শিরোনামঃ
জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের ধলাপাড়ায় বৃহত্তর ফার্নিচারের হাট

#
news image

জেলার ঘাটাইল উপজেলা সদর থেকে ১৪ কিমি পূর্বে বংশাই নদীর পাড়ে অবস্থিত ধলাপাড়া হাট। এ হাট থেকে প্রতি বৃহস্পতি ও সোমবার কোটি টাকার খাট, সোফাসেট, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল, শোকেস, চেয়ার-টেবিল এবং দরজা-জানালা বিক্রি হয়। পছন্দসই বাহারি ডিজাইন, নাগালের মধ্যেই দাম, সড়ক ও নৌপথের পরিবহন সুবিধার জন্য দিন দিন আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে টাঙ্গাইলের গড়াঞ্চলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ‘ফার্নিচার হাট'।

সরেজমিনে জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম আসবাবপত্রের (ফার্নিচার) হাট ধলাপাড়া। সপ্তাহে বৃহস্পতি ও সোমবার এ দুই দিন বসে এ ফার্নিচার হাট। সপ্তাহে প্রায় কোটি টাকার তৈরি আসবাবপত্র বেচাকেনা হয় এখানে। উত্তরাঞ্চলের জেলা ময়মনসিংহ, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসেন ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কেনার জন্য।

জানা যায়, কাঠের মধ্যে খোদাই করা বাহারি নকশায় ফুলবক্স, সেমিবক্স, বেগি খাট, বোম্বাই ও রাশিয়ান খাট পাওয়া যায় এ হাটে। ২ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের খাট পাওয়া যায়। এছাড়াও গোল ড্রেসিং টেবিল, ছয়কোনা ড্রেসিং টেবিল, তিনচাল ড্রেসিং টেবিল, দুইচাল ড্রেসিং টেবিল, কানিশ ড্রেসিং টেবিল এবং লতা সোফা, হাতি শুঁড় সোফা, বল সোফা ও বক্স সোফাসেটও বিক্রি হয়। উচ্চবৃত্ত থেকে নিম্নবৃত্ত সব শ্রেণীর লোকজন এ হাটের ক্রেতা। শুধু ঘাটাইল উপজেলা নয় জেলার অন্যান্য ক্রেতা-বিক্রেতারা অতি সহজেই ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সংগ্রহ করেন এ হাট থেকে।

ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী কামাল হোসেন, সোহেল মিয়া, বাবুল আক্তারসহ অন্যান্যরা জানান, কাঠের মান ও আসবাবপত্রের দামের কথা বিবেচনা করে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা এ হাটে আসেন। তাছাড়া ধলাপাড়া ফার্নিচার হাটের সুনাম দেশের সর্বত্রই রয়েছে। ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবু জাফর জানান, ধলাপাড়া হাট ফার্নিচারের জন্য বেশ বিখ্যাত। তাছাড়া যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় আসবাবপত্রের জন্য দেশের অন্যতম বৃহৎ হাট ধলাপাড়া। ফার্নিচার ব্যবসায়ী অভিজিৎ সাহা জানান, হাটের ইজারা আরো কম হলে ক্রেতা-বিক্রেতা আরও বাড়বে। প্রতিটি খাটের জন্য ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা খাজনা দিতে হয় ক্রেতাকে।

বাসাবাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনন্ত পাল জানান, হাটবারের আগের দিন থেকেই আসবাবপত্র আসাতে শুরু করে এবং তা হাটবারের রাত অবধি চলে বেচাবিক্রি। ধলাপাড়া বণিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম জানান, ধলাপাড়া ফার্নিচার হাটের সুনাম দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে। এখানে সপ্তাহে প্রায় কোটি টাকার তৈরি ফার্নিচার বিক্রি হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ নভেম্বর, ২০২২,  10:11 PM

news image

জেলার ঘাটাইল উপজেলা সদর থেকে ১৪ কিমি পূর্বে বংশাই নদীর পাড়ে অবস্থিত ধলাপাড়া হাট। এ হাট থেকে প্রতি বৃহস্পতি ও সোমবার কোটি টাকার খাট, সোফাসেট, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল, শোকেস, চেয়ার-টেবিল এবং দরজা-জানালা বিক্রি হয়। পছন্দসই বাহারি ডিজাইন, নাগালের মধ্যেই দাম, সড়ক ও নৌপথের পরিবহন সুবিধার জন্য দিন দিন আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে টাঙ্গাইলের গড়াঞ্চলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ‘ফার্নিচার হাট'।

সরেজমিনে জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম আসবাবপত্রের (ফার্নিচার) হাট ধলাপাড়া। সপ্তাহে বৃহস্পতি ও সোমবার এ দুই দিন বসে এ ফার্নিচার হাট। সপ্তাহে প্রায় কোটি টাকার তৈরি আসবাবপত্র বেচাকেনা হয় এখানে। উত্তরাঞ্চলের জেলা ময়মনসিংহ, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসেন ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কেনার জন্য।

জানা যায়, কাঠের মধ্যে খোদাই করা বাহারি নকশায় ফুলবক্স, সেমিবক্স, বেগি খাট, বোম্বাই ও রাশিয়ান খাট পাওয়া যায় এ হাটে। ২ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের খাট পাওয়া যায়। এছাড়াও গোল ড্রেসিং টেবিল, ছয়কোনা ড্রেসিং টেবিল, তিনচাল ড্রেসিং টেবিল, দুইচাল ড্রেসিং টেবিল, কানিশ ড্রেসিং টেবিল এবং লতা সোফা, হাতি শুঁড় সোফা, বল সোফা ও বক্স সোফাসেটও বিক্রি হয়। উচ্চবৃত্ত থেকে নিম্নবৃত্ত সব শ্রেণীর লোকজন এ হাটের ক্রেতা। শুধু ঘাটাইল উপজেলা নয় জেলার অন্যান্য ক্রেতা-বিক্রেতারা অতি সহজেই ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সংগ্রহ করেন এ হাট থেকে।

ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী কামাল হোসেন, সোহেল মিয়া, বাবুল আক্তারসহ অন্যান্যরা জানান, কাঠের মান ও আসবাবপত্রের দামের কথা বিবেচনা করে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা এ হাটে আসেন। তাছাড়া ধলাপাড়া ফার্নিচার হাটের সুনাম দেশের সর্বত্রই রয়েছে। ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবু জাফর জানান, ধলাপাড়া হাট ফার্নিচারের জন্য বেশ বিখ্যাত। তাছাড়া যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় আসবাবপত্রের জন্য দেশের অন্যতম বৃহৎ হাট ধলাপাড়া। ফার্নিচার ব্যবসায়ী অভিজিৎ সাহা জানান, হাটের ইজারা আরো কম হলে ক্রেতা-বিক্রেতা আরও বাড়বে। প্রতিটি খাটের জন্য ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা খাজনা দিতে হয় ক্রেতাকে।

বাসাবাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনন্ত পাল জানান, হাটবারের আগের দিন থেকেই আসবাবপত্র আসাতে শুরু করে এবং তা হাটবারের রাত অবধি চলে বেচাবিক্রি। ধলাপাড়া বণিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম জানান, ধলাপাড়া ফার্নিচার হাটের সুনাম দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে। এখানে সপ্তাহে প্রায় কোটি টাকার তৈরি ফার্নিচার বিক্রি হয়।