শিরোনামঃ
‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন চর্চার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

হাঁটলে মেজাজ ভালো থাকবে, সাথে বাড়বে আয়ুও

#
news image

নগর জীবনে তীব্র যানজটের কারণে গাড়িতে বসে থাকতে হয়। অনেক সময় হাঁটার রাস্তাও থাকে না। ফলাফলে মেজাজ খিটমিটে হয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। সময়ের অভাবে না হাঁটার ফলে শরীরে রোগব্যাধি ধরাশয়ী করে ফেলে।

রোগব্যাধি থেকে দূরে থাকতে এবং শরীর ভালো রাখতে নিয়মিত হাঁটার বিকল্প নেই। কেবল শরীর নয়, মন সতেজ রাখতেও এর তুলনা হয় না। এছাড়া যারা ওজন কমানো নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন, তাদের জন্যও হাঁটার কোনো বিকল্প নেই।

প্রতি সপ্তাহে মাত্র ৭৫ মিনিটের হাঁটা ২০ মাস পর্যন্ত আয়ু বাড়ে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও ব্রিগহ্যাম উওমেন হাসপাতালের একটি যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষকদের মতে, যদি কেউ প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত ছোটখাটো শারীরিক পরিশ্রম করেন- যেমন ৭৫ মিনিট হাঁটেন- তাহলে তিনি ৪০ বছরের পর অন্যদের তুলনায় ন্যূনতম ২০ মাস বেশি আয়ু পেতে সক্ষম।

প্রতি সপ্তাহে ২৫০ মিনিটের হাঁটতে পারলে আপনার আয়ু সাড়ে ৪ বছর পর্যন্ত বাড়াতে পারে।

গবেষণায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষের ১০ বছরের স্বাস্থ্য রেকর্ড নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে মাত্র ৮২ হাজার মানুষ উল্লিখিত বর্ধিত আয়ু শেষ হওয়ার আগে মারা যান।

তবে স্বাভাবিক ওজনের ব্যক্তিদের জন্য এ হাঁটা আরও উপকারি হতে পারে বলে গবেষণায় জানা যায়। তারা সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটার মাধ্যমে ৭ বছর দুই মাস পর্যন্ত আয়ু বাড়াতে সক্ষম।

গবেষণা বলছে, যারা গতিতে হাঁটে তাদের আয়ু গড়ে ২০ শতাংশ বাড়ে, তাদের থেকে যারা সেভাবে কম গতিতে হাঁটেন। এছাড়াও পায়ের পেশী ভালো থাকে। আর মেজাজও ৩০ মিনিটের হাঁটাহাঁটিতে ভালো থাকে বলে জানানো হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ১০ মিনিটে আমাদের এক কিলোমিটার পথ হাঁটতে হবে। আর ৫-১০ মিনিটের রাস্তায় গাড়ি বা রিকশায় ওঠার কথা চিন্তা না করে হাঁটতে শুরু করুন।

নিয়মিত হাঁটলে কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস ও স্থুলতা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পাশাপাশি হার্ট, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি ক্যানসারের মতো রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে নিয়মিত হাঁটার অভ্যেস। কেন আমাদের আরো বেশি হাঁটা প্রয়োজন এবং জেনে নিন হাঁটার উপকারিতা-

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

হাঁটলে শরীরের পেশিতে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে রক্তের গ্লুকোজ কমে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। সম্প্রতি গবেষকদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, আপনি যত বেশি হাঁটবেন, তত আপনার ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা কম হবে। যিনি সপ্তাহে ৫ দিন প্রতিদিন ১০,০০০ স্টেপ হাঁটেন, তিনি ডায়াবেটিস থেকে তত দূরে থাকেন যিনি প্রতিদিন ৩,০০০ স্টেপ হাঁটেন। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার খাওয়ার পরে মাত্র দুই মিনিট হাঁটলেই রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকখানি কমে যেতে পারে।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটা ও ব্যায়াম করতে হবে। স্তন, প্রোস্টেট, ফুসফুস, কোলন ও কিডনির ক্যানসার প্রতিরোধ নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

