শিরোনামঃ
জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান

আফ্রিকা হতে পারে বাংলাদেশের বাজার

#
news image

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। সেখানে আরও সুযোগ অন্বেষণ করতে হবে। রোববার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘আফ্রিকায় নজর: বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত অন্বেষণ’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে বিআইআইএসএস।

সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পররাষ্ট্রসচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আফ্রিকার ১০টি দেশে আমাদের মিশন রয়েছে। সেখানে আমরা আরও নতুন মিশন খোলার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আফ্রিকার এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আমরা আগে কাজ করেছি। এছাড়া ক্লাইমেট চেঞ্জ ঝুঁকি মোকাবিলায়ও সেখানের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করেছি। আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আফ্রিকা ভালো বাজার হতে পারে। আফ্রিকার খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আফ্রিকায় ভারত ও চীনের উপস্থিতি ব্যাপক। আমাদের তেমন উপস্থিতি নেই। আমাদের সেই সুযোগ নিতে হবে। আমরা সেখানে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। তবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দুবাই, কানাডা, আবুধাবি, যুক্তরাষ্ট্রে যায়, আফ্রিকায় যায় না। তবে আফ্রিকায় গৃহযুদ্ধ ও জাতিগত সংঘাতও বিবেচনায় নিতে হবে।

মূল প্রবন্ধে মাশফি বিনতে শামস বলেন, বঙ্গবন্ধু আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তি গড়েছিলেন। আলজেরিয়া ও মিশরে ১৯৭৩ সালে মিশন খোলা হয়। পরে কেনিয়া সেনেগাল, জিম্বাবুয়ে, লিবিয়া ও মরক্কোয় মিশন খোলা হয়। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটাই থমকে যায়। এখন সেখানে ১০টি মিশন রয়েছে।

তিনি বলেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আমাদের শান্তিরক্ষীরা কাজ করছে। এটা ইতিবাচক দিক। আফ্রিকায় ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য, ওষুধ শিল্প রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ নিতে হবে। আফ্রিকার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দ্বৈত কর প্রত্যাহারে জোর দেন মাশফি বিনতে শামস।

বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আফ্রিকায় ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের সুযোগ রয়েছে। পোশাক শিল্প পণ্যেরও রপতানির সুযোগ রয়েছে আমাদের। সেখানে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়েরও সুযোগ রয়েছে। আফ্রিকা অনেক দূরের মহাদেশও নয়। তিনি বলেন, সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষা বিকাশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ভূমিকা রেখেছে।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।

অনলাইন ডেস্ক

১৪ নভেম্বর, ২০২২,  1:24 AM

news image

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। সেখানে আরও সুযোগ অন্বেষণ করতে হবে। রোববার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘আফ্রিকায় নজর: বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত অন্বেষণ’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে বিআইআইএসএস।

সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পররাষ্ট্রসচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আফ্রিকার ১০টি দেশে আমাদের মিশন রয়েছে। সেখানে আমরা আরও নতুন মিশন খোলার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আফ্রিকার এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আমরা আগে কাজ করেছি। এছাড়া ক্লাইমেট চেঞ্জ ঝুঁকি মোকাবিলায়ও সেখানের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করেছি। আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আফ্রিকা ভালো বাজার হতে পারে। আফ্রিকার খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আফ্রিকায় ভারত ও চীনের উপস্থিতি ব্যাপক। আমাদের তেমন উপস্থিতি নেই। আমাদের সেই সুযোগ নিতে হবে। আমরা সেখানে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। তবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দুবাই, কানাডা, আবুধাবি, যুক্তরাষ্ট্রে যায়, আফ্রিকায় যায় না। তবে আফ্রিকায় গৃহযুদ্ধ ও জাতিগত সংঘাতও বিবেচনায় নিতে হবে।

মূল প্রবন্ধে মাশফি বিনতে শামস বলেন, বঙ্গবন্ধু আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তি গড়েছিলেন। আলজেরিয়া ও মিশরে ১৯৭৩ সালে মিশন খোলা হয়। পরে কেনিয়া সেনেগাল, জিম্বাবুয়ে, লিবিয়া ও মরক্কোয় মিশন খোলা হয়। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটাই থমকে যায়। এখন সেখানে ১০টি মিশন রয়েছে।

তিনি বলেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আমাদের শান্তিরক্ষীরা কাজ করছে। এটা ইতিবাচক দিক। আফ্রিকায় ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য, ওষুধ শিল্প রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ নিতে হবে। আফ্রিকার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দ্বৈত কর প্রত্যাহারে জোর দেন মাশফি বিনতে শামস।

বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আফ্রিকায় ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের সুযোগ রয়েছে। পোশাক শিল্প পণ্যেরও রপতানির সুযোগ রয়েছে আমাদের। সেখানে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়েরও সুযোগ রয়েছে। আফ্রিকা অনেক দূরের মহাদেশও নয়। তিনি বলেন, সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষা বিকাশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ভূমিকা রেখেছে।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।