শিরোনামঃ
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন চর্চার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ যশোর, বাগেরহাট ও নড়াইলের ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিন নেতা ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিক্ষোভ মিছিল বর্হিবিশ্বে লন্ডনে স্হাপিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্তলাল সেন সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ বিটিএ’র পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত পরিচালককে অভিনন্দন বিকাশ দেওয়ান ছিলেন একজন সফল এমডি

মোজাম্বিকে বাংলাদেশি কৃষকদের দাপট

#
news image

 

দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক। আফ্রিকার যে ১৬ টি দেশে বাংলাদেশিদের ভিসা লাগে না মোজাম্বিক তার একটি। সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ মোজাম্বিকের একটি জেলা শহর মকুবা।

এখানে এক দশক ধরে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন।  দালালের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা বা সোয়াজিল্যান্ডে পাড়ি দিতে মোজাম্বিক থেকে আর বের হতে পারেননি এসব বাংলাদেশি।

এক পর্যায়ে তারা দেশটির একটি অঞ্চলে কৃষি খাতে কাজ করে নিজেদের জীবিকা অর্জন করছেন। বর্তমানে মোজাম্বিকের মকুবা শহরে আশপাশে কৃষি খাতে অসামান্য সফলতা পেয়েছেন।  চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এসএম হালিম। তিনি মোজাম্বিকের মকুবা অঞ্চলে দীর্ঘ এক দশক ধরে বসবাস করছেন। মূলত সরিষা ও বাদাম উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারে ব্যবসা করেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অর্থকরী ফসলের বীজের ব্যবসা করে সেখানে খ্যাতি অর্জন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবাসী হালিমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কর্মসংস্থানের জন্য দালালের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার জন্য মোজাম্বিকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে আর দক্ষিণ আফ্রিকায় তাকে পৌঁছে দেয়া হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন সেখানে থেকে স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে সেখানকার একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছেন। 

মোজাম্বিকে ভরপুর প্রাকৃতিক সম্পদে রয়েছে। দেশটি মূলত কৃষিজ অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া পানীয় ও রাসায়নিক, শিল্প, খাদ্য ও পেট্রোলিয়াম উৎপাদন দেশ হিসেবেও বেশ পরিচিতি রয়েছে। দেশটি পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনাময়। দক্ষিণ আফ্রিকা হলো মোজাম্বিকের ব্যবসায়িক প্রধান অংশীদার। এছাড়া সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের প্রধান উৎস বেলজিয়াম, ব্রাজিল, পর্তুগাল ও স্পেন। মোজাম্বিক মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার সীমানাবর্তী দেশ। দালালরা মোজাম্বিককে রুট হিসেবে ব্যবহার করে। এ পথ ধরে মোজাম্বিকসহ বিভিন্ন দেশ পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। অপরদিকে, যারা যেতে পারেন না তারা মোজাম্বিকে থেকে জীবিকার পথ খোঁজার চেষ্টা করেন। গত এক দশকে মোজাম্বিকে যে ১৫ হাজার বাংলাদেশী পৌঁছেছেন, তারা সবাই অবৈধপথে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার উদ্দেশে দেশটিতে পাড়ি দিয়েছেন। যারা যেতে পারেন না তারা মোজাম্বিকে থেকে জীবিকার পথ খোঁজার চেষ্টা করেন। গত এক দশকে মোজাম্বিকে যে ১৫ হাজার বাংলাদেশী পৌঁছেছেন, তারা সবাই অবৈধপথে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার উদ্দেশে দেশটিতে পাড়ি দিয়েছেন।

অবাক করা বিষয় হলো এ পর্যন্ত মোজাম্বিকে যারা গিয়েছেন, তারা সবাই চট্টগ্রাম অঞ্চলের। মোজাম্বিকে অভিবাসনের ৮০ শতাংশই চট্টগ্রাম অঞ্চলের। একই অঞ্চলের কীভাবে সবাই মোজাম্বিকের মকুবা শহরে পৌঁছেছে জানতে চাইলে মোজাম্বিক প্রবাসী মাওলানা শামসু বলেন, 'মূলত এখানে সবাই একে অন্যের আত্মীয়। এ সম্পর্ক ধরেই যোগাযোগ করে মোজাম্বিকে পৌঁছেছেন তারা।' অভিবাসন নিয়ে কাজ করা দুটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, যারা মোজাম্বিকে গিয়েছেন তাদের বেশির ভাগই উদ্দেশ্য দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি দেয়া। এজন্য তারা দালালের হাতে ১০-১৫ লাখ টাকা করে দিয়ে মোজাম্বিক পর্যন্ত গিয়েছে। সেখান থেকে বিভিন্ন বন-জঙ্গল পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছেছেন। আফ্রিকার ১৬টি দেশে পাসপোর্ট ছাড়াই বাংলাদেশীরা প্রবেশ করতে পারেন। তার মধ্যে একটি দেশ হলো মোজাম্বিক। দক্ষিণ আফ্রিকার পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় অনেকে মোজাম্বিকে যাচ্ছেন। বিশেষ করে দেশটির কৃষি খাতে বাংলাদেশীদের সাফল্য উঠে আসায় অনেকে দেশটিতে যেতে আগ্রহী হচ্ছেন।