জয়েন্টে ব্যথার উপশম করে

গাঁটে গাঁটে ব্যথা বা জয়েন্ট পেইনে ভুগলে কিন্তু হাঁটার কোনও বিকল্প খোঁজা দায়। জয়েন্টে ব্যথার উপশমই শুধু নয়, এক গবেষণা বলছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হাঁটার গুণাগুণ প্রচুর।

হার্ট ভালো থাকে

নিয়মিত হাঁটলে রক্তনালীর দেওয়ারগুলিতে চর্বি কম জমে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজ দেয় হাঁটার অভ্যাস। এতে কমে যায় স্ট্রোকের সম্ভাবনা।

বাড়তি মেদ ঝরায়

ডায়টেশিয়ানদের মতে, প্রতি সপ্তাহে ২৫০ মিনিট ধরে হাঁটা উচিত। অর্থাৎ প্রতি দিনের নিরিখে আধ ঘণ্টার একটু বেশি। দীর্ঘক্ষণ হাঁটলে ক্যালোরি বার্নে সুবিধা হয়। আর তারফলেই শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য হয়।

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়া দাওয়ার নিয়মের পাশাপাশি দরকার নির্দিষ্ট সময় মেনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাঁটা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্লাড প্রেশারের সমস্যা কমাতে ৩০ মিনিট নিয়ম করে রোজ হাঁটলে তা উপকার দেবে।

মানসিক সুস্থতা ভালো থাকে

অফিসে বা কাজে হেঁটে যাওয়া অনেক ভালো একটি উপায়। সকালে হাঁটার অভ্যাসের পাশাপাশি কাজের জায়গায় গিয়ে আপনাকে মানসিকভাবে ভালো থাকতে সাহায্য করবে।‘ইট দিস ডট কম’ ওয়েবসাইটের এক গবেষণায় অ্যাংলিয়াস নরউইচ মেডিকেল স্কুলের প্রধান গবেষক অ্যাডাম মার্টিন বলেন, যারা গাড়িতে যাতায়াত করেন, তাদের মানসিক সুস্থতা বেশি খারাপ হয়। আর যারা বেশি হাঁটেন, তাদের মানসিক সুস্থতা ততই ভালো হয়।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রভাব পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। কমে যায় স্মৃতি শক্তি। তাই স্মৃতি শক্তি ভাল রাখতে নিয়মিত হাঁটার অভ্যেস করুন। নিজেকে সুস্থ রাখুন।

হাঁটার সময় যেসব কৌশল মেনে চলবেন

জার্নাল অব হ্যাপিনেস স্টাডিজের একটি গবেষণায় তারা একদল স্বেচ্ছাসেবককে হাঁটার সময় তাদের সামনে থাকা ব্যক্তিদের সম্পর্কে তিনটি কৌশল মেনে চলতে বলেন। প্রথমটি হচ্ছে— তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে ভালোবাসা-দয়া রাখা; দ্বিতীয়টি হচ্ছে— পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা এবং তৃতীয়টি হচ্ছে— কৌশলে বলা হয় অন্যান্য লোকদের বাহ্যিক উপস্থিতি এবং চেহারা বিবেচনা করতে। গবেষণাটিতে দেখা যায়, এ কৌশলগুলো অবলম্বন করার ফলে তারা কম উদ্বেগ, আরও সুখী, আরও সংযুক্ত, আরও যত্নশীল এবং আরও সহানুভূতি অনুভব করে।

হাঁটার মাঝে মাঝে শ্বাস প্রশ্বাস ঠিক রাখতে লম্বা ও গভীর দম নিন ও ছাড়ুন। নাক দিয়ে দম নিয়ে, মুখ দিয়ে ধীরে ছাড়ুন। এতে আপনার শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও আরো হাঁটার শক্তি পাবে।

হাঁটার ১০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। সারাদিন এক ঘন্টা পর পর এক গ্লাস করে পানি খেলে হাঁটার সময় পানিশুন্যতা হবে না। হাঁটার সময় প্রতি ২০ মিনিটে এক কাপ করে পানি খাবেন। হাঁটার শেষে এক থেকে দুই গ্লাস পানি খাবেন।

প্রতিদিন যত বেশি হাঁটবেন, মনে হবে আপনি ততই বেশি ভাল আছেন। ভাল থাকার ব্যাপারে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। শরীরকে যথাযথভাবে কর্মক্ষম রাখার জন্যে এবং আয়ু বাড়াতে নিয়মিত হাঁটুন।

