নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সবার অংশগ্রহণ জরুরী
ডেস্ক রিপোর্ট
২৩ জুন, ২০২৩, 9:41 PM
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সবার অংশগ্রহণ জরুরী
বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেছেন জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সবার অংশ গ্রহণ জরুরি। সরকারের একক কোন দপ্তর বা দ’ুচারটি সংগঠন মিলে এ অধিকার নিশ্চিত করা কঠিন। আবার খাদ্যের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করা ছাড়া ২০৪১ সালে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে তা অর্জন করা সম্ভব নয়। এ কারণে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে নাগরিকের স্মার্ট ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের কোন বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচ এম সফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মো.রেজাউল করিম, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক রিসালাত সিদ্দীক ,ফুড সেফটি মুভমেন্টের সভাপতি সাদেক মোহাম্মদ খান।
আলোকিত নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. মেহেরুন নিছা মেহেরীনের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুড সেফটি মুভমেন্টের মহাসচিব মো. ইউনুছ আলী । আলোচনায় অংশ নেন হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউর রহমান মিটন, হার্ভেস্ট প্লাস এর কান্ট্রি ম্যানেজার ড.খায়রুল বাশার, গেইন এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আবুল বাশার চৌধুরী। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি শেখ সাঈদ হোসেন ও কামরুন নাহার লিজা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম উইং) মো. মনিরুজ্জামান সিদ্দীক। মুল প্রবন্ধে বলা হয়, অনিরাপদ খাদ্য খেয়ে দেশের মানুষ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া মুখরোচক খাদ্যের ক্রেতা ৬০শতাংশ নারী আর ৪০ শতাংশ পুরুষ। এসব মানুষ দিনে অন্তত একবার হলেও রাস্তার খাবার গ্রহণ করে থাকে। গবেষণার তথ্য দিয়ে বলা হয় রাস্তার ৯০ ভাগ খাদ্যই অনিরাপদ।এ জাতীয় ৮৮ ভাগ বিক্রেতার হাতে ক্ষতিকর জীবানু থাকে, যা জীবনের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ডিজি বলেন,আমরা খাদ্যে স্বয়ংসর্ম্পূর্ণ হয়েছি। এতে আমাদের উদর পূর্তি হচ্ছে। ক্ষুধাকে এক প্রকার জয় করা গেছে। এখন সময়ের দাবি হচ্ছে খাদ্য নিরাপদ হতে হবে। আর এটা সত্য কথা যে নিরাপদ না হলে সেটা খাদ্য হবে না। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ করতে আন্তর্জাতিক প্যারামিটারের যে জায়গায় আমাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে তার মধ্যে নিরাপদ খাদ্য অন্যতম। সরকার এ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে আইন প্রনয়নের পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এখন দরকার এ কাজে সকলের অংশ গ্রহণ। আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে তিনি সকলকে অংশ গ্রহণের আহবান জানান। তিনি বলেন, সকলের অবস্থান থেকে আওয়াজ তুলতে হবে নিরাপদ খাদ্য আমার অধিকার।
দিবসটি উপলক্ষে “ফুড সেফটি নিউজ নামে” একটি স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করা হয়। উল্ল্রেখ্য, ফুড সেফটি মুভমেন্ট, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র, আলোকিত নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
ডেস্ক রিপোর্ট
২৩ জুন, ২০২৩, 9:41 PM
বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেছেন জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সবার অংশ গ্রহণ জরুরি। সরকারের একক কোন দপ্তর বা দ’ুচারটি সংগঠন মিলে এ অধিকার নিশ্চিত করা কঠিন। আবার খাদ্যের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করা ছাড়া ২০৪১ সালে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে তা অর্জন করা সম্ভব নয়। এ কারণে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে নাগরিকের স্মার্ট ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের কোন বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচ এম সফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মো.রেজাউল করিম, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক রিসালাত সিদ্দীক ,ফুড সেফটি মুভমেন্টের সভাপতি সাদেক মোহাম্মদ খান।
আলোকিত নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. মেহেরুন নিছা মেহেরীনের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুড সেফটি মুভমেন্টের মহাসচিব মো. ইউনুছ আলী । আলোচনায় অংশ নেন হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউর রহমান মিটন, হার্ভেস্ট প্লাস এর কান্ট্রি ম্যানেজার ড.খায়রুল বাশার, গেইন এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আবুল বাশার চৌধুরী। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি শেখ সাঈদ হোসেন ও কামরুন নাহার লিজা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম উইং) মো. মনিরুজ্জামান সিদ্দীক। মুল প্রবন্ধে বলা হয়, অনিরাপদ খাদ্য খেয়ে দেশের মানুষ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া মুখরোচক খাদ্যের ক্রেতা ৬০শতাংশ নারী আর ৪০ শতাংশ পুরুষ। এসব মানুষ দিনে অন্তত একবার হলেও রাস্তার খাবার গ্রহণ করে থাকে। গবেষণার তথ্য দিয়ে বলা হয় রাস্তার ৯০ ভাগ খাদ্যই অনিরাপদ।এ জাতীয় ৮৮ ভাগ বিক্রেতার হাতে ক্ষতিকর জীবানু থাকে, যা জীবনের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ডিজি বলেন,আমরা খাদ্যে স্বয়ংসর্ম্পূর্ণ হয়েছি। এতে আমাদের উদর পূর্তি হচ্ছে। ক্ষুধাকে এক প্রকার জয় করা গেছে। এখন সময়ের দাবি হচ্ছে খাদ্য নিরাপদ হতে হবে। আর এটা সত্য কথা যে নিরাপদ না হলে সেটা খাদ্য হবে না। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ করতে আন্তর্জাতিক প্যারামিটারের যে জায়গায় আমাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে তার মধ্যে নিরাপদ খাদ্য অন্যতম। সরকার এ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে আইন প্রনয়নের পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এখন দরকার এ কাজে সকলের অংশ গ্রহণ। আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে তিনি সকলকে অংশ গ্রহণের আহবান জানান। তিনি বলেন, সকলের অবস্থান থেকে আওয়াজ তুলতে হবে নিরাপদ খাদ্য আমার অধিকার।
দিবসটি উপলক্ষে “ফুড সেফটি নিউজ নামে” একটি স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করা হয়। উল্ল্রেখ্য, ফুড সেফটি মুভমেন্ট, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র, আলোকিত নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।