শিরোনামঃ
জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান

কৃষি খাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম: ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন কৃষক

#
news image

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে কৃষি খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করে তা পরিচালনা নীতিমালা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে তা দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দুর্বল সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বে খাদ্য সংকট সৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ লক্ষে কৃষি খাতে স্বল্প সুদ হারে ঋণ প্রবাহ বজায় রাখতে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম পরিচালনায় একটি নীতিমালা করা হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, এই স্কিম বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল। স্কিমটির মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। কৃষক পর্যায়ে ঋণের সুদ/মুনাফা হার সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ (সরল হারে) হবে বলে নীতিমালায় বলা হয়েছে। এই ঋণ ধান চাষ, মৎস্য চাষ, কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে উল্লিখিত শাক-সবজি, ফল ও ফুল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় পোল্ট্রিও দুগ্ধ উৎপাদন খাতে বিতরণ করা যাবে।

কৃষক/গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ন্যূনতম ৩ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১৮ মাস। গঠিত তহবিল থেকে পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণের তারিখ হতে ব্যাংকগুলো অনধিক ১৮ মাসের মধ্যে আসল এবং সুদ/মুনাফা (বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্ধারিত ০.৫০ শতাংশ সুদ / মুনাফা হারে) পরিশোধ করবে।

কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ উপলক্ষে নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক/ গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।  কৃষক বা গ্রাহকদের ঋণের সর্বোচ্চ পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাইয়ের ভিত্তিতে নির্ধারণ করে বিতরণ করবে।

ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের অনুকূলে শস্য ও ফসল (ধান, শাক-সবজি, ফল ও ফুল) চাষের জন্য এককভাবে জামানতবিহীন (শুধুমাত্র ফল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা যাবে। আর সর্বোচ্চ ৫ একর জমিতে চাষাবাদের জন্য ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে ঋণ বিতরণ করা যাবে।

এদিকে, পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ৪ শতাংশ সুদ/মুনাফা হারে কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্যাদি উল্লেখ করে ব্যাংকের বাইরে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে ব্যানার স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়া এ স্কিমের আওতায় কৃষকদের ঋণ গ্রহণে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ফসল চাষের মৌসুম শুরু হওয়ার পূর্বেই সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিশেষ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে। একইসঙ্গে প্রকৃত কৃষক চিহ্নিত করার লক্ষে প্রয়োজনে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সহায়তা গ্রহণ করা যাবে বলেও জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অনলাইন ডেস্ক

১৮ নভেম্বর, ২০২২,  12:56 AM

news image

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে কৃষি খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করে তা পরিচালনা নীতিমালা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে তা দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দুর্বল সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বে খাদ্য সংকট সৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ লক্ষে কৃষি খাতে স্বল্প সুদ হারে ঋণ প্রবাহ বজায় রাখতে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম পরিচালনায় একটি নীতিমালা করা হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, এই স্কিম বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল। স্কিমটির মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। কৃষক পর্যায়ে ঋণের সুদ/মুনাফা হার সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ (সরল হারে) হবে বলে নীতিমালায় বলা হয়েছে। এই ঋণ ধান চাষ, মৎস্য চাষ, কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে উল্লিখিত শাক-সবজি, ফল ও ফুল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় পোল্ট্রিও দুগ্ধ উৎপাদন খাতে বিতরণ করা যাবে।

কৃষক/গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ন্যূনতম ৩ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১৮ মাস। গঠিত তহবিল থেকে পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণের তারিখ হতে ব্যাংকগুলো অনধিক ১৮ মাসের মধ্যে আসল এবং সুদ/মুনাফা (বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্ধারিত ০.৫০ শতাংশ সুদ / মুনাফা হারে) পরিশোধ করবে।

কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ উপলক্ষে নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক/ গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।  কৃষক বা গ্রাহকদের ঋণের সর্বোচ্চ পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাইয়ের ভিত্তিতে নির্ধারণ করে বিতরণ করবে।

ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের অনুকূলে শস্য ও ফসল (ধান, শাক-সবজি, ফল ও ফুল) চাষের জন্য এককভাবে জামানতবিহীন (শুধুমাত্র ফল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা যাবে। আর সর্বোচ্চ ৫ একর জমিতে চাষাবাদের জন্য ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে ঋণ বিতরণ করা যাবে।

এদিকে, পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ৪ শতাংশ সুদ/মুনাফা হারে কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্যাদি উল্লেখ করে ব্যাংকের বাইরে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে ব্যানার স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়া এ স্কিমের আওতায় কৃষকদের ঋণ গ্রহণে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ফসল চাষের মৌসুম শুরু হওয়ার পূর্বেই সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিশেষ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে। একইসঙ্গে প্রকৃত কৃষক চিহ্নিত করার লক্ষে প্রয়োজনে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সহায়তা গ্রহণ করা যাবে বলেও জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।