শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার

বাংলাদেশের ছেলের সঙ্গে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়ার মেয়ের বিয়ে

#
news image

অনুপ চেটিয়া আসামের মটক জাতিগোষ্ঠীর সদস্য। মটক গোষ্ঠীর রীতি মেনেই বিষয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিয়ের একটি অনুষ্ঠান হবে। বাংলাদেশের কুমিল্লার ছেলে অনির্বাণ চোধুরী। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। সেখানে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে।

২০১৫ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও উলফার মধ্যে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন অনুপ চেটিয়া। ওই বছরই বাংলাদেশ ভারত সরকারের কাছে অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তর করে। সেই ঘটনার প্রায় সাত বছর পর এ বিয়ে হলো।

বিয়ের ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার অনুপ চেটিয়া ডেকান হেরাল্ডকে বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময়ে তাঁদের প্রেমের বিষয়ে কিছু জানতাম না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আমাদের বিপ্লবে যে ধরনের সাহায্য সহায়তা করেছেন এ জন্য আমাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা আছে। এ বিয়ে নিয়ে কোনো আপত্তি নেই।’

এদিকে বাংলাদেশি তরুণের সঙ্গে অনুপ চেটিয়ার মেয়ের বিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এ প্রশ্ন বিশেষ করে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ নিয়ে। অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলছেন, তবে কি অনুপ চেটিয়া বাংলাদেশিদের আসামের বৈধ নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকানোর উদ্দেশে ১৯৭৯ সালে আসামের শিবসাগর জেলায় গঠন করা হয় ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম–উলফা। উলফার দাবি, অবৈধ অভিবাসীদের কারণে আসামে আদিবাসীরা সংকটে ও সমস্যার মধ্য পড়ছেন। এ জন্য তারা উলফা গঠন করেছেন। এরপরে আসামে ভারতে সেনাদের অভিযান শুরু হলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন অনুপ চেটিয়াসহ শীর্ষ নেতারা। বাংলাদেশে ক্যাম্প স্থাপন করে আসামে কার্যক্রম চালায় উলফা। অনুপ চেটিয়া বাংলাদেশে প্রায় ২৮ বছর ছিলেন। ১৯৯৭ সালে ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বাড়ি থেকে অনুপ চেটিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৫ সালে বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া।

অনলাইন ডেস্ক

০৯ অক্টোবর, ২০২২,  12:57 AM

news image

অনুপ চেটিয়া আসামের মটক জাতিগোষ্ঠীর সদস্য। মটক গোষ্ঠীর রীতি মেনেই বিষয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিয়ের একটি অনুষ্ঠান হবে। বাংলাদেশের কুমিল্লার ছেলে অনির্বাণ চোধুরী। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। সেখানে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে।

২০১৫ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও উলফার মধ্যে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন অনুপ চেটিয়া। ওই বছরই বাংলাদেশ ভারত সরকারের কাছে অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তর করে। সেই ঘটনার প্রায় সাত বছর পর এ বিয়ে হলো।

বিয়ের ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার অনুপ চেটিয়া ডেকান হেরাল্ডকে বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময়ে তাঁদের প্রেমের বিষয়ে কিছু জানতাম না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আমাদের বিপ্লবে যে ধরনের সাহায্য সহায়তা করেছেন এ জন্য আমাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা আছে। এ বিয়ে নিয়ে কোনো আপত্তি নেই।’

এদিকে বাংলাদেশি তরুণের সঙ্গে অনুপ চেটিয়ার মেয়ের বিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এ প্রশ্ন বিশেষ করে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ নিয়ে। অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলছেন, তবে কি অনুপ চেটিয়া বাংলাদেশিদের আসামের বৈধ নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকানোর উদ্দেশে ১৯৭৯ সালে আসামের শিবসাগর জেলায় গঠন করা হয় ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম–উলফা। উলফার দাবি, অবৈধ অভিবাসীদের কারণে আসামে আদিবাসীরা সংকটে ও সমস্যার মধ্য পড়ছেন। এ জন্য তারা উলফা গঠন করেছেন। এরপরে আসামে ভারতে সেনাদের অভিযান শুরু হলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন অনুপ চেটিয়াসহ শীর্ষ নেতারা। বাংলাদেশে ক্যাম্প স্থাপন করে আসামে কার্যক্রম চালায় উলফা। অনুপ চেটিয়া বাংলাদেশে প্রায় ২৮ বছর ছিলেন। ১৯৯৭ সালে ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বাড়ি থেকে অনুপ চেটিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৫ সালে বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া।