শিরোনামঃ
জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান

আমদানিনির্ভর যন্ত্রাংশভিত্তিক প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে

#
news image

আমদানিনির্ভর যন্ত্রাংশভিত্তিক প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। ডলার সঙ্কটে যন্ত্রাংশ আমদানি ব্যাহত হওয়ায় ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশন বেশ কিছু প্রকল্পে সংশোধনী এনেছে। ফলে ওসব প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ব্যয়ও। তার মধ্যে আমদানিনির্ভর বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে আছে। ওসব প্রকল্পের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ যন্ত্রাংশই দেশের বাইরে থেকে আনতে হয়। পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিদ্যুৎ বিভাগের বিতরণ, সঞ্চালন, উৎপাদন, কারিগরি ওই চার ধরনের চলমান প্রকল্পগুলোর যন্ত্রাংশই আমদানিনির্ভর। ফলে ওসব প্রকল্প যথাসময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। কারণ ওসব প্রকল্পের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ যন্ত্রাংশ বা সরঞ্জাম ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আমদানি করতে হয়। তাছাড়া শুধু বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকল্প নয়, অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ও কারিগরি প্রকল্পগুলো নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব। প্রকল্প উন্নয়ন প্রস্তাব (ডিপিপি) বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডলারের দাম বাড়ায় নানা খাতে খরচ বাড়ছে। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে আর অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছে ১৬৮ কোটি ৮৩ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, ডলার সংকটের কারণে ব্যাংক সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের ঋণপত্র খুলছে না। তাতে রূপপুরের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে সঞ্চালন লাইন নির্মাণের যন্ত্রপাতি আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে শুরু করা যাচ্ছে না সঞ্চালন লাইনের কাজ। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিভাগ ব্যাংকে ঋণপত্র খোলার ব্যবস্থা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়েছে। বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলার জন্য দুই মাস ধরে পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) বিভিন্ন ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু কেউই ৫ হাজার ২৪০ কোটি টাকার ওই ঋণপত্র খুলতে রাজি হয়নি। ২০১৮ সালে পাবনার রূপপুরে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সঞ্চালন লাইনের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ওই প্রকল্পের আওতায় মোট ৭টি প্যাকেজ রয়েছে। যার মধ্যে ৬টি প্যাকেজের কাজ চলমান। তবে একটি প্যাকেজ (৬) নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ওই প্যাকেজের আওতায় সঞ্চালন লাইন নির্মাণের জন্য যমুনা নদীতে ১৪টি ও পদ্মা নদীতে দুটি টাওয়ার বসবে। দুটি নদীতে টাওয়ার বসাতে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হবে। যন্ত্রপাতি আমদানিতে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও তুরস্কের সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু ঋণপত্র খুলতে না পারায় যন্ত্রপাতি আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, ডলারের সংকটের কারণে দেশীয় অর্থায়নের প্রকল্পগুলো সময়মতো বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে আশঙ্কা আছে। কারণ সরকার এখন কোনো পরিস্থিতিতে রিজার্ভের অর্থ খরচ করবে না। সামনের দিনে কী হবে তা এখন বলা কঠিন। 

অনলাইন ডেস্ক

২৪ নভেম্বর, ২০২২,  12:13 AM

news image

আমদানিনির্ভর যন্ত্রাংশভিত্তিক প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। ডলার সঙ্কটে যন্ত্রাংশ আমদানি ব্যাহত হওয়ায় ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশন বেশ কিছু প্রকল্পে সংশোধনী এনেছে। ফলে ওসব প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ব্যয়ও। তার মধ্যে আমদানিনির্ভর বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে আছে। ওসব প্রকল্পের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ যন্ত্রাংশই দেশের বাইরে থেকে আনতে হয়। পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিদ্যুৎ বিভাগের বিতরণ, সঞ্চালন, উৎপাদন, কারিগরি ওই চার ধরনের চলমান প্রকল্পগুলোর যন্ত্রাংশই আমদানিনির্ভর। ফলে ওসব প্রকল্প যথাসময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। কারণ ওসব প্রকল্পের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ যন্ত্রাংশ বা সরঞ্জাম ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আমদানি করতে হয়। তাছাড়া শুধু বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকল্প নয়, অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ও কারিগরি প্রকল্পগুলো নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব। প্রকল্প উন্নয়ন প্রস্তাব (ডিপিপি) বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডলারের দাম বাড়ায় নানা খাতে খরচ বাড়ছে। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে আর অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছে ১৬৮ কোটি ৮৩ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, ডলার সংকটের কারণে ব্যাংক সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের ঋণপত্র খুলছে না। তাতে রূপপুরের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে সঞ্চালন লাইন নির্মাণের যন্ত্রপাতি আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে শুরু করা যাচ্ছে না সঞ্চালন লাইনের কাজ। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিভাগ ব্যাংকে ঋণপত্র খোলার ব্যবস্থা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়েছে। বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলার জন্য দুই মাস ধরে পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) বিভিন্ন ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু কেউই ৫ হাজার ২৪০ কোটি টাকার ওই ঋণপত্র খুলতে রাজি হয়নি। ২০১৮ সালে পাবনার রূপপুরে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সঞ্চালন লাইনের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ওই প্রকল্পের আওতায় মোট ৭টি প্যাকেজ রয়েছে। যার মধ্যে ৬টি প্যাকেজের কাজ চলমান। তবে একটি প্যাকেজ (৬) নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ওই প্যাকেজের আওতায় সঞ্চালন লাইন নির্মাণের জন্য যমুনা নদীতে ১৪টি ও পদ্মা নদীতে দুটি টাওয়ার বসবে। দুটি নদীতে টাওয়ার বসাতে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হবে। যন্ত্রপাতি আমদানিতে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও তুরস্কের সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু ঋণপত্র খুলতে না পারায় যন্ত্রপাতি আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, ডলারের সংকটের কারণে দেশীয় অর্থায়নের প্রকল্পগুলো সময়মতো বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে আশঙ্কা আছে। কারণ সরকার এখন কোনো পরিস্থিতিতে রিজার্ভের অর্থ খরচ করবে না। সামনের দিনে কী হবে তা এখন বলা কঠিন।