অনেক প্রথমের জন্ম দিয়ে সিনেটর বাংলাদেশি নাবিলা

অনলাইন ডেস্ক
১১ নভেম্বর, ২০২২, 2:44 AM

অনেক প্রথমের জন্ম দিয়ে সিনেটর বাংলাদেশি নাবিলা
জর্জিয়া স্টেট সিনেটে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করে জয়ী হয়ে চমক সৃষ্টি করেন বাংলাদেশি পিতামাতার সন্তান নাবিলা ইসলাম। মাত্র ৩২ বছর বয়সে সবচেয়ে কম বয়সী প্রথম মুসলিম নারী সিনেটর হয়ে জর্জিয়ায় নতুন ইতিহাস গড়েছেন।
তবে নাবিলার এই উত্থান মোটেও সহজ ছিল না। বাংলাদেশ থেকে উন্নত জীবনের সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল নাবিলার পরিবার। প্রবাসের কর্মজীবন স্বাভাবিকভাবেই কঠিন সংগ্রামী জীবনের গল্প। অন্ন যোগাতে নাবিলা তার বাবা মায়ের কঠোর পরিশ্রম নিজের চোখে দেখেছে। নাবিলার মা একটি ওয়্যারহাউজে ভারী কাজ করতেন। ওই চাকরিকালীন সময়ে তিনি আহত হন। আপদকালীন সময়ে নাবিলা মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভগ্নদশা দেখেই রাজনীতিতে নামার তাগিদ অনুভব করেন। তখন থেকেই নাবিলা মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার অধিকার সকলের মাঝে পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
সিনেটর হওয়ার আগে নাবিলা ইসলাম গিনেটে ডেমোক্র্যাট পার্টির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও সর্ব আমেরিকান মুসলিম জোটের সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকাকালীন সময়ে সমগ্র জর্জিয়ার ৬০০০০ নিবন্ধিত মুসলিম ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন, যা ছিলো একটি জর্জিয়ার ইতিহাসে দুঃসাধ্য রেকর্ড ।
নাবিলা ২০১৬ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারনায় বিজিত প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সাথে কাজ করেছেন। আবার জাতীয় ডেমোক্র্যাট কমিটিতেও ছিলেন। পার্টির জন্য তিনি মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার চাঁদা সংগ্রহ করেছেন।
আমেরিকার আলোচিত জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের পরে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও ভূমিকার পুরষ্কার হিসেবে মধ্যবর্তী নির্বাচনে নিজের দল ডেমোক্র্যাট পার্টির টিকেট পান ও রেকর্ড গড়ে ডিষ্ট্রিক্ট ৭ থেকে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
বিজয়ী হয়ে নাবিলা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "এখন আমাকে ১০ গুন পরিশ্রম করতে হবে। আমার কমিউনিটি আমার কাছে অনেক কিছু, এজন্য আমি হাল ছাড়ি নি।"
অনলাইন ডেস্ক
১১ নভেম্বর, ২০২২, 2:44 AM

জর্জিয়া স্টেট সিনেটে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করে জয়ী হয়ে চমক সৃষ্টি করেন বাংলাদেশি পিতামাতার সন্তান নাবিলা ইসলাম। মাত্র ৩২ বছর বয়সে সবচেয়ে কম বয়সী প্রথম মুসলিম নারী সিনেটর হয়ে জর্জিয়ায় নতুন ইতিহাস গড়েছেন।
তবে নাবিলার এই উত্থান মোটেও সহজ ছিল না। বাংলাদেশ থেকে উন্নত জীবনের সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল নাবিলার পরিবার। প্রবাসের কর্মজীবন স্বাভাবিকভাবেই কঠিন সংগ্রামী জীবনের গল্প। অন্ন যোগাতে নাবিলা তার বাবা মায়ের কঠোর পরিশ্রম নিজের চোখে দেখেছে। নাবিলার মা একটি ওয়্যারহাউজে ভারী কাজ করতেন। ওই চাকরিকালীন সময়ে তিনি আহত হন। আপদকালীন সময়ে নাবিলা মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভগ্নদশা দেখেই রাজনীতিতে নামার তাগিদ অনুভব করেন। তখন থেকেই নাবিলা মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার অধিকার সকলের মাঝে পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
সিনেটর হওয়ার আগে নাবিলা ইসলাম গিনেটে ডেমোক্র্যাট পার্টির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও সর্ব আমেরিকান মুসলিম জোটের সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকাকালীন সময়ে সমগ্র জর্জিয়ার ৬০০০০ নিবন্ধিত মুসলিম ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন, যা ছিলো একটি জর্জিয়ার ইতিহাসে দুঃসাধ্য রেকর্ড ।
নাবিলা ২০১৬ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারনায় বিজিত প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সাথে কাজ করেছেন। আবার জাতীয় ডেমোক্র্যাট কমিটিতেও ছিলেন। পার্টির জন্য তিনি মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার চাঁদা সংগ্রহ করেছেন।
আমেরিকার আলোচিত জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের পরে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও ভূমিকার পুরষ্কার হিসেবে মধ্যবর্তী নির্বাচনে নিজের দল ডেমোক্র্যাট পার্টির টিকেট পান ও রেকর্ড গড়ে ডিষ্ট্রিক্ট ৭ থেকে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
বিজয়ী হয়ে নাবিলা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "এখন আমাকে ১০ গুন পরিশ্রম করতে হবে। আমার কমিউনিটি আমার কাছে অনেক কিছু, এজন্য আমি হাল ছাড়ি নি।"