অনলাইন ডেস্ক

৩০ আগস্ট, ২০২২,  10:54 PM

news image

নগর জীবনে তীব্র যানজটের কারণে গাড়িতে বসে থাকতে হয়। অনেক সময় হাঁটার রাস্তাও থাকে না। ফলাফলে মেজাজ খিটমিটে হয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। সময়ের অভাবে না হাঁটার ফলে শরীরে রোগব্যাধি ধরাশয়ী করে ফেলে।

রোগব্যাধি থেকে দূরে থাকতে এবং শরীর ভালো রাখতে নিয়মিত হাঁটার বিকল্প নেই। কেবল শরীর নয়, মন সতেজ রাখতেও এর তুলনা হয় না। এছাড়া যারা ওজন কমানো নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন, তাদের জন্যও হাঁটার কোনো বিকল্প নেই।

প্রতি সপ্তাহে মাত্র ৭৫ মিনিটের হাঁটা ২০ মাস পর্যন্ত আয়ু বাড়ে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও ব্রিগহ্যাম উওমেন হাসপাতালের একটি যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষকদের মতে, যদি কেউ প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত ছোটখাটো শারীরিক পরিশ্রম করেন- যেমন ৭৫ মিনিট হাঁটেন- তাহলে তিনি ৪০ বছরের পর অন্যদের তুলনায় ন্যূনতম ২০ মাস বেশি আয়ু পেতে সক্ষম।

প্রতি সপ্তাহে ২৫০ মিনিটের হাঁটতে পারলে আপনার আয়ু সাড়ে ৪ বছর পর্যন্ত বাড়াতে পারে।

গবেষণায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষের ১০ বছরের স্বাস্থ্য রেকর্ড নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে মাত্র ৮২ হাজার মানুষ উল্লিখিত বর্ধিত আয়ু শেষ হওয়ার আগে মারা যান।

তবে স্বাভাবিক ওজনের ব্যক্তিদের জন্য এ হাঁটা আরও উপকারি হতে পারে বলে গবেষণায় জানা যায়। তারা সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটার মাধ্যমে ৭ বছর দুই মাস পর্যন্ত আয়ু বাড়াতে সক্ষম।

গবেষণা বলছে, যারা গতিতে হাঁটে তাদের আয়ু গড়ে ২০ শতাংশ বাড়ে, তাদের থেকে যারা সেভাবে কম গতিতে হাঁটেন। এছাড়াও পায়ের পেশী ভালো থাকে। আর মেজাজও ৩০ মিনিটের হাঁটাহাঁটিতে ভালো থাকে বলে জানানো হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ১০ মিনিটে আমাদের এক কিলোমিটার পথ হাঁটতে হবে। আর ৫-১০ মিনিটের রাস্তায় গাড়ি বা রিকশায় ওঠার কথা চিন্তা না করে হাঁটতে শুরু করুন।

নিয়মিত হাঁটলে কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস ও স্থুলতা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পাশাপাশি হার্ট, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি ক্যানসারের মতো রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে নিয়মিত হাঁটার অভ্যেস। কেন আমাদের আরো বেশি হাঁটা প্রয়োজন এবং জেনে নিন হাঁটার উপকারিতা-

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

হাঁটলে শরীরের পেশিতে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে রক্তের গ্লুকোজ কমে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। সম্প্রতি গবেষকদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, আপনি যত বেশি হাঁটবেন, তত আপনার ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা কম হবে। যিনি সপ্তাহে ৫ দিন প্রতিদিন ১০,০০০ স্টেপ হাঁটেন, তিনি ডায়াবেটিস থেকে তত দূরে থাকেন যিনি প্রতিদিন ৩,০০০ স্টেপ হাঁটেন। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার খাওয়ার পরে মাত্র দুই মিনিট হাঁটলেই রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকখানি কমে যেতে পারে।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটা ও ব্যায়াম করতে হবে। স্তন, প্রোস্টেট, ফুসফুস, কোলন ও কিডনির ক্যানসার প্রতিরোধ নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

জয়েন্টে ব্যথার উপশম করে

গাঁটে গাঁটে ব্যথা বা জয়েন্ট পেইনে ভুগলে কিন্তু হাঁটার কোনও বিকল্প খোঁজা দায়। জয়েন্টে ব্যথার উপশমই শুধু নয়, এক গবেষণা বলছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হাঁটার গুণাগুণ প্রচুর।

