুর্যোগ মৌসুমেও পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে সুন্দরবনে

#
news image

পর্যটন মৌসুম না হলেও পদ্মা সেতুর সুবাদে অসময়ে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে সুন্দরবনে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর দুর্যোগ মৌসুম হওয়ায় এই সময়টাতে সুন্দরবনে পর্যটকের আগমন খুবই কম থাকে। কিন্তু বিগত সময়ের শূন্যতা কাটিয়ে এখন অনেকটা পর্যটকমুখর পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পদ্মা সেতুর কারণে দিনে দিনে সুন্দরবন ভ্রমণ করে ফিরে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় অসময়ে পর্যটকের এ আগমন বলে জানিয়েছেন বনবিভাগ।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জাগো নিউজকে বলেন, ‘সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস মূলত দুর্যোগ মৌসুম। এই দুই মাস ঝড়-বৃষ্টির কারণে নদী উত্তাল থাকে। তাই এই সময় সুন্দরবন পর্যটকশূন্য থাকে। বিগত বছরে দেখা গেছে সেপ্টেম্বরে এ সময় দৈনিক গড়ে ৫-২৫ লোকের আগমন হতো। এখন সেই সংখ্যার কয়েকগুণ লোক আসছে সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে।’

তিন মাস বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সুন্দরবন। উম্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিনেই ১১৭ জন, দ্বিতীয় দিনে ২৫০ জন, তৃতীয় দিনে ২০০ জন এসেছেন। চতুর্থ দিন রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ১০০ লোক এসেছেন। বিকেল পর্যন্ত তা বেড়ে দেড় থেকে দুইশ হবে বলে জানিয়েছেন বন কর্মকর্তা আজাদ কবির।

বনবিভাগ বলছে, আগামী নভেম্বরে পুরোপুরি পর্যটন মৌসুম শুরু হবে। তখন ব্যাপক চাপ বাড়বে সুন্দরবনে। তবে দেশের যে কোনো জায়গা থেকে এসে মোংলার সবচেয়ে কাছাকাছির পর্যটনকেন্দ্র হলো করমজল। তাই এখানে সবসময় দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি।

করমজলে দর্শনার্থীদের ওঠানামার জন্য রয়েছে দুটি পন্টুন, একটি পাকা ঘাট, বনের ভেতরে প্রবেশ করার পাকা রাস্তা, টয়লেট, ফুট টেইল, ওয়াচ টাওয়ার ও গোলঘর। এছাড়া নির্মিত হচ্ছে ইন্টারপিটিশন সেন্টার। যেখানে সংরক্ষণ থাকবে বাঘ, হরিণ ও কুমিরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর কংকাল এবং মমিসদৃশ নানা প্রাণী। যা অনেকটা মিউজিয়ামের মতোই হবে।

করমজল পর্যটন কেন্দ্রে আরও রয়েছে ডলফিনের মিউজিয়াম, বিলুপ্তপ্রায় লবণ পানি প্রজাতির কুমির ও বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপের প্রজনন কেন্দ্র। দর্শনার্থীদের কাছে এ প্রজনন কেন্দ্রটি বাড়তি আকর্ষণীয় উপভোগ্য স্পট হিসেবে পরিণত হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এখন পর্যটন মৌসুম নয়। তারপরও পদ্মা সেতুর সুফলে সুন্দরবনে পর্যটকরা ছুটে আসছেন। সামনের শীতকালের ভরা পর্যটন মৌসুমে সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড় আগের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়বে। পর্যটকদের সেই চাপ সামলাতে ও ভ্রমণ সুবিধার্থে সুন্দরবনের আন্ধারমানিক ও আলীবান্দায় আরও দুটি নতুন পর্যটন স্পট এ বছরই গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি করমজল, হাড়বাড়ীয়া, কটকা, কচিখালী, নীলকমল ও দুবলার পর্যটন কেন্দ্রও সংস্কার করে আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  9:43 PM

