যুক্তরাষ্ট্র্রের অধিকাংশ জনগণ ৭১ এ আপনাদের পক্ষে ছিলঃ টেড কেনেডি
অনলাইন ডেস্ক
০১ নভেম্বর, ২০২২, 2:02 AM
যুক্তরাষ্ট্র্রের অধিকাংশ জনগণ ৭১ এ আপনাদের পক্ষে ছিলঃ টেড কেনেডি
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ন্যায্য দাবির পক্ষে এডওয়ার্ড এম কেনেডির নৈতিক অবস্থানের কথা স্মরণ করে তার ছেলে টেড কেনেডি আজ বলেছেন যে, পাকিস্তানের প্রতি তৎকালীন মার্কিন প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক নীতি সত্ত্বেও বেশিরভাগ আমেরিকান জনগণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামকে সমর্থন করেছিল।
তিনি আজ এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক যুগান্তকারী বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেন, ‘আমি মনে করি, আপনাদের সবার জন্য এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে, (আপনাদের) স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিংহভাগ জনগণ আপনাদের (বাংলাদেশের) পক্ষে ছিল।’
প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা এডওয়ার্ড (টেড) এম কেনেডি জুনিয়র বলেছেন যে, ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে কেনেডি পরিবার সর্বদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধিকে সমর্থন করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যারা রক্তপাতের শিকার হয়েছে তাদের সঙ্গে কেনেডি পরিবার বিশেষ আত্মীয়তা অনুভব করে। বাংলাদেশ-মার্কিন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার সপ্তাহব্যাপী সফরে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এখানে এসেছেন।
টেডের বাবা, তৎকালীন মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডি পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন সরকারের ঝুঁকে পড়া পররাষ্ট্রনীতি সত্ত্বেও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থান নিয়েছিলেন।
জেনারেল ইয়াহিয়া খানের অধীনে পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশে গণহত্যা চালানোর তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু এডওয়ার্ড কেনেডি ১৯৭১ সালের আগস্টে ভারতে শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পাকিস্তাানি দখলদার বাহিনীর বর্বরতা উন্মোচন করেন।
শরণার্থী শিবির থেকে ফিরে আসার পর কেনেডি বলেছিলেন যে, তার বাবা পাকিস্তানকে সমর্থন করার জন্য তৎকালীন নিক্সন প্রশাসনের সমালোচনা করেছিলেন এবং ‘আমেরিকাকে ইতিহাসের সঠিক পক্ষে (বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে)’ অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
টেড বলেন, তার বাবা তার প্রতিবেদনে বলেছিলেন যে ‘ইসলামাবাদের প্রতি আমেরিকান সমর্থন (তৎকালীন) পূর্ব বাংলার মানবিক ও রাজনৈতিক ট্র্যাজেডির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার চেয়ে কম নয়।’
১৯৭২ সালে এডওয়ার্ড কেনেডি সদ্য জন্ম নেওয়া বাংলাদেশে সফরের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিখ্যাত ‘বটতলা’ নামক স্থানে একটি বট গাছের চারা রোপণ করেছিলেন।
টেড কেনেডি বলেন, আজ এই বটগাছটি পরিদর্শন করা তার কাছে খুব ‘প্রবল এবং আবেগময়’ অভিজ্ঞতা, কারণ তিনি সারা জীবন তার বাবার কাছ থেকে গাছটির গল্প শুনেছেন।
তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘আজ আমি গাছটির নীচে গিয়ে আমার বাবার উপস্থিতি অনুভব করেছি।’
টেড বলেন, ১৯৭১ সালে ছাত্রদের বিক্ষোভের জন্য বিখ্যাত ছিল বলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পুরানো বটগাছটি উড়িয়ে দিয়েছিল। তার বাবা সেই একই জায়গায় বটগাছটি রোপণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘৫০ বছর পর গাছটি এখনও সাহসিকতা ও আশার বাতিঘর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব এই গাছের মতোই।’
টেড বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব শান্তিতে ঢাকার অবদান এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ার উদারতার জন্য প্রশংসা করে।
টেড কেনেডি ১৯৭২ সালে ঢাকায় তার পিতার দেওয়া ভাষণ উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আপনারা জানেন কিছু সরকার এখনও আপনাদের স্বীকৃতি না দিলেও বিশ্বের মানুষ আপনাদের স্বীকৃতি দেয়।’
