শিরোনামঃ
প্রভাবশালী দুই ভাইয়ের ছায়ায় জুড়ীতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ জুড়ীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল: নেতৃত্বে জাকিরের পিএস নোমান কে এই প্রতারক নাহিদ,পরিচয় ও তার পেশা কি জুড়ীতে দলীয় বিভাজন সৃষ্টি‌ করছেন‌ যুবদল নেতা নিপার রেজা  তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে সাজুর মোটরসাইকেল শোডাউনে হতাশ নেতাকর্মীরা রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা

প্রভাবশালী দুই ভাইয়ের ছায়ায় জুড়ীতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

#
news image

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের কামিনীগঞ্জ বাজারে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর ) সকালে  মিছিলটির নেতৃত্ব দেন জুড়ী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ. আর. সাজেদ। ছাত্রলীগ নেতা সাজেদ জুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মাসুম রেজা এবং উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নিপার রেজার চাচাতো ভাই। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী এই দুই ভাইয়ের মদদেই জুড়ীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ মিছিল করার সাহস দেখিয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,  সকালে প্রায় ৩০/৪০ জন তরুণ–"জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু” "অবৈধ ট্রাইবু্নাল মানি না মানবো না"  ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে কামিনীগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ করে। মিছিল চলাকালে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। 

জানা গেছে, এ. আর. সাজেদ স্থানীয় রাজনীতিতে বিতর্কিত একটি নাম।  বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামী হয়েও তিনি জুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মাসুম রেজার  ও তাঁর আপন ভাই জুড়ী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নিপার রেজার তত্ত্বাবধানে জুড়ীতেই অবস্থান করছেন।‌ বিশেষ কারণে থাকছেন পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। দুই প্রভাবশালী বিএনপি নেতার পরামর্শ ও আশ্বাসেই সাজেদের নেতৃত্বে শনিবারের মিছিলটি সংগঠিত হয় বলে জানা যায়। একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ছাত্রলীগের এই মিছিলের পেছনে মূলত বিএনপি ও যুবদলে সাজুর অনুসারি গ্রুপের মদদ ছিল। কারণ এই দুই ভাই বিগত ১৫ বছর আওয়ামীলীগের ছায়াতলে ছিলো ।‌ এখন তার প্রতিদান দিচ্ছে। বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, সকাল সকাল এমন একটা মিছিলের খবর পেয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। পরে অনেক দেরী করে দোকান খুলি। অনেকে বলছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের নামে এমন মিছিল কেবল আইন ভঙ্গ নয়, বরং এটি স্থানীয় শান্তি শৃঙ্খলার জন্য হুমকিও হতে পারে। 

ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বুধবার রাতে জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিয়া নাসির উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে এ. আর. সাজেদ (২৮), হাসান তারেক (৪২) ও  হাবিবুর রহমান জয়ের (২৫) নাম উল্লেখসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন এবং অভিযান চালিয়ে গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের দ্বহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা আতিকুল ইসলাম আতিককে গ্রেফতার করে। 

এদিকে মৌলভীবাজার - ১ (বড়লেখা–জুড়ী) আসনে শিল্পপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু দলীয় মনোনয়ন পাবার পরও জুড়ী উপজেলা  যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মনোনয়ন বঞ্চিত শরীফুল হক সাজু গ্রুপের নেতা নিপার রেজা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠুর কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেননি - এমনকি তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতটুকু করেননি। এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। নেতাকর্মীরা দলের এই বিভাজনের জন্য উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মাসুম রেজা ও তার আপন ভাই যুবদল নেতা নিপার রেজাকে দায়ী করছেন।‌ নেতাকর্মীরা বলছেন, এই দুই ভাই এখনো শরীফুল হক সাজুর মনোনয়ন লাভের আশায় বসে আছেন।‌ ত নেতাকর্মীরা বলছেন, মাসুম রেজা দেশের বাইরে অবস্থান করলেও নিজ এলাকায় অবস্থান করেও নিপার রেজা এখন‌ পর্যন্ত নাসির উদ্দিন মিঠুর কোনো অনুষ্ঠানে যোগদান না করায় দলে বিভক্তি তৈরি হচ্ছে, যা আগামী নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ নভেম্বর, ২০২৫,  9:25 PM

