শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে

#
news image

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া রশিদ দিয়ে গরু ও মহিষ কিনে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে  আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ চক্রকে চিহ্নিত করতে তৎপর রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। 

জানা যায়, প্রতিবছর  কামিনীগঞ্জ বাজার ইজারা হলেও চলতি বছর কেউ টেন্ডারে অংশগ্রহণ না করায় পশুর বাজার এবার খাস কালেকশন করছেন জায়ফরনগর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটি প্রতারক চক্র ভুয়া রশিদ তৈরি করে কোরবানির গরু ও মহিষ বিক্রি করছেন। 
 
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৮ জুন সরকারি খাস আদায় রশিদের ক্রমিক নং ৯১৬, ৯১৭, ৯১৮ এর মাধ্যমে ১৫ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার ১২ টি মহিষের ইজারা হিসেবে মোট ৮৪০০ টাকা আদায় করা হয়‌। এ রকম শত শত ভূয়া রশিদের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই রশিদে আদায়কারী হিসেবে স্থানীয় ঠিকাদার মোমিন নামের এক জনের স্বাক্ষর রয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য নিতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গেলে কন্টিনালাস্থ ফারুক ভান্ডারীর চায়ের দোকানে গিয়ে জানা যায়, মোমিন স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী ফেদলকে নিয়ে এসব রশিদের মাধ্যমে গরু ও মহিষের ইজারা তুলছেন। ফারুক ভান্ডারীর দোকানে রয়েছে তাদের চেয়ার টেবিলসহ নির্দিষ্ট একটি জায়গা। যেখানে বসে এরা নিয়মিত ভূয়া রশিদ দিয়ে গরু ও মহিষের রশিদ দিয়ে থাকেন। 

এ বিষয়ে ফারুক ভান্ডারী বলেন, আমার দোকানে বসে নিয়মিত ঠিকাদার মোমিন ও গরু ব্যবসায়ী ফেদল  রশিদের মাধ্যমে অনেকের কাছ থেকে গরু ও  মহিষ বিক্রির ইজারার টাকা আদায় করেন। তবে এসব রশিদ নিয়ে এক ব্যবসায়ী ব্রাহ্মণবাজার ২৫ হাজার টাকা জরিমানা  দিয়েছেন বলে শুনেছি।

গরু ও মহিষ ব্যবসায়ী আব্দুর হান্নান জানান, আমি বিগত কয়েক মাস যাবত নিয়মিত গরু ও মহিষ বিক্রি করে আসছি। ব্যবসায়ী ফেদলের কাছ থেকে রশিদের মাধ্যমে   ইজারার টাকা পরিশোধ করে আসছি। 

অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় ঠিকাদার মোমিন জানান, রশিদে যে স্বাক্ষর এটা আমার নয় এবং আমি এ ধরনের কার্যকলাপের সাথে জড়িত নয়। 

এ বিষয়ে উপজেলা  সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জুন, ২০২৪,  6:36 PM

news image

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া রশিদ দিয়ে গরু ও মহিষ কিনে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে  আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ চক্রকে চিহ্নিত করতে তৎপর রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। 

জানা যায়, প্রতিবছর  কামিনীগঞ্জ বাজার ইজারা হলেও চলতি বছর কেউ টেন্ডারে অংশগ্রহণ না করায় পশুর বাজার এবার খাস কালেকশন করছেন জায়ফরনগর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটি প্রতারক চক্র ভুয়া রশিদ তৈরি করে কোরবানির গরু ও মহিষ বিক্রি করছেন। 
 
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৮ জুন সরকারি খাস আদায় রশিদের ক্রমিক নং ৯১৬, ৯১৭, ৯১৮ এর মাধ্যমে ১৫ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার ১২ টি মহিষের ইজারা হিসেবে মোট ৮৪০০ টাকা আদায় করা হয়‌। এ রকম শত শত ভূয়া রশিদের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই রশিদে আদায়কারী হিসেবে স্থানীয় ঠিকাদার মোমিন নামের এক জনের স্বাক্ষর রয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য নিতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গেলে কন্টিনালাস্থ ফারুক ভান্ডারীর চায়ের দোকানে গিয়ে জানা যায়, মোমিন স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী ফেদলকে নিয়ে এসব রশিদের মাধ্যমে গরু ও মহিষের ইজারা তুলছেন। ফারুক ভান্ডারীর দোকানে রয়েছে তাদের চেয়ার টেবিলসহ নির্দিষ্ট একটি জায়গা। যেখানে বসে এরা নিয়মিত ভূয়া রশিদ দিয়ে গরু ও মহিষের রশিদ দিয়ে থাকেন। 

এ বিষয়ে ফারুক ভান্ডারী বলেন, আমার দোকানে বসে নিয়মিত ঠিকাদার মোমিন ও গরু ব্যবসায়ী ফেদল  রশিদের মাধ্যমে অনেকের কাছ থেকে গরু ও  মহিষ বিক্রির ইজারার টাকা আদায় করেন। তবে এসব রশিদ নিয়ে এক ব্যবসায়ী ব্রাহ্মণবাজার ২৫ হাজার টাকা জরিমানা  দিয়েছেন বলে শুনেছি।

গরু ও মহিষ ব্যবসায়ী আব্দুর হান্নান জানান, আমি বিগত কয়েক মাস যাবত নিয়মিত গরু ও মহিষ বিক্রি করে আসছি। ব্যবসায়ী ফেদলের কাছ থেকে রশিদের মাধ্যমে   ইজারার টাকা পরিশোধ করে আসছি। 

অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় ঠিকাদার মোমিন জানান, রশিদে যে স্বাক্ষর এটা আমার নয় এবং আমি এ ধরনের কার্যকলাপের সাথে জড়িত নয়। 

এ বিষয়ে উপজেলা  সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।