তিনি তার বাবাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমেরিকার প্রকৃত পররাষ্ট্রনীতি হল নাগরিক-নাগরিক, বন্ধু-বন্ধু, জনগণ-জনগণ ভ্রাতৃত্বের বিদেশী বন্ধন যা কোনও অত্যাচারি শাসক হ্রাস করতে পারে না। কারণ এক অর্থে আমরা সবাই বাংলাদেশী, আমরা সবাই আমেরিকান এবং আমরা সকলেই মানবতার মহান জোটের অংশীদার।’
তিনি বলেন, তার বাবার পররাষ্ট্রনীতি ছিল মানবতাবাদের ধারণার ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত যা হেনরি কিসিঞ্জারের জন্য ‘অনুধাবন করা খুবই কঠিন’ বলে মনে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মানবতাবাদ আমার বাবার পররাষ্ট্রনীতির দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তি।’
টেড কেনেডি মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর জোর দেন কেননা এটি কার্যকরী গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তৎকালীন নিক্সন প্রশাসন এ ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন করলেও আমেরিকান জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে সমর্থন করেছিল।
ঢাকায় তৎকালীন মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাডও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের বর্বরতা সম্পর্কে অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসিকে টেলিগ্রাম লিখে আমেরিকান নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, এতে প্রতীয়মান হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে এবং তাদের নিজস্ব প্রশাসনের সমালোচনা করতে পারে।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস কেনেডি পরিবারের চলমান সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছে।
এডওয়ার্ড এম কেনেডি পরিবারের সদস্যদের সাথে রয়েছেন ড. ক্যাথরিন ‘কিকি’ কেনেডি (স্ত্রী), ড. কাইলি কেনেডি (কন্যা), টেডি কেনেডি (পুত্র), গ্রেস কেনেডি অ্যালেন (ভাতিজি), এবং ম্যাক্স অ্যালেন (ভাতিজা)।
টেড কেনেডি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একজন নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ন্ত্রণ অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করছেন।
অনলাইন ডেস্ক
০১ নভেম্বর, ২০২২, 2:02 AM
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ন্যায্য দাবির পক্ষে এডওয়ার্ড এম কেনেডির নৈতিক অবস্থানের কথা স্মরণ করে তার ছেলে টেড কেনেডি আজ বলেছেন যে, পাকিস্তানের প্রতি তৎকালীন মার্কিন প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক নীতি সত্ত্বেও বেশিরভাগ আমেরিকান জনগণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামকে সমর্থন করেছিল।
তিনি আজ এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক যুগান্তকারী বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেন, ‘আমি মনে করি, আপনাদের সবার জন্য এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে, (আপনাদের) স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিংহভাগ জনগণ আপনাদের (বাংলাদেশের) পক্ষে ছিল।’
প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা এডওয়ার্ড (টেড) এম কেনেডি জুনিয়র বলেছেন যে, ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে কেনেডি পরিবার সর্বদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধিকে সমর্থন করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যারা রক্তপাতের শিকার হয়েছে তাদের সঙ্গে কেনেডি পরিবার বিশেষ আত্মীয়তা অনুভব করে। বাংলাদেশ-মার্কিন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার সপ্তাহব্যাপী সফরে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এখানে এসেছেন।
টেডের বাবা, তৎকালীন মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডি পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন সরকারের ঝুঁকে পড়া পররাষ্ট্রনীতি সত্ত্বেও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থান নিয়েছিলেন।
জেনারেল ইয়াহিয়া খানের অধীনে পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশে গণহত্যা চালানোর তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু এডওয়ার্ড কেনেডি ১৯৭১ সালের আগস্টে ভারতে শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পাকিস্তাানি দখলদার বাহিনীর বর্বরতা উন্মোচন করেন।
শরণার্থী শিবির থেকে ফিরে আসার পর কেনেডি বলেছিলেন যে, তার বাবা পাকিস্তানকে সমর্থন করার জন্য তৎকালীন নিক্সন প্রশাসনের সমালোচনা করেছিলেন এবং ‘আমেরিকাকে ইতিহাসের সঠিক পক্ষে (বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে)’ অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
টেড বলেন, তার বাবা তার প্রতিবেদনে বলেছিলেন যে ‘ইসলামাবাদের প্রতি আমেরিকান সমর্থন (তৎকালীন) পূর্ব বাংলার মানবিক ও রাজনৈতিক ট্র্যাজেডির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার চেয়ে কম নয়।’
১৯৭২ সালে এডওয়ার্ড কেনেডি সদ্য জন্ম নেওয়া বাংলাদেশে সফরের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিখ্যাত ‘বটতলা’ নামক স্থানে একটি বট গাছের চারা রোপণ করেছিলেন।
টেড কেনেডি বলেন, আজ এই বটগাছটি পরিদর্শন করা তার কাছে খুব ‘প্রবল এবং আবেগময়’ অভিজ্ঞতা, কারণ তিনি সারা জীবন তার বাবার কাছ থেকে গাছটির গল্প শুনেছেন।
তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘আজ আমি গাছটির নীচে গিয়ে আমার বাবার উপস্থিতি অনুভব করেছি।’
টেড বলেন, ১৯৭১ সালে ছাত্রদের বিক্ষোভের জন্য বিখ্যাত ছিল বলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পুরানো বটগাছটি উড়িয়ে দিয়েছিল। তার বাবা সেই একই জায়গায় বটগাছটি রোপণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘৫০ বছর পর গাছটি এখনও সাহসিকতা ও আশার বাতিঘর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব এই গাছের মতোই।’
টেড বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব শান্তিতে ঢাকার অবদান এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ার উদারতার জন্য প্রশংসা করে।
টেড কেনেডি ১৯৭২ সালে ঢাকায় তার পিতার দেওয়া ভাষণ উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আপনারা জানেন কিছু সরকার এখনও আপনাদের স্বীকৃতি না দিলেও বিশ্বের মানুষ আপনাদের স্বীকৃতি দেয়।’
তিনি তার বাবাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমেরিকার প্রকৃত পররাষ্ট্রনীতি হল নাগরিক-নাগরিক, বন্ধু-বন্ধু, জনগণ-জনগণ ভ্রাতৃত্বের বিদেশী বন্ধন যা কোনও অত্যাচারি শাসক হ্রাস করতে পারে না। কারণ এক অর্থে আমরা সবাই বাংলাদেশী, আমরা সবাই আমেরিকান এবং আমরা সকলেই মানবতার মহান জোটের অংশীদার।’
তিনি বলেন, তার বাবার পররাষ্ট্রনীতি ছিল মানবতাবাদের ধারণার ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত যা হেনরি কিসিঞ্জারের জন্য ‘অনুধাবন করা খুবই কঠিন’ বলে মনে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মানবতাবাদ আমার বাবার পররাষ্ট্রনীতির দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তি।’
টেড কেনেডি মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর জোর দেন কেননা এটি কার্যকরী গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তৎকালীন নিক্সন প্রশাসন এ ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন করলেও আমেরিকান জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে সমর্থন করেছিল।
ঢাকায় তৎকালীন মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাডও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের বর্বরতা সম্পর্কে অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসিকে টেলিগ্রাম লিখে আমেরিকান নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, এতে প্রতীয়মান হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে এবং তাদের নিজস্ব প্রশাসনের সমালোচনা করতে পারে।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস কেনেডি পরিবারের চলমান সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছে।
এডওয়ার্ড এম কেনেডি পরিবারের সদস্যদের সাথে রয়েছেন ড. ক্যাথরিন ‘কিকি’ কেনেডি (স্ত্রী), ড. কাইলি কেনেডি (কন্যা), টেডি কেনেডি (পুত্র), গ্রেস কেনেডি অ্যালেন (ভাতিজি), এবং ম্যাক্স অ্যালেন (ভাতিজা)।
টেড কেনেডি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একজন নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ন্ত্রণ অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করছেন।