অনলাইন ডেস্ক

২৪ অক্টোবর, ২০২২,  1:39 AM

news image

 

দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক। আফ্রিকার যে ১৬ টি দেশে বাংলাদেশিদের ভিসা লাগে না মোজাম্বিক তার একটি। সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ মোজাম্বিকের একটি জেলা শহর মকুবা।

এখানে এক দশক ধরে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন।  দালালের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা বা সোয়াজিল্যান্ডে পাড়ি দিতে মোজাম্বিক থেকে আর বের হতে পারেননি এসব বাংলাদেশি।

এক পর্যায়ে তারা দেশটির একটি অঞ্চলে কৃষি খাতে কাজ করে নিজেদের জীবিকা অর্জন করছেন। বর্তমানে মোজাম্বিকের মকুবা শহরে আশপাশে কৃষি খাতে অসামান্য সফলতা পেয়েছেন।  চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এসএম হালিম। তিনি মোজাম্বিকের মকুবা অঞ্চলে দীর্ঘ এক দশক ধরে বসবাস করছেন। মূলত সরিষা ও বাদাম উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারে ব্যবসা করেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অর্থকরী ফসলের বীজের ব্যবসা করে সেখানে খ্যাতি অর্জন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবাসী হালিমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কর্মসংস্থানের জন্য দালালের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার জন্য মোজাম্বিকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে আর দক্ষিণ আফ্রিকায় তাকে পৌঁছে দেয়া হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন সেখানে থেকে স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে সেখানকার একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছেন। 

মোজাম্বিকে ভরপুর প্রাকৃতিক সম্পদে রয়েছে। দেশটি মূলত কৃষিজ অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া পানীয় ও রাসায়নিক, শিল্প, খাদ্য ও পেট্রোলিয়াম উৎপাদন দেশ হিসেবেও বেশ পরিচিতি রয়েছে। দেশটি পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনাময়। দক্ষিণ আফ্রিকা হলো মোজাম্বিকের ব্যবসায়িক প্রধান অংশীদার। এছাড়া সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের প্রধান উৎস বেলজিয়াম, ব্রাজিল, পর্তুগাল ও স্পেন। মোজাম্বিক মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার সীমানাবর্তী দেশ। দালালরা মোজাম্বিককে রুট হিসেবে ব্যবহার করে। এ পথ ধরে মোজাম্বিকসহ বিভিন্ন দেশ পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। অপরদিকে, যারা যেতে পারেন না তারা মোজাম্বিকে থেকে জীবিকার পথ খোঁজার চেষ্টা করেন। গত এক দশকে মোজাম্বিকে যে ১৫ হাজার বাংলাদেশী পৌঁছেছেন, তারা সবাই অবৈধপথে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার উদ্দেশে দেশটিতে পাড়ি দিয়েছেন। যারা যেতে পারেন না তারা মোজাম্বিকে থেকে জীবিকার পথ খোঁজার চেষ্টা করেন। গত এক দশকে মোজাম্বিকে যে ১৫ হাজার বাংলাদেশী পৌঁছেছেন, তারা সবাই অবৈধপথে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার উদ্দেশে দেশটিতে পাড়ি দিয়েছেন।

অবাক করা বিষয় হলো এ পর্যন্ত মোজাম্বিকে যারা গিয়েছেন, তারা সবাই চট্টগ্রাম অঞ্চলের। মোজাম্বিকে অভিবাসনের ৮০ শতাংশই চট্টগ্রাম অঞ্চলের। একই অঞ্চলের কীভাবে সবাই মোজাম্বিকের মকুবা শহরে পৌঁছেছে জানতে চাইলে মোজাম্বিক প্রবাসী মাওলানা শামসু বলেন, 'মূলত এখানে সবাই একে অন্যের আত্মীয়। এ সম্পর্ক ধরেই যোগাযোগ করে মোজাম্বিকে পৌঁছেছেন তারা।' অভিবাসন নিয়ে কাজ করা দুটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, যারা মোজাম্বিকে গিয়েছেন তাদের বেশির ভাগই উদ্দেশ্য দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি দেয়া। এজন্য তারা দালালের হাতে ১০-১৫ লাখ টাকা করে দিয়ে মোজাম্বিক পর্যন্ত গিয়েছে। সেখান থেকে বিভিন্ন বন-জঙ্গল পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছেছেন। আফ্রিকার ১৬টি দেশে পাসপোর্ট ছাড়াই বাংলাদেশীরা প্রবেশ করতে পারেন। তার মধ্যে একটি দেশ হলো মোজাম্বিক। দক্ষিণ আফ্রিকার পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় অনেকে মোজাম্বিকে যাচ্ছেন। বিশেষ করে দেশটির কৃষি খাতে বাংলাদেশীদের সাফল্য উঠে আসায় অনেকে দেশটিতে যেতে আগ্রহী হচ্ছেন।