হার্ট ভালো থাকে

নিয়মিত হাঁটলে রক্তনালীর দেওয়ারগুলিতে চর্বি কম জমে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজ দেয় হাঁটার অভ্যাস। এতে কমে যায় স্ট্রোকের সম্ভাবনা।

বাড়তি মেদ ঝরায়

ডায়টেশিয়ানদের মতে, প্রতি সপ্তাহে ২৫০ মিনিট ধরে হাঁটা উচিত। অর্থাৎ প্রতি দিনের নিরিখে আধ ঘণ্টার একটু বেশি। দীর্ঘক্ষণ হাঁটলে ক্যালোরি বার্নে সুবিধা হয়। আর তারফলেই শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য হয়।

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়া দাওয়ার নিয়মের পাশাপাশি দরকার নির্দিষ্ট সময় মেনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাঁটা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্লাড প্রেশারের সমস্যা কমাতে ৩০ মিনিট নিয়ম করে রোজ হাঁটলে তা উপকার দেবে।

মানসিক সুস্থতা ভালো থাকে

অফিসে বা কাজে হেঁটে যাওয়া অনেক ভালো একটি উপায়। সকালে হাঁটার অভ্যাসের পাশাপাশি কাজের জায়গায় গিয়ে আপনাকে মানসিকভাবে ভালো থাকতে সাহায্য করবে।‘ইট দিস ডট কম’ ওয়েবসাইটের এক গবেষণায় অ্যাংলিয়াস নরউইচ মেডিকেল স্কুলের প্রধান গবেষক অ্যাডাম মার্টিন বলেন, যারা গাড়িতে যাতায়াত করেন, তাদের মানসিক সুস্থতা বেশি খারাপ হয়। আর যারা বেশি হাঁটেন, তাদের মানসিক সুস্থতা ততই ভালো হয়।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রভাব পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। কমে যায় স্মৃতি শক্তি। তাই স্মৃতি শক্তি ভাল রাখতে নিয়মিত হাঁটার অভ্যেস করুন। নিজেকে সুস্থ রাখুন।

হাঁটার সময় যেসব কৌশল মেনে চলবেন

জার্নাল অব হ্যাপিনেস স্টাডিজের একটি গবেষণায় তারা একদল স্বেচ্ছাসেবককে হাঁটার সময় তাদের সামনে থাকা ব্যক্তিদের সম্পর্কে তিনটি কৌশল মেনে চলতে বলেন। প্রথমটি হচ্ছে— তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে ভালোবাসা-দয়া রাখা; দ্বিতীয়টি হচ্ছে— পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা এবং তৃতীয়টি হচ্ছে— কৌশলে বলা হয় অন্যান্য লোকদের বাহ্যিক উপস্থিতি এবং চেহারা বিবেচনা করতে। গবেষণাটিতে দেখা যায়, এ কৌশলগুলো অবলম্বন করার ফলে তারা কম উদ্বেগ, আরও সুখী, আরও সংযুক্ত, আরও যত্নশীল এবং আরও সহানুভূতি অনুভব করে।

হাঁটার মাঝে মাঝে শ্বাস প্রশ্বাস ঠিক রাখতে লম্বা ও গভীর দম নিন ও ছাড়ুন। নাক দিয়ে দম নিয়ে, মুখ দিয়ে ধীরে ছাড়ুন। এতে আপনার শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও আরো হাঁটার শক্তি পাবে।

হাঁটার ১০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। সারাদিন এক ঘন্টা পর পর এক গ্লাস করে পানি খেলে হাঁটার সময় পানিশুন্যতা হবে না। হাঁটার সময় প্রতি ২০ মিনিটে এক কাপ করে পানি খাবেন। হাঁটার শেষে এক থেকে দুই গ্লাস পানি খাবেন।

প্রতিদিন যত বেশি হাঁটবেন, মনে হবে আপনি ততই বেশি ভাল আছেন। ভাল থাকার ব্যাপারে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। শরীরকে যথাযথভাবে কর্মক্ষম রাখার জন্যে এবং আয়ু বাড়াতে নিয়মিত হাঁটুন।