শিরোনামঃ
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন চর্চার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ যশোর, বাগেরহাট ও নড়াইলের ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিন নেতা ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিক্ষোভ মিছিল বর্হিবিশ্বে লন্ডনে স্হাপিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্তলাল সেন সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ বিটিএ’র পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত পরিচালককে অভিনন্দন বিকাশ দেওয়ান ছিলেন একজন সফল এমডি

কুমিল্লা-চাঁদপুরে দিগন্তবিস্তৃত ঘুরঘার বিল: জলজ উদ্ভিদের মায়াবি হাতছানি

#
news image

ঘুরঘার বিল। এটির অবস্থান কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর, বাতাঘাসী ইউনিয়ন, দাউদকান্দির দক্ষিণ ইলিয়টগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নে। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এই বিলের আয়তন প্রায় শত একর। বিলের দিগন্তবিস্তৃত জলরাশি ও বর্ণিল জলজ উদ্ভিদের স্নিগ্ধতা দর্শনার্থীদের মনে আনন্দের দোলা দিয়ে যায়। বিলের লাল-সাদা শাপলার মায়াবি সৌন্দর্যের হাতছানিতে সেখানে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর থেকে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে গল্লাই যাওয়া যায়। তারপর হাঁটা পথ পেরিয়ে ঘুরঘার বিল।
সূত্রমতে, প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা বেগুনি ও সাদা শাপলা বিলের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বিলে প্রায় ৫০ রকমের বেশি দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। রয়েছে বিবিধ প্রজাতির জলজ প্রাণী ও মৌসুমি পাখি। পানিতে নিমজ্জিত আছে বিভিন্ন প্রজাতির শৈবালসহ নানা জলজ উদ্ভিদ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মীরাখোলা গ্রামের পাশে খালে বাঁধা অনেকগুলো ছোট নৌকা। অনেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। ছোট নৌকা ভাড়া নিয়ে ঘুরছেন। খালের স্বচ্ছ জলে হাত ভিজিয়ে সুখানুভূতি নিচ্ছেন। পরিবারের ছোট সদস্যদের জলজ উদ্ভিদ সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন। কেউ শাপলা তুলছেন। কেউ ছবি বা সেলফিতে ব্যস্ত। কেউ গলা ছেড়ে গাইছেন, অপরদিকে দূরের কোন নৌকায় সাউন্ড বক্সে বাজছে আঞ্চলিক গান। এই সময়ে ঘুরঘার বিল যেনো আনন্দ বিলে রূপ নেয়।
চান্দিনার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশীষ দাশ তার একটি লেখা উল্লেখ করেন, কথিত আছে- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হেলিকপ্টারযোগে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ বিল পরিদর্শন করেছিলেন। উদ্দেশ্য দেশের প্রক্ষাপটে এ বিলের অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই। কিন্তু ৭৫’ এর নির্মম ঘটনার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের আর কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। অথচ এটি হতে পারতো আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট কিংবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। গড়ে উঠতো পাখি ও জলজ প্রাণীদের নিরাপদ আবাসস্থল।
স্থানীয় কৈকরই গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন বাসসকে বলেন, আমাদের পাশের গ্রাম ইলিয়টগঞ্জে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমরা সেখানের শিক্ষার্থী। পাশে ঘুরঘার বিল। ঘুরগার বিলের জীব বৈচিত্র্য আমাদের প্রকৃতি সম্পর্কে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা শিক্ষাবিদ মুন্সী আনোয়ার পাশা রাসেল বাসসকে বলেন, শৈশব থেকে এই বিলের নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন জনশ্রুতি শুনে আসছি। কেউ বলেন, ঘুরঘা নামের এক ধরনের পোকার প্রচুর বিচরণ ছিলো এই বিলে। সেই পোকার নামে এটির নামকরণ হয় ঘুরঘার বিল। আবার কেউ বলেন, এতো বড় বিল ঘুরতে-ঘুরতে শেষ করা যায় না বলে এর নাম ঘুরার বিল বা ঘুরঘার বিল। তিনি বলেন- এই বিল সংরক্ষণ জরুরি। এতে প্রাকৃতিক মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি চিত্ত বিনোদনেরও সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বাতাঘাসী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম বাসসকে বলেন, এটি এখানকার একটি দর্শনীয় স্থান। বর্ষা মৌসুমে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে বেড়াতে আসে।
চান্দিনার উপজেলা চেয়ারম্যান তপন কুমার বক্সী বাসসকে বলেন, ঘুরঘার বিলে বিপুল পরিমাণে প্রাকৃতিক মাছ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। বিলের মাছ উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি ও সৌন্দর্য সংরক্ষণের বিষয়ে আমরা মনোযোগ  দেবো।

