বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি আসবাবপত্রের রপ্তানি বেড়েছে

অনলাইন ডেস্ক
২৫ অক্টোবর, ২০২২, 11:20 PM

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি আসবাবপত্রের রপ্তানি বেড়েছে
বিশ্ববাজারে দেশের আসবাবপত্র রপ্তানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি প্রস্তুতকারকরা। তারা বলছেন, আগের অর্থবছরের তুলনায় এই রপ্তানির পরিমাণ ৩৮.৮৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৯০.৩৬ মিলিয়ন ডলারের আসবাবপত্র রপ্তানি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ ভারত, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ইউরোপে আসবাবপত্র রপ্তানি করে। বৈশ্বিক আসবাব শিল্পে ৭০০ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার মাইলফলকে পৌঁছাতে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত সহায়তা চেয়েছে প্রস্তুতকারীরা।
গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ১৭তম জাতীয় ফার্নিচার ফেয়ার ২০২২-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সেলিম এইচ রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আসবাব নির্মাতারা তাদের উৎপাদিত আসবাবপত্র দিয়ে জাতীয় চাহিদার অন্তত ৯৫% পূরণ করতে পারে। সেলিম এইচ রহমান বলেন, ‘‘তাছাড়া বাংলাদেশে আসবাবপত্রের অভ্যন্তরীণ বাজারও উল্লেখযোগ্য। সেটি প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের।’’
ফার্নিচার ফেয়ারে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, তাদের লক্ষ্য ছিল অনন্য ডিজাইনের সাথে নতুন পণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে আসবাবপত্র শিল্পের প্রচার করা। সেটি অনেকাংশেই সফল। মহামারীর কারণে দুই বছরের বিরতির পর গত ৬ অক্টোবর আইসিসিবিতে দেশীয় আসবাবপত্র ব্যবসার বৃহত্তম অনুষ্ঠান ১৭ তম জাতীয় আসবাব মেলা শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী মেলায় হাতিল, আক্তার, নাভানা, পারটেক্স, রিগাল, নাদিয়া, ব্রাদার্সসহ ৩৪টি কোম্পানির মোট ১৮২টি স্টল ছিল। আয়োজকরা জানান, মহামারির কারণে গত দুই বছরে তারা মেলার আয়োজন করতে পারেননি।
মহামারী কাটিয়ে ওঠার পর পর্যাপ্ত দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এই মেলা। এতে দর্শনার্থী ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য সন্তোষজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। মেলা কর্তৃপক্ষ জানায়, “স্টল বিউটিফিকেশন” ক্যাটাগরিতে সেরা তিনটি স্টলকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়। মেলায় নির্মাতারা ১০%-২৫% রেঞ্জে বিনামূল্যে হোম ডেলিভারি ও ডিসকাউন্ট দিয়ে তাদের গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
এছাড়াও মেলার প্রথম দিনে আয়োজিত শীর্ষ শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা “ছবির মোটো ঘর”-এর পুরস্কার ও সমাপনী অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ প্রতিযোগিতার পুরস্কার তুলে দেয়। প্রথম বিজয়ীকে একটি আলমারি, দ্বিতীয় ও তৃতীয়কে যথাক্রমে একটি বিছানা ও একটি বেডসাইড চেস্ট ড্রয়ার দেওয়া হয়। এছাড়া এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলকে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক কে এম আকতারুজ্জামান।
অনলাইন ডেস্ক
২৫ অক্টোবর, ২০২২, 11:20 PM

বিশ্ববাজারে দেশের আসবাবপত্র রপ্তানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি প্রস্তুতকারকরা। তারা বলছেন, আগের অর্থবছরের তুলনায় এই রপ্তানির পরিমাণ ৩৮.৮৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৯০.৩৬ মিলিয়ন ডলারের আসবাবপত্র রপ্তানি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ ভারত, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ইউরোপে আসবাবপত্র রপ্তানি করে। বৈশ্বিক আসবাব শিল্পে ৭০০ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার মাইলফলকে পৌঁছাতে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত সহায়তা চেয়েছে প্রস্তুতকারীরা।
গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ১৭তম জাতীয় ফার্নিচার ফেয়ার ২০২২-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সেলিম এইচ রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আসবাব নির্মাতারা তাদের উৎপাদিত আসবাবপত্র দিয়ে জাতীয় চাহিদার অন্তত ৯৫% পূরণ করতে পারে। সেলিম এইচ রহমান বলেন, ‘‘তাছাড়া বাংলাদেশে আসবাবপত্রের অভ্যন্তরীণ বাজারও উল্লেখযোগ্য। সেটি প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের।’’
ফার্নিচার ফেয়ারে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, তাদের লক্ষ্য ছিল অনন্য ডিজাইনের সাথে নতুন পণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে আসবাবপত্র শিল্পের প্রচার করা। সেটি অনেকাংশেই সফল। মহামারীর কারণে দুই বছরের বিরতির পর গত ৬ অক্টোবর আইসিসিবিতে দেশীয় আসবাবপত্র ব্যবসার বৃহত্তম অনুষ্ঠান ১৭ তম জাতীয় আসবাব মেলা শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী মেলায় হাতিল, আক্তার, নাভানা, পারটেক্স, রিগাল, নাদিয়া, ব্রাদার্সসহ ৩৪টি কোম্পানির মোট ১৮২টি স্টল ছিল। আয়োজকরা জানান, মহামারির কারণে গত দুই বছরে তারা মেলার আয়োজন করতে পারেননি।
মহামারী কাটিয়ে ওঠার পর পর্যাপ্ত দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এই মেলা। এতে দর্শনার্থী ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য সন্তোষজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। মেলা কর্তৃপক্ষ জানায়, “স্টল বিউটিফিকেশন” ক্যাটাগরিতে সেরা তিনটি স্টলকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়। মেলায় নির্মাতারা ১০%-২৫% রেঞ্জে বিনামূল্যে হোম ডেলিভারি ও ডিসকাউন্ট দিয়ে তাদের গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
এছাড়াও মেলার প্রথম দিনে আয়োজিত শীর্ষ শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা “ছবির মোটো ঘর”-এর পুরস্কার ও সমাপনী অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ প্রতিযোগিতার পুরস্কার তুলে দেয়। প্রথম বিজয়ীকে একটি আলমারি, দ্বিতীয় ও তৃতীয়কে যথাক্রমে একটি বিছানা ও একটি বেডসাইড চেস্ট ড্রয়ার দেওয়া হয়। এছাড়া এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলকে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক কে এম আকতারুজ্জামান।