news image

পর্যটন মৌসুম না হলেও পদ্মা সেতুর সুবাদে অসময়ে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে সুন্দরবনে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর দুর্যোগ মৌসুম হওয়ায় এই সময়টাতে সুন্দরবনে পর্যটকের আগমন খুবই কম থাকে। কিন্তু বিগত সময়ের শূন্যতা কাটিয়ে এখন অনেকটা পর্যটকমুখর পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পদ্মা সেতুর কারণে দিনে দিনে সুন্দরবন ভ্রমণ করে ফিরে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় অসময়ে পর্যটকের এ আগমন বলে জানিয়েছেন বনবিভাগ।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জাগো নিউজকে বলেন, ‘সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস মূলত দুর্যোগ মৌসুম। এই দুই মাস ঝড়-বৃষ্টির কারণে নদী উত্তাল থাকে। তাই এই সময় সুন্দরবন পর্যটকশূন্য থাকে। বিগত বছরে দেখা গেছে সেপ্টেম্বরে এ সময় দৈনিক গড়ে ৫-২৫ লোকের আগমন হতো। এখন সেই সংখ্যার কয়েকগুণ লোক আসছে সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে।’

তিন মাস বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সুন্দরবন। উম্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিনেই ১১৭ জন, দ্বিতীয় দিনে ২৫০ জন, তৃতীয় দিনে ২০০ জন এসেছেন। চতুর্থ দিন রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ১০০ লোক এসেছেন। বিকেল পর্যন্ত তা বেড়ে দেড় থেকে দুইশ হবে বলে জানিয়েছেন বন কর্মকর্তা আজাদ কবির।

বনবিভাগ বলছে, আগামী নভেম্বরে পুরোপুরি পর্যটন মৌসুম শুরু হবে। তখন ব্যাপক চাপ বাড়বে সুন্দরবনে। তবে দেশের যে কোনো জায়গা থেকে এসে মোংলার সবচেয়ে কাছাকাছির পর্যটনকেন্দ্র হলো করমজল। তাই এখানে সবসময় দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি।

করমজলে দর্শনার্থীদের ওঠানামার জন্য রয়েছে দুটি পন্টুন, একটি পাকা ঘাট, বনের ভেতরে প্রবেশ করার পাকা রাস্তা, টয়লেট, ফুট টেইল, ওয়াচ টাওয়ার ও গোলঘর। এছাড়া নির্মিত হচ্ছে ইন্টারপিটিশন সেন্টার। যেখানে সংরক্ষণ থাকবে বাঘ, হরিণ ও কুমিরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর কংকাল এবং মমিসদৃশ নানা প্রাণী। যা অনেকটা মিউজিয়ামের মতোই হবে।

করমজল পর্যটন কেন্দ্রে আরও রয়েছে ডলফিনের মিউজিয়াম, বিলুপ্তপ্রায় লবণ পানি প্রজাতির কুমির ও বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপের প্রজনন কেন্দ্র। দর্শনার্থীদের কাছে এ প্রজনন কেন্দ্রটি বাড়তি আকর্ষণীয় উপভোগ্য স্পট হিসেবে পরিণত হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এখন পর্যটন মৌসুম নয়। তারপরও পদ্মা সেতুর সুফলে সুন্দরবনে পর্যটকরা ছুটে আসছেন। সামনের শীতকালের ভরা পর্যটন মৌসুমে সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড় আগের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়বে। পর্যটকদের সেই চাপ সামলাতে ও ভ্রমণ সুবিধার্থে সুন্দরবনের আন্ধারমানিক ও আলীবান্দায় আরও দুটি নতুন পর্যটন স্পট এ বছরই গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি করমজল, হাড়বাড়ীয়া, কটকা, কচিখালী, নীলকমল ও দুবলার পর্যটন কেন্দ্রও সংস্কার করে আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে।