বাণিজ্যিক এলসি বন্ধ আছে, এমনটা সত্য নয়ঃ বাংলাদেশ ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
১৫ নভেম্বর, ২০২২, 12:51 AM

বাণিজ্যিক এলসি বন্ধ আছে, এমনটা সত্য নয়ঃ বাংলাদেশ ব্যাংক
চলতি নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত এলসি(আমানতপত্র) খোলা হয়েছে ১২৬৩ মিলিয়ন ডলার। বাণিজ্যিক এলসি বন্ধ আছে এমন দাবি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (সিইও) ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মূল ভবনের পঞ্চম তলায় জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতির বহিঃখাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন টালমাটাল। একইভাবে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে সরবরাহ চাহিদায় ব্যত্যয় ঘটতে থাকে। কমার্শিয়াল এলসি ওপেন বা খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। স্ব স্ব ব্যাংক তাদের রেমিটেন্স আয় ও রেমিটেন্স ব্যয় সাপেক্ষে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল বিবেচনায় তারা ঋণপত্র খুলছে, খুলে যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিপূর্ণ গাইডলাইন মোতাবেক তদারকি করে যাচ্ছে। বিশেষ তদারকিতে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিং অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
আজ অবধি বিদেশি মুদ্রায় কোনো লোন ডিফল্ট হয়নি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তা হতেও দেবে না। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক পরামর্শ ও সাপোর্ট দিয়ে যাবে। এছাড়া অধিকার খাত এবং জরুরি পণ্যে (পানি, সার ও খাদ্য) আমদানিতে সরকারি ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রেখে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারি ঋণপত্রে ডলার সাপোর্ট দিয়ে চলেছে এবং যাবে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর ১০ পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে ৬৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত বছরে এসেছিল ৬৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখানে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮ শতাংশ। গত বছরের জুলাই থেকে সর্বশেষ নভেম্বর ১০ পর্যন্ত রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ। এটি ২০২০-২১ বছরে ছিল ৪০৬৩৭ মিলিয়ন। পূর্ববর্তী বছরে ছিল ৩৬০৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানিও ক্রমবর্ধনশীল।
অনলাইন ডেস্ক
১৫ নভেম্বর, ২০২২, 12:51 AM

চলতি নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত এলসি(আমানতপত্র) খোলা হয়েছে ১২৬৩ মিলিয়ন ডলার। বাণিজ্যিক এলসি বন্ধ আছে এমন দাবি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (সিইও) ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মূল ভবনের পঞ্চম তলায় জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতির বহিঃখাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন টালমাটাল। একইভাবে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে সরবরাহ চাহিদায় ব্যত্যয় ঘটতে থাকে। কমার্শিয়াল এলসি ওপেন বা খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। স্ব স্ব ব্যাংক তাদের রেমিটেন্স আয় ও রেমিটেন্স ব্যয় সাপেক্ষে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল বিবেচনায় তারা ঋণপত্র খুলছে, খুলে যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিপূর্ণ গাইডলাইন মোতাবেক তদারকি করে যাচ্ছে। বিশেষ তদারকিতে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিং অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
আজ অবধি বিদেশি মুদ্রায় কোনো লোন ডিফল্ট হয়নি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তা হতেও দেবে না। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক পরামর্শ ও সাপোর্ট দিয়ে যাবে। এছাড়া অধিকার খাত এবং জরুরি পণ্যে (পানি, সার ও খাদ্য) আমদানিতে সরকারি ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রেখে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারি ঋণপত্রে ডলার সাপোর্ট দিয়ে চলেছে এবং যাবে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর ১০ পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে ৬৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত বছরে এসেছিল ৬৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখানে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮ শতাংশ। গত বছরের জুলাই থেকে সর্বশেষ নভেম্বর ১০ পর্যন্ত রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ। এটি ২০২০-২১ বছরে ছিল ৪০৬৩৭ মিলিয়ন। পূর্ববর্তী বছরে ছিল ৩৬০৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানিও ক্রমবর্ধনশীল।