শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার

জলবায়ু সম্মেলনে বহুল প্রতীক্ষিত চুক্তির বিষয়ে ঐক্যমত

#
news image

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তায় আলোর মুখ দেখল ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল গঠনের ঐতিহাসিক চুক্তি। আজ রোববার সকালে মিসরের শার্ম আল-শেখ শহরে জাতিসংঘের শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলন কপ২৭-এর প্রতিনিধিরা যুগান্তকারী এ চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন।

ধনী দেশগুলোর দীর্ঘদিনের গড়িমসির মধে অবশেষে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল গঠনের চুক্তি হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিপূরণ তহবিল চেয়ে আসছিল। তবে ধনী দেশগুলো শেষ পর্যন্ত এটিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে আসছে। মূলত এসব দেশই জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি দায়ী।

লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল বছরের পর বছর ধরেই বিতর্কিত বিষয় হয়ে ছিল। গরিব দেশগুলো ৩০ বছর ধরে বিশ্ব ঊষ্ণায়নের কারণে তাদের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ধনী দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার জন্য তাগাদা দিয়ে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশগুলোর এতে গড়িমসি করার কারণ, তাদের আশঙ্কা- ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল দিতে রাজি হলে তারা আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে যাবে এবং এতে করে ভবিষ্যতে মামলায় জড়িয়ে পড়ার পট প্রস্তুত হতে পারে।

কিন্তু গত এক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে, পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতিসহ চীন, আফ্রিকা ও অন্যান্য স্থানে খরায় যে ক্ষতি হয়েছে তা ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিলের আশু প্রয়োজনীয়তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের এমন ভয়াবহ পরিণতির মধ্যে এবারের কপ-২৭ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ তহবিলের দাবিও অনেক জোরদার হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এই চুক্তিটি এক বিরাট সাফল্য। তবে এটি নানা বিতর্কের সমঝোতা প্রক্রিয়া। সম্মেলনের প্রতিনিধিরা চুক্তির বিতর্কিত অংশগুলো সমাধানে এখনও কাজ করছেন। শক্তি উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার ছাড়াও সকল জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের মতো বিষয়ও রয়েছে সেখানে।

উন্নয়নশীল দেশগুলো সন্তুষ্ট, কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের যে ক্ষতি হচ্ছে তার স্বীকৃতি পাচ্ছে এই তহবিলের মাধ্যমে। তবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের যে কথা বলা হচ্ছে সেটি নিয়ে অনেক ধনী দেশ হতাশ।

অন্যদিকে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ চুক্তি আসলে কী, চুক্তির আওতায় ধনী দেশগুলোর কে কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ কীভাবে দেবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে কারা কী পরিমাণ পাবে এবং কীভাবে পাবে সেই সিদ্ধান্ত আসেনি এখনও। এসব বিতর্ক শেষে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থ পেতে লেগে যেতে পারে আরও কয়েক বছর।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ বলতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চরম আবহাওয়ায় সমুদ্রেপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো ঘটনাগুলোতে ইতোমধ্যে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সেটি বোঝায়।

জলবায়ু তহবিল এখন পর্যন্ত বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের প্রয়াসে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমানোর উপর বেশি জোর দিয়েছে। আর এসব তহবিলের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ভবিষ্যত ক্ষতি মোকাবিলার প্রকল্পের পেছনে ব্যয় হয়েছে।

লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল ভিন্ন কিছু হতে পারে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশগুলো যেসব ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে যেতে পারবে না বা পুষিয়ে নিতে পারবে না সেগুলোর জন্য খরচ চালানোর জন্য তহবিল দেওয়া হতে পারে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হওয়া কোন ক্ষতিগুলো ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ধরা হবে সেটি নির্ধারিত হয়নি এখনও।

গত জুনে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৫টি দেশের যৌথ হিসাব বলছে, গত দুই দশকে জলবায়ু পরিবর্তনে তাদের মোট ৫২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে, যা দেশগুলোর সামষ্টিক জিডিপির ২০ শতাংশ। কিছু গবেষণা বলছে, এই ক্ষতি ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছরে ৫৮ হাজার কোটি ডলার হতে পারে।

