চীন-পাকিস্তান সীমান্তে এস-৪০০ জুনেই মোতায়েন করছে ভারত

প্রভাতী খবর ডেস্ক
২০ মে, ২০২২, 12:32 AM
চীন-পাকিস্তান সীমান্তে এস-৪০০ জুনেই মোতায়েন করছে ভারত
রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০। এ ব্যবস্থায় ভূমি থেকে আকাশে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায়। সেই এস-৪০০ আগামী জুন মাসের মধ্যেই চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করতে যাচ্ছে ভারত। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের এক অধিবেশনে এমনটাই দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন।
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, এস-৪০০ নিয়ে সিনেট আর্মড সার্ভিস কমিটির সদস্যদের সামনে বিবৃতি দেন ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্কট ব্যারিয়ার। কমিটির সদস্যদের তিনি জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে ভারতে এস-৪০০ পাঠানো শুরু করেছে রাশিয়া। আগামী জুন মাসের মধ্যে চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে আধুনিক এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করতে যাচ্ছে ভারতের সেনাবাহিনী।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই ভারতে এস-৪০০ পাঠানোর কাজ শুরু করেছে রাশিয়া। ইতিমধ্যে পাঞ্জাবে এস-৪০০ মোতায়েন করেছেন ভারতের সেনারা। এবার চলতি মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় এস-৪০০ ভারতে পৌঁছে যাওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যেই চুক্তি মোতাবেক অত্যাধুনিক পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতীয় সেনার হাতে চলে আসবে।
এদিকে রাশিয়ায় তৈরি এস-৪০০ নিয়ে শুরু থেকে আপত্তি জানিয়ে এসেছে আমেরিকা। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিয়ে রেখেছে দেশটি। এর জবাবে নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া থেকে ওই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কেনা হবেই। এও জানিয়ে দিয়েছে, দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মানবে না ভারত।
কী আছে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায়
বিজনেস টুডের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চারটি ভিন্নধর্মী বিমান নিয়ে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এটি শত্রু বিমান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার এডব্লিউএসিএস বিমান প্রতিরোধে সক্ষম।
এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রে অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে দীর্ঘ পাল্লার একটি নজরদারি রাডার রয়েছে। এটি উড়ন্ত বস্তু শনাক্ত করতে এবং তা নিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছাতে পারে। এরপর লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান বিবেচনা করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ওই রাডারটিই ক্ষেপণাস্ত্রকে দিকনির্দেশনা দিয়ে লক্ষ্যবস্তুর কাছে পৌঁছে দেয়।
এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থারই উন্নত সংস্করণ। একসময় শুধু রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছেই এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ছিল। এর প্রস্তুতকারক কোম্পানি আলমাজ আন্তে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এটি।
এর আগে তুরস্কের কাছে এস-৪০০ বিক্রি করেছে রাশিয়া। এর জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে দেশটি। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি কেনার জের ধরে ভারতের ওপরও একই ধরনের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে ভারত বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গেই ভারতের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে।
প্রভাতী খবর ডেস্ক
২০ মে, ২০২২, 12:32 AM
রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০। এ ব্যবস্থায় ভূমি থেকে আকাশে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায়। সেই এস-৪০০ আগামী জুন মাসের মধ্যেই চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করতে যাচ্ছে ভারত। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের এক অধিবেশনে এমনটাই দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন।
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, এস-৪০০ নিয়ে সিনেট আর্মড সার্ভিস কমিটির সদস্যদের সামনে বিবৃতি দেন ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্কট ব্যারিয়ার। কমিটির সদস্যদের তিনি জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে ভারতে এস-৪০০ পাঠানো শুরু করেছে রাশিয়া। আগামী জুন মাসের মধ্যে চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে আধুনিক এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করতে যাচ্ছে ভারতের সেনাবাহিনী।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই ভারতে এস-৪০০ পাঠানোর কাজ শুরু করেছে রাশিয়া। ইতিমধ্যে পাঞ্জাবে এস-৪০০ মোতায়েন করেছেন ভারতের সেনারা। এবার চলতি মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় এস-৪০০ ভারতে পৌঁছে যাওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যেই চুক্তি মোতাবেক অত্যাধুনিক পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতীয় সেনার হাতে চলে আসবে।
এদিকে রাশিয়ায় তৈরি এস-৪০০ নিয়ে শুরু থেকে আপত্তি জানিয়ে এসেছে আমেরিকা। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিয়ে রেখেছে দেশটি। এর জবাবে নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া থেকে ওই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কেনা হবেই। এও জানিয়ে দিয়েছে, দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মানবে না ভারত।
কী আছে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায়
বিজনেস টুডের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চারটি ভিন্নধর্মী বিমান নিয়ে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এটি শত্রু বিমান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার এডব্লিউএসিএস বিমান প্রতিরোধে সক্ষম।
এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রে অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে দীর্ঘ পাল্লার একটি নজরদারি রাডার রয়েছে। এটি উড়ন্ত বস্তু শনাক্ত করতে এবং তা নিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছাতে পারে। এরপর লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান বিবেচনা করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ওই রাডারটিই ক্ষেপণাস্ত্রকে দিকনির্দেশনা দিয়ে লক্ষ্যবস্তুর কাছে পৌঁছে দেয়।
এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থারই উন্নত সংস্করণ। একসময় শুধু রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছেই এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ছিল। এর প্রস্তুতকারক কোম্পানি আলমাজ আন্তে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এটি।
এর আগে তুরস্কের কাছে এস-৪০০ বিক্রি করেছে রাশিয়া। এর জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে দেশটি। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি কেনার জের ধরে ভারতের ওপরও একই ধরনের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে ভারত বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গেই ভারতের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে।