শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার

জিএসপি সুবিধা বহাল রাখতে ইতালির সমর্থন চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

#
news image

উন্নয়নশীল দেশে (এলডিসি)  উত্তোরণের পরে আরও ৬ বছর অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ইতালির সমর্থন চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সোমবার সচিবালয়ে নিজ অফিসকক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতার সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই সমর্থনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ বর্তমানে ইতালিসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা ভোগ করছে। ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণের পর আরও তিন বছর এই সুবিধা বহাল থাকবে। তবে বাংলাদেশ এলডিসি উত্তোরণের পরে ন্যুনতম আরও ৬ বছর জিএসপি সুবিধা বহাল রাখার আলোচনা করছে।  

মতবিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতালির ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করার আহবান জানান। তিনি বলেন,‘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এর অনেকগুলোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং ইতোমধ্যে অনেক কারখানা চালু হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ইতালির ব্যবসায়ীরা এখানকার বিনিয়োগ উপযুক্ত পরিবেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশে কম খরচে দক্ষ জনশক্তি ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এখানে কম খরচে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। তাই বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে এলে, তারা লাভবান হবেন।    

তিনি বলেন, ইতালির সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বহু পুরনো। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার ইতালি। সেখানে অনেক বাংলাদেশী সুনামের সাথে কাজ করছে। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ইতালির তৈরি যন্ত্রাংশ বাংলাদেশের শিল্প-কারখানা এবং মেডিকেল মেশিনারিজ প্রচুর ব্যবহার হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা বলেন, বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদনে বেশ সফল হয়েছে এবং ইতালিতে এর  জনপ্রিয়তা রয়েছে। ইতালির অনেক পণ্য বাংলাদেশ আমদানি করে। উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি একে কাজে লাগানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উভয় দেশের মধ্যে পর্যটক বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ইতালির মদ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২,২৬২.৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য, হালকা প্রকৌশল শিল্পসহ বিভিন্ন পণ্য ইতালিতে রপ্তানি করে ১,৭০৮.২৯ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৫৫৪.৭০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

অনলাইন ডেস্ক

২১ নভেম্বর, ২০২২,  10:52 PM

news image

উন্নয়নশীল দেশে (এলডিসি)  উত্তোরণের পরে আরও ৬ বছর অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ইতালির সমর্থন চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সোমবার সচিবালয়ে নিজ অফিসকক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতার সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই সমর্থনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ বর্তমানে ইতালিসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা ভোগ করছে। ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণের পর আরও তিন বছর এই সুবিধা বহাল থাকবে। তবে বাংলাদেশ এলডিসি উত্তোরণের পরে ন্যুনতম আরও ৬ বছর জিএসপি সুবিধা বহাল রাখার আলোচনা করছে।  

মতবিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতালির ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করার আহবান জানান। তিনি বলেন,‘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এর অনেকগুলোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং ইতোমধ্যে অনেক কারখানা চালু হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ইতালির ব্যবসায়ীরা এখানকার বিনিয়োগ উপযুক্ত পরিবেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশে কম খরচে দক্ষ জনশক্তি ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এখানে কম খরচে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। তাই বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে এলে, তারা লাভবান হবেন।    

তিনি বলেন, ইতালির সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বহু পুরনো। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার ইতালি। সেখানে অনেক বাংলাদেশী সুনামের সাথে কাজ করছে। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ইতালির তৈরি যন্ত্রাংশ বাংলাদেশের শিল্প-কারখানা এবং মেডিকেল মেশিনারিজ প্রচুর ব্যবহার হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা বলেন, বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদনে বেশ সফল হয়েছে এবং ইতালিতে এর  জনপ্রিয়তা রয়েছে। ইতালির অনেক পণ্য বাংলাদেশ আমদানি করে। উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি একে কাজে লাগানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উভয় দেশের মধ্যে পর্যটক বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ইতালির মদ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২,২৬২.৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য, হালকা প্রকৌশল শিল্পসহ বিভিন্ন পণ্য ইতালিতে রপ্তানি করে ১,৭০৮.২৯ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৫৫৪.৭০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।