অনলাইন ডেস্ক

২১ নভেম্বর, ২০২২,  12:34 AM

news image

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তায় আলোর মুখ দেখল ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল গঠনের ঐতিহাসিক চুক্তি। আজ রোববার সকালে মিসরের শার্ম আল-শেখ শহরে জাতিসংঘের শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলন কপ২৭-এর প্রতিনিধিরা যুগান্তকারী এ চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন।

ধনী দেশগুলোর দীর্ঘদিনের গড়িমসির মধে অবশেষে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল গঠনের চুক্তি হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিপূরণ তহবিল চেয়ে আসছিল। তবে ধনী দেশগুলো শেষ পর্যন্ত এটিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে আসছে। মূলত এসব দেশই জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি দায়ী।

লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল বছরের পর বছর ধরেই বিতর্কিত বিষয় হয়ে ছিল। গরিব দেশগুলো ৩০ বছর ধরে বিশ্ব ঊষ্ণায়নের কারণে তাদের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ধনী দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার জন্য তাগাদা দিয়ে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশগুলোর এতে গড়িমসি করার কারণ, তাদের আশঙ্কা- ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল দিতে রাজি হলে তারা আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে যাবে এবং এতে করে ভবিষ্যতে মামলায় জড়িয়ে পড়ার পট প্রস্তুত হতে পারে।

কিন্তু গত এক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে, পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতিসহ চীন, আফ্রিকা ও অন্যান্য স্থানে খরায় যে ক্ষতি হয়েছে তা ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিলের আশু প্রয়োজনীয়তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের এমন ভয়াবহ পরিণতির মধ্যে এবারের কপ-২৭ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ তহবিলের দাবিও অনেক জোরদার হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এই চুক্তিটি এক বিরাট সাফল্য। তবে এটি নানা বিতর্কের সমঝোতা প্রক্রিয়া। সম্মেলনের প্রতিনিধিরা চুক্তির বিতর্কিত অংশগুলো সমাধানে এখনও কাজ করছেন। শক্তি উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার ছাড়াও সকল জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের মতো বিষয়ও রয়েছে সেখানে।

উন্নয়নশীল দেশগুলো সন্তুষ্ট, কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের যে ক্ষতি হচ্ছে তার স্বীকৃতি পাচ্ছে এই তহবিলের মাধ্যমে। তবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের যে কথা বলা হচ্ছে সেটি নিয়ে অনেক ধনী দেশ হতাশ।

অন্যদিকে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ চুক্তি আসলে কী, চুক্তির আওতায় ধনী দেশগুলোর কে কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ কীভাবে দেবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে কারা কী পরিমাণ পাবে এবং কীভাবে পাবে সেই সিদ্ধান্ত আসেনি এখনও। এসব বিতর্ক শেষে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থ পেতে লেগে যেতে পারে আরও কয়েক বছর।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ বলতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চরম আবহাওয়ায় সমুদ্রেপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো ঘটনাগুলোতে ইতোমধ্যে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সেটি বোঝায়।

জলবায়ু তহবিল এখন পর্যন্ত বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের প্রয়াসে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমানোর উপর বেশি জোর দিয়েছে। আর এসব তহবিলের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ভবিষ্যত ক্ষতি মোকাবিলার প্রকল্পের পেছনে ব্যয় হয়েছে।

লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল ভিন্ন কিছু হতে পারে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশগুলো যেসব ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে যেতে পারবে না বা পুষিয়ে নিতে পারবে না সেগুলোর জন্য খরচ চালানোর জন্য তহবিল দেওয়া হতে পারে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হওয়া কোন ক্ষতিগুলো ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ধরা হবে সেটি নির্ধারিত হয়নি এখনও।

গত জুনে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৫টি দেশের যৌথ হিসাব বলছে, গত দুই দশকে জলবায়ু পরিবর্তনে তাদের মোট ৫২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে, যা দেশগুলোর সামষ্টিক জিডিপির ২০ শতাংশ। কিছু গবেষণা বলছে, এই ক্ষতি ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছরে ৫৮ হাজার কোটি ডলার হতে পারে।