শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার

মসলার আমদানিনির্ভরতা কমাতে ১১৯ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প

#
news image

মসলার আমদানিনির্ভরতা কমাতে ১১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে দেশে মসলার আবাদ ৫ শতাংশ বাড়বে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দুই লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন মসলা উৎপাদন বাড়বে। ফলে মসলার আমদানিনির্ভরতা কমবে। দেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার।

আগামী মঙ্গলবার (২৮ জুন) একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। বছরব্যাপী মসলাজাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানো, আমদানি ব্যয় হ্রাস এবং মসলাজাতীয় ফসল চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে গতিশীলতা আনতে ‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ শীর্ষক এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম

প্রকল্পের মাধ্যমে দুই হাজার ৮৬৫টি মসলা প্রদর্শনী এবং চারা-কলম উৎপাদন ও আমদানি, ৩০২টি বিভিন্ন ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা, চার হাজার ২০০ রানিং মিটার সীমানা প্রাচীর ও ১৮৫টি পলি শেড-গার্ড শেড-লেবার শেড ও নার্সারি শেড নির্মাণ করা হবে। দুই হাজার ৬৫০ ব্যাচ কৃষক প্রশিক্ষণ, ৪৫ ব্যাচ এসএএও- সমমানের কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, ২৯ ব্যাচ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ ও ২ ব্যাচ বৈদেশিক প্রশিক্ষণ এবং ১৩৫ ব্যাচ কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ এবং এক হাজার ৬৫০টি কৃষক মাঠ দিবস আয়োজন করা হবে।

প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) শরিফা খান বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি সংশোধনী দিয়েছিলাম। সেগুলো ঠিক করে প্রকল্পের ব্যয় কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিশ্ব বাজারে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মসলা উচ্চমূল্য এবং কম আয়তনিক জাতীয় পণ্য। উদ্ভিদের কুঁড়ি, ফল, বীজ, বাকল, রাইজম এবং কন্দ যা খাদ্যের রং, সুগন্ধি, সুম্বাদু এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত হয়- সেগুলোই মশলা। সারা বিশ্বে ১০৯ প্রকার মসলাজাতীয় ফসল জন্মে, তার মধ্যে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান মসলাই বাংলাদেশে জন্মে। দেশে প্রায় ৫০ ধরনের মসলা ব্যবহার হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন এসব মসলার চাহিদার বেশির ভাগটাই পূরণ করা হতো আমদানির মাধ্যমে। বেশ কিছু জাতের দামি মসলা এখনো বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আবার অবৈধ পথেও ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে নানা ধরনের মসলা। এক্ষেত্রে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানোর আরও সুযোগ থাকলেও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। দেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। এ ক্ষেত্রে আমদানিনির্ভরতা কমাতে স্থানীয়ভাবে মসলার উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মসলা গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত ২২টি মসলাজাতীয় ফসলের ওপর সর্বমোট ৪৭টি জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। তাছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উৎপাদন প্রযুক্তি, মৃত্তিকা ও পানি ব্যবস্থাপনা, পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, পোস্ট - হারভেস্ট প্রযুক্তিসহ আরও ৬৬টি উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। এসব জাত ও প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ হলে একদিকে বাড়বে উৎপাদন অন্যদিকে কমবে সংগ্রহোত্তর ক্ষতির পরিমাণ। একইসঙ্গে মসলার আয়ুর্বেদিক, খাদ্য এবং শিল্পে ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ।

প্রকল্পের ফোকাল পারসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. রাসেল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বাড়ছে মসলার নানাবিধ চাহিদা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মসলার আবাদ ৫ শতাংশ বাড়বে। পাশাপাশি দুই লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন মসলা উৎপাদন বাড়বে। মানুষের মসলার ক্যালরির চাহিদা পূরণ হবে। অনেকটাই মসলার আমদানিনির্ভরতা কমবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জুন, ২০২২,  9:08 PM

news image

মসলার আমদানিনির্ভরতা কমাতে ১১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে দেশে মসলার আবাদ ৫ শতাংশ বাড়বে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দুই লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন মসলা উৎপাদন বাড়বে। ফলে মসলার আমদানিনির্ভরতা কমবে। দেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার।

আগামী মঙ্গলবার (২৮ জুন) একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। বছরব্যাপী মসলাজাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানো, আমদানি ব্যয় হ্রাস এবং মসলাজাতীয় ফসল চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে গতিশীলতা আনতে ‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ শীর্ষক এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম

প্রকল্পের মাধ্যমে দুই হাজার ৮৬৫টি মসলা প্রদর্শনী এবং চারা-কলম উৎপাদন ও আমদানি, ৩০২টি বিভিন্ন ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা, চার হাজার ২০০ রানিং মিটার সীমানা প্রাচীর ও ১৮৫টি পলি শেড-গার্ড শেড-লেবার শেড ও নার্সারি শেড নির্মাণ করা হবে। দুই হাজার ৬৫০ ব্যাচ কৃষক প্রশিক্ষণ, ৪৫ ব্যাচ এসএএও- সমমানের কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, ২৯ ব্যাচ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ ও ২ ব্যাচ বৈদেশিক প্রশিক্ষণ এবং ১৩৫ ব্যাচ কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ এবং এক হাজার ৬৫০টি কৃষক মাঠ দিবস আয়োজন করা হবে।

প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) শরিফা খান বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি সংশোধনী দিয়েছিলাম। সেগুলো ঠিক করে প্রকল্পের ব্যয় কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিশ্ব বাজারে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মসলা উচ্চমূল্য এবং কম আয়তনিক জাতীয় পণ্য। উদ্ভিদের কুঁড়ি, ফল, বীজ, বাকল, রাইজম এবং কন্দ যা খাদ্যের রং, সুগন্ধি, সুম্বাদু এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত হয়- সেগুলোই মশলা। সারা বিশ্বে ১০৯ প্রকার মসলাজাতীয় ফসল জন্মে, তার মধ্যে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান মসলাই বাংলাদেশে জন্মে। দেশে প্রায় ৫০ ধরনের মসলা ব্যবহার হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন এসব মসলার চাহিদার বেশির ভাগটাই পূরণ করা হতো আমদানির মাধ্যমে। বেশ কিছু জাতের দামি মসলা এখনো বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আবার অবৈধ পথেও ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে নানা ধরনের মসলা। এক্ষেত্রে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানোর আরও সুযোগ থাকলেও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। দেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। এ ক্ষেত্রে আমদানিনির্ভরতা কমাতে স্থানীয়ভাবে মসলার উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মসলা গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত ২২টি মসলাজাতীয় ফসলের ওপর সর্বমোট ৪৭টি জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। তাছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উৎপাদন প্রযুক্তি, মৃত্তিকা ও পানি ব্যবস্থাপনা, পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, পোস্ট - হারভেস্ট প্রযুক্তিসহ আরও ৬৬টি উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। এসব জাত ও প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ হলে একদিকে বাড়বে উৎপাদন অন্যদিকে কমবে সংগ্রহোত্তর ক্ষতির পরিমাণ। একইসঙ্গে মসলার আয়ুর্বেদিক, খাদ্য এবং শিল্পে ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ।

প্রকল্পের ফোকাল পারসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. রাসেল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বাড়ছে মসলার নানাবিধ চাহিদা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মসলার আবাদ ৫ শতাংশ বাড়বে। পাশাপাশি দুই লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন মসলা উৎপাদন বাড়বে। মানুষের মসলার ক্যালরির চাহিদা পূরণ হবে। অনেকটাই মসলার আমদানিনির্ভরতা কমবে।