শিরোনামঃ
জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান

রপ্তানি আয় কমেছে ৮ শতাংশ

#
news image

গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবরে রপ্তানি আয় কমেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য অন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি হয়েছে। যা ২০২১ সালের অক্টোবরে ছিল ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

সে হিসাবে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের তুলনায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ৩৭ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রপ্তানি আয় কমেছে। যা শতাংশের হিসেবে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আজ বুধবার (২ নভেম্বরর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সরকারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে ২০২২ সালের অক্টোবরে। এই মাসে রপ্তানি আয় খাতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। সেখানে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ইউএস ডলারের। অর্থাৎ ৬৪ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার কম হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে প্রায় ১৩ শতাংশ। এর ফলে ১৩ মাস টানা রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধির পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর টানা দুই মাস তার আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি আয় কমলো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় কমতে শুরু করেছে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক বেড়েছে। এ কারণে তারা পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। খাদ্যের পেছনেই অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে তাদের। সে কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমছে।

অবশ্য তৈরি পোশাক মালিকসহ অন্য ব্যবসায়ীরা আগেই শঙ্কা প্রকাশ করছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজার থেকে ক্রয় আদেশ কমে যাবে। ফলে দেশের রপ্তানি আয়ও কমে আসবে।

ইপিবির তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর) বিশ্ববাজারে দেশের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৬৮৫ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ইউএস ডলারের। এই চার মাসে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪২ কোটি ইউএস ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৬ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ইউএস ডলার বা ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ কম হয়েছে।

তবে একটু এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের একই সময়ে সঙ্গে তুলনা করলে এখনো রপ্তানি আয়ের হার পজেটিভ রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর সময় পর্যন্ত রপ্তানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ৫৭৪ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় এখনো ৭ দশমিক ১ শতাংশ রপ্তানি আয়ে বেড়েছে।

ইপিএসের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম রপ্তানি আয়ে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। সেই মাসে বাংলাদেশ ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ (৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন) ৭ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ৫ ডলারের পণ্য।

একক মাসে হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় কমেছে। কিন্তু আগের দুই মাস জুলাই-আগস্টে আয় বেড়েছিল। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এক হাজার ২৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯ হাজার ডলারের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের রপ্তানি আয় ছিল এক হাজার ১০২ কোটি ১৯ লাখ ৫ হাজার ডলার। সেই তুলনায় তুলনায় ২০২২ সালের একই সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অনলাইন ডেস্ক

০২ নভেম্বর, ২০২২,  11:10 PM

news image

গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবরে রপ্তানি আয় কমেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য অন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি হয়েছে। যা ২০২১ সালের অক্টোবরে ছিল ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

সে হিসাবে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের তুলনায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ৩৭ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রপ্তানি আয় কমেছে। যা শতাংশের হিসেবে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আজ বুধবার (২ নভেম্বরর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সরকারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে ২০২২ সালের অক্টোবরে। এই মাসে রপ্তানি আয় খাতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। সেখানে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ইউএস ডলারের। অর্থাৎ ৬৪ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার কম হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে প্রায় ১৩ শতাংশ। এর ফলে ১৩ মাস টানা রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধির পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর টানা দুই মাস তার আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি আয় কমলো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় কমতে শুরু করেছে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক বেড়েছে। এ কারণে তারা পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। খাদ্যের পেছনেই অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে তাদের। সে কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমছে।

অবশ্য তৈরি পোশাক মালিকসহ অন্য ব্যবসায়ীরা আগেই শঙ্কা প্রকাশ করছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজার থেকে ক্রয় আদেশ কমে যাবে। ফলে দেশের রপ্তানি আয়ও কমে আসবে।

ইপিবির তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর) বিশ্ববাজারে দেশের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৬৮৫ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ইউএস ডলারের। এই চার মাসে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪২ কোটি ইউএস ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৬ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ইউএস ডলার বা ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ কম হয়েছে।

তবে একটু এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের একই সময়ে সঙ্গে তুলনা করলে এখনো রপ্তানি আয়ের হার পজেটিভ রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর সময় পর্যন্ত রপ্তানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ৫৭৪ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় এখনো ৭ দশমিক ১ শতাংশ রপ্তানি আয়ে বেড়েছে।

ইপিএসের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম রপ্তানি আয়ে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। সেই মাসে বাংলাদেশ ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ (৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন) ৭ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ৫ ডলারের পণ্য।

একক মাসে হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় কমেছে। কিন্তু আগের দুই মাস জুলাই-আগস্টে আয় বেড়েছিল। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এক হাজার ২৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯ হাজার ডলারের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের রপ্তানি আয় ছিল এক হাজার ১০২ কোটি ১৯ লাখ ৫ হাজার ডলার। সেই তুলনায় তুলনায় ২০২২ সালের একই সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।