শিরোনামঃ
জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত

শীঘ্রই বেসরকারি খাতে জ্বালানি আমদানিঃ মন্ত্রিপরিষদ সচিব

#
news image

বেসরকারি খাতে ফুয়েল, ক্রুড অয়েল ও বিটুমিনসহ অন্যান্য জ্বালানি আমদানির জন্য খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় মন্ত্রিসভার সদস্যরা এ বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেছেন।

আলোচনায় ফুয়েলসহ অন্যান্য এনার্জি বেসরকারিভাবে আমদানির ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে ব্যাপারে কথা হয়। এ ক্ষেত্রে দুটি উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা। একটি, ফুয়েলসহ অন্যান্য এনার্জি নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করলে বেশি ভালো হবে কিনা। আরেকটি, যারা ক্রুড অয়েল আনবে, তারাই সেটা রিফাইন করবে কিনা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ছাড়া কেউ জ্বালানি বাজারজাত করতে পারে না।  

তিনি আরও বলেন, সাধারণত, ক্রুড অয়েল রিফাইন করে ৪১ থেকে ৪২ শতাংশ রিফাইনড অয়েল হয়। রিফাইনড অয়েলটা তারা বিপিসির কাছে দিবে কিনা অথবা তারা সরাসরি বাজারজাত করতে পারে কিনা সেটাও দেখতে হবে। তবে ক্রুড অয়েল ও বিটুমিনসহ অন্যান্য যে উপজাত পণ্য আসবে, এগুলো তারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করবে অথবা বাইরে রপ্তানি করবে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রিফাইনড অয়েলের বিষয়ে দুটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হয় তারা বিপিসির কাছে বিক্রি করে দিবে বা বিপিসি তাদের অন্য কোন ম্যাকানিজ কিংবা আইন সংশোধন করে বিক্রির অনুমতি দিবে। এক্ষেত্রে রিফাইনড অয়েল আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য কিনা সেটা বিএসটিআইকে মনিটরিং করতে হবে। এ সব বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনায় রাখতে বলা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে যেতে বলা হয়েছে।

তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) পাশাপাশি সরকারের কাছেও আসছে। এখন থেকে বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার চাইলে প্রয়োজনে ট্যারিফ বা মূল্য নির্ধারণ করতে পারবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের এখন বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) এগুলো (দাম সমম্বয়) সব হ্যান্ডেল করে। কিন্তু বিইআরসির কিছু কিছু জায়গায় একটু সমস্যা হয়, যেমন ৯০ দিন পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত না দিয়ে থাকতে পারে। কারণ আইনে বলা আছে বিইআরসি ৯০ দিনের মধ্যে এগুলো সব শুনানি নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। অনেক সময় আমাদের ইমিডিয়েট প্রয়োজন আসে, অনেক সময় তারা ঠিকভাবে ইয়ে (সমন্বয়) করতে পারে না। এখানে সংশোধনী আনা হচ্ছে।

অনলাইন ডেস্ক

২৯ নভেম্বর, ২০২২,  12:41 AM

news image

বেসরকারি খাতে ফুয়েল, ক্রুড অয়েল ও বিটুমিনসহ অন্যান্য জ্বালানি আমদানির জন্য খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় মন্ত্রিসভার সদস্যরা এ বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেছেন।

আলোচনায় ফুয়েলসহ অন্যান্য এনার্জি বেসরকারিভাবে আমদানির ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে ব্যাপারে কথা হয়। এ ক্ষেত্রে দুটি উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা। একটি, ফুয়েলসহ অন্যান্য এনার্জি নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করলে বেশি ভালো হবে কিনা। আরেকটি, যারা ক্রুড অয়েল আনবে, তারাই সেটা রিফাইন করবে কিনা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ছাড়া কেউ জ্বালানি বাজারজাত করতে পারে না।  

তিনি আরও বলেন, সাধারণত, ক্রুড অয়েল রিফাইন করে ৪১ থেকে ৪২ শতাংশ রিফাইনড অয়েল হয়। রিফাইনড অয়েলটা তারা বিপিসির কাছে দিবে কিনা অথবা তারা সরাসরি বাজারজাত করতে পারে কিনা সেটাও দেখতে হবে। তবে ক্রুড অয়েল ও বিটুমিনসহ অন্যান্য যে উপজাত পণ্য আসবে, এগুলো তারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করবে অথবা বাইরে রপ্তানি করবে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রিফাইনড অয়েলের বিষয়ে দুটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হয় তারা বিপিসির কাছে বিক্রি করে দিবে বা বিপিসি তাদের অন্য কোন ম্যাকানিজ কিংবা আইন সংশোধন করে বিক্রির অনুমতি দিবে। এক্ষেত্রে রিফাইনড অয়েল আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য কিনা সেটা বিএসটিআইকে মনিটরিং করতে হবে। এ সব বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনায় রাখতে বলা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে যেতে বলা হয়েছে।

তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) পাশাপাশি সরকারের কাছেও আসছে। এখন থেকে বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার চাইলে প্রয়োজনে ট্যারিফ বা মূল্য নির্ধারণ করতে পারবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের এখন বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) এগুলো (দাম সমম্বয়) সব হ্যান্ডেল করে। কিন্তু বিইআরসির কিছু কিছু জায়গায় একটু সমস্যা হয়, যেমন ৯০ দিন পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত না দিয়ে থাকতে পারে। কারণ আইনে বলা আছে বিইআরসি ৯০ দিনের মধ্যে এগুলো সব শুনানি নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। অনেক সময় আমাদের ইমিডিয়েট প্রয়োজন আসে, অনেক সময় তারা ঠিকভাবে ইয়ে (সমন্বয়) করতে পারে না। এখানে সংশোধনী আনা হচ্ছে।