news image

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের কামিনীগঞ্জ বাজারে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর ) সকালে  মিছিলটির নেতৃত্ব দেন জুড়ী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ. আর. সাজেদ। ছাত্রলীগ নেতা সাজেদ জুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মাসুম রেজা এবং উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নিপার রেজার চাচাতো ভাই। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী এই দুই ভাইয়ের মদদেই জুড়ীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ মিছিল করার সাহস দেখিয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,  সকালে প্রায় ৩০/৪০ জন তরুণ–"জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু” "অবৈধ ট্রাইবু্নাল মানি না মানবো না"  ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে কামিনীগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ করে। মিছিল চলাকালে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। 

জানা গেছে, এ. আর. সাজেদ স্থানীয় রাজনীতিতে বিতর্কিত একটি নাম।  বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামী হয়েও তিনি জুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মাসুম রেজার  ও তাঁর আপন ভাই জুড়ী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নিপার রেজার তত্ত্বাবধানে জুড়ীতেই অবস্থান করছেন।‌ বিশেষ কারণে থাকছেন পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। দুই প্রভাবশালী বিএনপি নেতার পরামর্শ ও আশ্বাসেই সাজেদের নেতৃত্বে শনিবারের মিছিলটি সংগঠিত হয় বলে জানা যায়। একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ছাত্রলীগের এই মিছিলের পেছনে মূলত বিএনপি ও যুবদলে সাজুর অনুসারি গ্রুপের মদদ ছিল। কারণ এই দুই ভাই বিগত ১৫ বছর আওয়ামীলীগের ছায়াতলে ছিলো ।‌ এখন তার প্রতিদান দিচ্ছে। বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, সকাল সকাল এমন একটা মিছিলের খবর পেয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। পরে অনেক দেরী করে দোকান খুলি। অনেকে বলছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের নামে এমন মিছিল কেবল আইন ভঙ্গ নয়, বরং এটি স্থানীয় শান্তি শৃঙ্খলার জন্য হুমকিও হতে পারে। 

ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বুধবার রাতে জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিয়া নাসির উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে এ. আর. সাজেদ (২৮), হাসান তারেক (৪২) ও  হাবিবুর রহমান জয়ের (২৫) নাম উল্লেখসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন এবং অভিযান চালিয়ে গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের দ্বহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা আতিকুল ইসলাম আতিককে গ্রেফতার করে। 

এদিকে মৌলভীবাজার - ১ (বড়লেখা–জুড়ী) আসনে শিল্পপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু দলীয় মনোনয়ন পাবার পরও জুড়ী উপজেলা  যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মনোনয়ন বঞ্চিত শরীফুল হক সাজু গ্রুপের নেতা নিপার রেজা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠুর কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেননি - এমনকি তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতটুকু করেননি। এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। নেতাকর্মীরা দলের এই বিভাজনের জন্য উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মাসুম রেজা ও তার আপন ভাই যুবদল নেতা নিপার রেজাকে দায়ী করছেন।‌ নেতাকর্মীরা বলছেন, এই দুই ভাই এখনো শরীফুল হক সাজুর মনোনয়ন লাভের আশায় বসে আছেন।‌ ত নেতাকর্মীরা বলছেন, মাসুম রেজা দেশের বাইরে অবস্থান করলেও নিজ এলাকায় অবস্থান করেও নিপার রেজা এখন‌ পর্যন্ত নাসির উদ্দিন মিঠুর কোনো অনুষ্ঠানে যোগদান না করায় দলে বিভক্তি তৈরি হচ্ছে, যা আগামী নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে