সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে স্পিকারের শোক

অনলাইন ডেস্ক
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 9:54 PM

সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে স্পিকারের শোক
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
স্পিকার তার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, ২১২ ফরিদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী রবিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের ঘোষিত ছয় দফা আন্দোলন যখন তুঙ্গে- তখন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী তার স্বামী ভাষাসৈনিক মরহুম গোলাম আকবর চৌধুরীসহ চার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় আগমনের পর রাজপথ কাঁপানো আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন । নারী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় ১৯৬৯ সালে মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭০ সালে নির্বাচিত সাতজন মহিলা এমএনএর মধ্যে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন অন্যতম। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পাশাপাশি ১৯৮১ সালে দলের জাতীয় সম্মেলনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা ও তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও তার স্বামী মরহুম গোলাম আকবর চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে সরকারের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা পদকসহ অসংখ্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী একাদশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সপ্তম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তৃতীয়বারের মতো সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 9:54 PM

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
স্পিকার তার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, ২১২ ফরিদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী রবিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের ঘোষিত ছয় দফা আন্দোলন যখন তুঙ্গে- তখন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী তার স্বামী ভাষাসৈনিক মরহুম গোলাম আকবর চৌধুরীসহ চার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় আগমনের পর রাজপথ কাঁপানো আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন । নারী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় ১৯৬৯ সালে মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭০ সালে নির্বাচিত সাতজন মহিলা এমএনএর মধ্যে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন অন্যতম। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পাশাপাশি ১৯৮১ সালে দলের জাতীয় সম্মেলনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা ও তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও তার স্বামী মরহুম গোলাম আকবর চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে সরকারের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা পদকসহ অসংখ্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী একাদশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সপ্তম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তৃতীয়বারের মতো সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।