শিরোনামঃ
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন চর্চার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ যশোর, বাগেরহাট ও নড়াইলের ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিন নেতা ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিক্ষোভ মিছিল বর্হিবিশ্বে লন্ডনে স্হাপিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্তলাল সেন সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ বিটিএ’র পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত পরিচালককে অভিনন্দন বিকাশ দেওয়ান ছিলেন একজন সফল এমডি

কোন আইনে আছে টিপ পরা যাবে না: সুবর্ণা মুস্তাফা

#
news image

গণমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, গতকাল থেকে সবখানেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে টিপ। কপালে টিপ পরার কারণে শনিবার (২ এপ্রিল) হেনস্তার শিকার হয়েছেন তেজগাঁও কলেজের এক নারী প্রভাষক। হেনস্তাকারীর ভূমিকায় ছিলেন একজন পুলিশ সদস্য।

ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। সংসদে পর্যন্ত পৌঁছে গেছে বিষয়টি। এ নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সদস্য, অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। তিনি ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন।

রোববার (৩ এপ্রিল) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে বিশেষ করে নারী সমাজের জন্য অত্যন্ত ঘৃণিত একটি ঘটনা। ইভটিজিং আমরা শুনে এসেছি। বখাটে ছেলেরা স্কুলের বাচ্চাবাচ্চা মেয়েদের ইভটিজ করে। সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু আমি যখন দেশের আইনরক্ষাকারী কাউকে ইভটিজিংয়ের ভূমিকায় দেখি, তখন সেটা আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’

সুবর্ণা মুস্তাফার প্রশ্ন, ‘বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না। এখানে হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এমনকি সে বিবাহিত না বিধবা সেটা বিষয় নয়...একটি মেয়ে টিপ পরেছে। তিনি একজন শিক্ষক। রিকশা থেকে নামার পর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার তাকে টিজ করেছে।’

এ ঘটনায় অভযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘যে মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি দেখা-শোনা করে তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।’

উল্লেখ্য, শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাচ্ছিলেন তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। এ সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই ব্যক্তির গায়ে ছিল পুলিশের পোশাক।

এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে উল্টো প্রভাষকের পায়ের ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে চলে যান ওই ব্যক্তি। এরপর শেরেবাংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ড. লতা সমাদ্দার।

ডেস্ক রিপোর্ট

০৩ এপ্রিল, ২০২২,  1:29 PM

news image

গণমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, গতকাল থেকে সবখানেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে টিপ। কপালে টিপ পরার কারণে শনিবার (২ এপ্রিল) হেনস্তার শিকার হয়েছেন তেজগাঁও কলেজের এক নারী প্রভাষক। হেনস্তাকারীর ভূমিকায় ছিলেন একজন পুলিশ সদস্য।

ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। সংসদে পর্যন্ত পৌঁছে গেছে বিষয়টি। এ নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সদস্য, অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। তিনি ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন।

রোববার (৩ এপ্রিল) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে বিশেষ করে নারী সমাজের জন্য অত্যন্ত ঘৃণিত একটি ঘটনা। ইভটিজিং আমরা শুনে এসেছি। বখাটে ছেলেরা স্কুলের বাচ্চাবাচ্চা মেয়েদের ইভটিজ করে। সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু আমি যখন দেশের আইনরক্ষাকারী কাউকে ইভটিজিংয়ের ভূমিকায় দেখি, তখন সেটা আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’

সুবর্ণা মুস্তাফার প্রশ্ন, ‘বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না। এখানে হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এমনকি সে বিবাহিত না বিধবা সেটা বিষয় নয়...একটি মেয়ে টিপ পরেছে। তিনি একজন শিক্ষক। রিকশা থেকে নামার পর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার তাকে টিজ করেছে।’

এ ঘটনায় অভযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘যে মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি দেখা-শোনা করে তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।’

উল্লেখ্য, শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাচ্ছিলেন তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। এ সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই ব্যক্তির গায়ে ছিল পুলিশের পোশাক।

এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে উল্টো প্রভাষকের পায়ের ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে চলে যান ওই ব্যক্তি। এরপর শেরেবাংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ড. লতা সমাদ্দার।