পৌরসভার অ্যাকাউন্টে 'ভূতুড়ে' ৭৫ লাখ টাকা
অনলাইন ডেস্ক
৩১ অক্টোবর, ২০২২, 1:43 AM
পৌরসভার অ্যাকাউন্টে 'ভূতুড়ে' ৭৫ লাখ টাকা
‘অজ্ঞাত উৎস’ থেকে ঝিনাইদহ পৌরসভার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা। গত ২২ সেপ্টেম্বর পৌরসভার ৩১৬ নম্বর অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া এই টাকা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকের ধারণা, গত বছর চেক ও ভাউচার জালিয়াতির মাধ্যমে যে ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৮ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছিল, হয়তো সেই টাকাই পৌরসভার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা গোপনে অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছেন।
ওই অ্যাকাউন্টের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ফাঁস হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। সেটির সূত্র ধরে জানা যায়, ২০১১ সালের ১ জুন থেকে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বমোট ৩৮টি চেক ও ভাউচারের অনুকূলে ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৮ টাকা তোলা হয়। এর মধ্যে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান চাঁন একাই পৌরসভার বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৮১৯ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে তোলেন। কিন্তু পৌরসভার ক্যাশ বইয়ে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৮১৯ টাকার কাজ দেখানো হয়েছে।
পরে ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু ২০২১ সালের ২৭ জুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে একটি অভিযোগপত্র দেন। তাতে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ তোলেন মেয়র। কিন্তু পরবর্তীতে মেয়রের মেয়াদকাল শেষ হলেও শাস্তি হয়নি চেক জালিয়াতির হোতাদের।
এদিকে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টম্বর পৌরসভার ৩১৬ নম্বর অ্যাকাউন্টে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা জমা হয়। পৌরসভা সংশ্লিষ্টরা অনুমান করছেন, পৌরসভার সাবেক হিসাবরক্ষক মকলেচুর রহমান মাসুদ এই টাকা জমা দিয়েছেন। টাকা জমা দেওয়ার আগে এই অ্যাকাউন্টে এক কোটি ২৮ লাখ ৯৬ হাজার ৯০৩ টাকা স্থিতি ছিল।
ঝিনাইদহ পৌরসভার অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, এই অ্যাকাউন্টে শুধু জমি রেজিস্ট্রির ২ শতাংশ টাকা জমা হয়। অন্য কোনো টাকা এখানে আসার কথা নয়। তিনি বলেন ‘এই টাকা কীভাবে, কারা জমা দিলেন, তার কোনো তথ্য পৌরসভার হিসাব শাখায় নেই।’
ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, অনেকের মতো তিনিও শুনেছেন বড় অংকের টাকা ব্যাংকে জমা হয়েছে, কিন্তু তার কাছে বা পৌরসভার হিসাব শাখায় কোনো তথ্য নেই।
অভিযোগ উঠেছে, ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক সচিব আজমল হোসেন এবং আসাদুজ্জামান চাঁন চাকরিচ্যুতি ও দুদকের মামলা থেকে বাঁচতে আত্মসাৎ করা বিপুল টাকা সাবেক হিসাবরক্ষকের মাধ্যমে গোপনে ফেরত দিয়েছেন। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কোটি টাকা লেনদেন হয়েছ- এমন কথাও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে শোনা যাচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক
৩১ অক্টোবর, ২০২২, 1:43 AM
‘অজ্ঞাত উৎস’ থেকে ঝিনাইদহ পৌরসভার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা। গত ২২ সেপ্টেম্বর পৌরসভার ৩১৬ নম্বর অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া এই টাকা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকের ধারণা, গত বছর চেক ও ভাউচার জালিয়াতির মাধ্যমে যে ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৮ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছিল, হয়তো সেই টাকাই পৌরসভার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা গোপনে অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছেন।
ওই অ্যাকাউন্টের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ফাঁস হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। সেটির সূত্র ধরে জানা যায়, ২০১১ সালের ১ জুন থেকে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বমোট ৩৮টি চেক ও ভাউচারের অনুকূলে ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৮ টাকা তোলা হয়। এর মধ্যে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান চাঁন একাই পৌরসভার বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৮১৯ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে তোলেন। কিন্তু পৌরসভার ক্যাশ বইয়ে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৮১৯ টাকার কাজ দেখানো হয়েছে।
পরে ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু ২০২১ সালের ২৭ জুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে একটি অভিযোগপত্র দেন। তাতে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ তোলেন মেয়র। কিন্তু পরবর্তীতে মেয়রের মেয়াদকাল শেষ হলেও শাস্তি হয়নি চেক জালিয়াতির হোতাদের।
এদিকে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টম্বর পৌরসভার ৩১৬ নম্বর অ্যাকাউন্টে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা জমা হয়। পৌরসভা সংশ্লিষ্টরা অনুমান করছেন, পৌরসভার সাবেক হিসাবরক্ষক মকলেচুর রহমান মাসুদ এই টাকা জমা দিয়েছেন। টাকা জমা দেওয়ার আগে এই অ্যাকাউন্টে এক কোটি ২৮ লাখ ৯৬ হাজার ৯০৩ টাকা স্থিতি ছিল।
ঝিনাইদহ পৌরসভার অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, এই অ্যাকাউন্টে শুধু জমি রেজিস্ট্রির ২ শতাংশ টাকা জমা হয়। অন্য কোনো টাকা এখানে আসার কথা নয়। তিনি বলেন ‘এই টাকা কীভাবে, কারা জমা দিলেন, তার কোনো তথ্য পৌরসভার হিসাব শাখায় নেই।’
ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, অনেকের মতো তিনিও শুনেছেন বড় অংকের টাকা ব্যাংকে জমা হয়েছে, কিন্তু তার কাছে বা পৌরসভার হিসাব শাখায় কোনো তথ্য নেই।
অভিযোগ উঠেছে, ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক সচিব আজমল হোসেন এবং আসাদুজ্জামান চাঁন চাকরিচ্যুতি ও দুদকের মামলা থেকে বাঁচতে আত্মসাৎ করা বিপুল টাকা সাবেক হিসাবরক্ষকের মাধ্যমে গোপনে ফেরত দিয়েছেন। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কোটি টাকা লেনদেন হয়েছ- এমন কথাও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে শোনা যাচ্ছে।