শিরোনামঃ
জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান

কমেই চলছে দেশের রিজার্ভ

#
news image

দেশে চলমান ডলার সংকট মোকাবিলায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিনই ডলার সরবরাহ করছে।

চলতি নভেম্বর মাসের শুরুতে ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থাকলেও সোমবার (২১ নভেম্বর) তা কমে ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ মাসের (প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন হিসাবে) আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক দুই ধরনের হিসাব অনুসরণ করছে। ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ব অনুসরণকৃত হিসাবে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাব করলে দেশের এ রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে রিজার্ভ হবে ২৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে দেশে রেমিট্যান্সেও শ্লথ গতি । চলতি নভেম্বরের প্রথম ১৮ দিনে প্রায় ১০৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, নভেম্বরের এক তারিখে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ নভেম্বর আরও কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। এরপর রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। পাশাপাশি আমদানি দায় মেটাতে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয় রিজার্ভ থেকে। এর ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩৪ দশমিক ২৮ বিলিয়নে নেমে আসে।

গত ৯ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন, ১৪ নভেম্বর বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে, ১৫ নভেম্বর রিজার্ভ থেকে ১১৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করায় তা নেমে আসে ৩৪ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। ১৬ নভেম্বর ৬৯ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হলে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন, ১৭ নভেম্বর আবারও বেড়ে ৩৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার হয়। পরে তা কমে আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলে আসছে, রিজার্ভ থেকে অর্থ নিয়ে আলাদাভাবে বিভিন্ন তহবিল গঠন ও সেখান থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। আবার সেসব অর্থ রিজার্ভে দেখানো হচ্ছে। এতে রিজার্ভ বেশি দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশর, যা বিভ্রান্তি তৈরি করছে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) সরবরাহ করা ৭ বিলিয়ন এবং শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার দেশের রিজার্ভে দেখাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছে সরকার।

আইএমএফের মতে, সবমিলিয়ে বর্তমানে রিজার্ভে যে অর্থ দেখানো হচ্ছে, সেখান থেকে ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। সে হিসাবে সোমবার (২১ নভেম্বর) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মজুদ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৈদেশিক হিসাব মুদ্রার সঞ্চয়ন কমার ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসাব কাজ করছে প্রবাসীদের আয় পাঠানো কমে আসা ও আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি। অতীতে রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় এবং বিদেশি ঋণ ও সহায়তার মাধ্যমে আসা বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা হতো। করোনা মহামারিরর অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বৈশ্বিক অর্থনীতি সংকটে পড়লে মুদ্রাস্ফীতি অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে। আগে যে মূল্যে পণ্য আমদানি করা হতো, এখন সেই একই পণ্য আমদানিতে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বেশি ডলার গুনতে হচ্ছে।  ফলে ডলারের হাহাকার পড়ে গেছে। বৈদিশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে ও সরকারের আমদানি ব্যয় মেটাতে রিজার্ভ থেকে সরবারহ করতে হচ্ছে। প্রতিমাসেই কমছে রিজার্ভ।  

 

 

 

অনলাইন ডেস্ক

২২ নভেম্বর, ২০২২,  1:47 AM

news image

দেশে চলমান ডলার সংকট মোকাবিলায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিনই ডলার সরবরাহ করছে।

চলতি নভেম্বর মাসের শুরুতে ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থাকলেও সোমবার (২১ নভেম্বর) তা কমে ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ মাসের (প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন হিসাবে) আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক দুই ধরনের হিসাব অনুসরণ করছে। ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ব অনুসরণকৃত হিসাবে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাব করলে দেশের এ রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে রিজার্ভ হবে ২৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে দেশে রেমিট্যান্সেও শ্লথ গতি । চলতি নভেম্বরের প্রথম ১৮ দিনে প্রায় ১০৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, নভেম্বরের এক তারিখে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ নভেম্বর আরও কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। এরপর রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। পাশাপাশি আমদানি দায় মেটাতে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয় রিজার্ভ থেকে। এর ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩৪ দশমিক ২৮ বিলিয়নে নেমে আসে।

গত ৯ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন, ১৪ নভেম্বর বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে, ১৫ নভেম্বর রিজার্ভ থেকে ১১৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করায় তা নেমে আসে ৩৪ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। ১৬ নভেম্বর ৬৯ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হলে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন, ১৭ নভেম্বর আবারও বেড়ে ৩৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার হয়। পরে তা কমে আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলে আসছে, রিজার্ভ থেকে অর্থ নিয়ে আলাদাভাবে বিভিন্ন তহবিল গঠন ও সেখান থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। আবার সেসব অর্থ রিজার্ভে দেখানো হচ্ছে। এতে রিজার্ভ বেশি দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশর, যা বিভ্রান্তি তৈরি করছে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) সরবরাহ করা ৭ বিলিয়ন এবং শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার দেশের রিজার্ভে দেখাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছে সরকার।

আইএমএফের মতে, সবমিলিয়ে বর্তমানে রিজার্ভে যে অর্থ দেখানো হচ্ছে, সেখান থেকে ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। সে হিসাবে সোমবার (২১ নভেম্বর) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মজুদ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৈদেশিক হিসাব মুদ্রার সঞ্চয়ন কমার ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসাব কাজ করছে প্রবাসীদের আয় পাঠানো কমে আসা ও আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি। অতীতে রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় এবং বিদেশি ঋণ ও সহায়তার মাধ্যমে আসা বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা হতো। করোনা মহামারিরর অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বৈশ্বিক অর্থনীতি সংকটে পড়লে মুদ্রাস্ফীতি অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে। আগে যে মূল্যে পণ্য আমদানি করা হতো, এখন সেই একই পণ্য আমদানিতে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বেশি ডলার গুনতে হচ্ছে।  ফলে ডলারের হাহাকার পড়ে গেছে। বৈদিশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে ও সরকারের আমদানি ব্যয় মেটাতে রিজার্ভ থেকে সরবারহ করতে হচ্ছে। প্রতিমাসেই কমছে রিজার্ভ।