অনলাইন ডেস্ক

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  9:27 PM

news image

ঘুরঘার বিল। এটির অবস্থান কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর, বাতাঘাসী ইউনিয়ন, দাউদকান্দির দক্ষিণ ইলিয়টগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নে। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এই বিলের আয়তন প্রায় শত একর। বিলের দিগন্তবিস্তৃত জলরাশি ও বর্ণিল জলজ উদ্ভিদের স্নিগ্ধতা দর্শনার্থীদের মনে আনন্দের দোলা দিয়ে যায়। বিলের লাল-সাদা শাপলার মায়াবি সৌন্দর্যের হাতছানিতে সেখানে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর থেকে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে গল্লাই যাওয়া যায়। তারপর হাঁটা পথ পেরিয়ে ঘুরঘার বিল।
সূত্রমতে, প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা বেগুনি ও সাদা শাপলা বিলের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বিলে প্রায় ৫০ রকমের বেশি দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। রয়েছে বিবিধ প্রজাতির জলজ প্রাণী ও মৌসুমি পাখি। পানিতে নিমজ্জিত আছে বিভিন্ন প্রজাতির শৈবালসহ নানা জলজ উদ্ভিদ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মীরাখোলা গ্রামের পাশে খালে বাঁধা অনেকগুলো ছোট নৌকা। অনেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। ছোট নৌকা ভাড়া নিয়ে ঘুরছেন। খালের স্বচ্ছ জলে হাত ভিজিয়ে সুখানুভূতি নিচ্ছেন। পরিবারের ছোট সদস্যদের জলজ উদ্ভিদ সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন। কেউ শাপলা তুলছেন। কেউ ছবি বা সেলফিতে ব্যস্ত। কেউ গলা ছেড়ে গাইছেন, অপরদিকে দূরের কোন নৌকায় সাউন্ড বক্সে বাজছে আঞ্চলিক গান। এই সময়ে ঘুরঘার বিল যেনো আনন্দ বিলে রূপ নেয়।
চান্দিনার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশীষ দাশ তার একটি লেখা উল্লেখ করেন, কথিত আছে- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হেলিকপ্টারযোগে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ বিল পরিদর্শন করেছিলেন। উদ্দেশ্য দেশের প্রক্ষাপটে এ বিলের অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই। কিন্তু ৭৫’ এর নির্মম ঘটনার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের আর কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। অথচ এটি হতে পারতো আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট কিংবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। গড়ে উঠতো পাখি ও জলজ প্রাণীদের নিরাপদ আবাসস্থল।
স্থানীয় কৈকরই গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন বাসসকে বলেন, আমাদের পাশের গ্রাম ইলিয়টগঞ্জে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমরা সেখানের শিক্ষার্থী। পাশে ঘুরঘার বিল। ঘুরগার বিলের জীব বৈচিত্র্য আমাদের প্রকৃতি সম্পর্কে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা শিক্ষাবিদ মুন্সী আনোয়ার পাশা রাসেল বাসসকে বলেন, শৈশব থেকে এই বিলের নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন জনশ্রুতি শুনে আসছি। কেউ বলেন, ঘুরঘা নামের এক ধরনের পোকার প্রচুর বিচরণ ছিলো এই বিলে। সেই পোকার নামে এটির নামকরণ হয় ঘুরঘার বিল। আবার কেউ বলেন, এতো বড় বিল ঘুরতে-ঘুরতে শেষ করা যায় না বলে এর নাম ঘুরার বিল বা ঘুরঘার বিল। তিনি বলেন- এই বিল সংরক্ষণ জরুরি। এতে প্রাকৃতিক মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি চিত্ত বিনোদনেরও সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বাতাঘাসী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম বাসসকে বলেন, এটি এখানকার একটি দর্শনীয় স্থান। বর্ষা মৌসুমে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে বেড়াতে আসে।
চান্দিনার উপজেলা চেয়ারম্যান তপন কুমার বক্সী বাসসকে বলেন, ঘুরঘার বিলে বিপুল পরিমাণে প্রাকৃতিক মাছ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। বিলের মাছ উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি ও সৌন্দর্য সংরক্ষণের বিষয়ে আমরা মনোযোগ  দেবো।