শিরোনামঃ
সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ বিটিএ’র পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত পরিচালককে অভিনন্দন বিকাশ দেওয়ান ছিলেন একজন সফল এমডি জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ কক্সবাজার বঙ্গবন্ধু বীচ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বীচ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল শ্রমিক নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা সুচনাকে মেয়র হিসেবে গ্রহন করলেন ঢাকাস্থ কুমিল্লা মহানগর নাগরিক ফোরাম কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচের নতুন নাম ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন গ্রীস ফেরত অসুস্থ বেলায়েত হোসেনের পাশে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও ব্র্যাক

সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ

#
news image

* অনিশ্চয়তা আর শঙ্কায় চাকরি করছেন গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত নারীরা
* ৯ মাসেও তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেনি এলজিইডি
* তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতার দায়ভার নিতে নারাজ কর্মকর্তারা।

বিশেষ সংবাদদাতা

শ্লীলতাহানীর লিখিত অভিযোগের পরও বহাল তবিয়তে চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন এলজিইডি'র গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম। কর্মস্থলে নারী কর্মীকে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলমকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর সদর দপ্তর থেকে রাঙামাটিতে স্ট্যান্ড রিলিজসহ বদলিও করা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে রাঙামাটিতে যোগদান না করে ঢাকায় অবস্থান করেন এবং বদলীর আদেশ বাতিল করে পুনরায় ঢাকায় একই কর্মস্থলেই থেকে যান।
একই অফিসে অভিযোগ কারী নারীকে কাজ করতে বাধ্য করছে প্রকল্প কর্মকর্তারা। যৌন নিপীড়নকারী উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফের ভয়ে অভিযোগকারিনী লায়লাসহ অনান্যনারী কর্মীরাও প্রতিনিয়ত আতংকে দিনযাপন করছে। অভিযোগ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প একটি হরিলুটের প্রকল্প। কয়েকজন প্রভাবশালী পৌর মেয়র ও এই এই প্রকল্পের কয়েকজন দূর্নীতিবাজের নিয়ন্ত্রনে।অবসরে যাওয়া পূর্বতন প্রকল্প পরিচালক কাজী মো. মিজানুর রহমানের সীমাহীন ঘুষ দূর্নীতির দূর্গ তৈরি করে দূর্নীতির বরপুত্র হিসেবে খেতাব প্রাপ্ত হয়েছেন। দূর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তকারী কর্মকর্তা দফায় দফায় তদন্ত করেও চাকরীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় অদৃশ্য কোন কারণে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি ।তদন্তের দীর্ঘসুত্রতার সুযোগে উপ প্রধান প্রকৌশলীর প্রশ্নবিদ্ধ পদোন্নতি হাতিয়ে নিয়ে এই প্রকল্পের দূর্নীতি ঢেকে রাখতে মন্ত্রণালয়ে তদবির করে, নিজেদের পছন্দ মতো সাতক্ষীরা কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী সুজায়েত কে পিডি'র দায়িত্বে দিয়েছেন । অভি যোগ রয়েছে গুরুত্বপুর্ন নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বর্তমান পিডিকে সাতক্ষীরা থেকে এই প্রকল্প পরিচালকের পদটি বাগিয়ে দিতে মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিব যিনি একসময়ে কক্সবাজার কর্মরত ছিলেন । বর্তমান প্রকল্প পরিচালক যখন সাতক্ষীরায় নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় নানা আইন বহির্ভূত কাজে যুক্তছিল বলে এই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি জানিয়েছেন। প্রকৌশলী সুজায়েত'র আগে এই প্রকল্পে ফরিদপুরে কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলীকে মাত্র কয়েক দিনের জন্য প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পূর্বতন প্রকল্প পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান এবং তার সিন্ডিকেট বর্তমান পিডিকে নিজেদের অপরাধ লুকাতেই এখানে দায়িত্বে দিতে উলঙ্গ ভুমিকা নিয়েছে। কারন গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে তরিকুল -রকিবুল -আশরাফুল সিন্ডিকেট কাজী মিজানের অবসরে যাবার পরে আগের লুটপাট আর করতে পারবে না অথবা আগের দূর্নীতি লুকিয়ে রাখতে পারবে না এই ভয়ে তার চেয়েও একধাপ আগিয়ে থাকা মো. সুজায়েত হোসেনকে এই প্রকল্পে কোটি টাকা খরচ করে পুর্নবাসন করেছে।
এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের একাধিক সূত্র এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একটি প্রকল্পে একজন পিডি নিয়োগের পরে মাত্র একমাসেরও কম সময়ে কাউকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া এটি এলজিইডি'র একটি বিরল ঘটনা বলে অনেকে মনে করেন । একাধিক
অভিযোগকারী'র তথ্যের ভিত্তিতে এবং গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) প্রকল্প পরিচালের দপ্তরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (আউট সোর্সিং) লায়লা জানান, বিগত ১৫/১০/২০২১ তারিখে ততকালীন প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশে সাইট পরিদর্শনে যাওয়ার পর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ গল্প করার ছলে হোটেল রুমে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। একজন নারী হিসেবে লোকজ মান সম্মানের ভয়ে বিষয়টি আমি গোপন রাখি। কিন্তু আশরাফ প্রতিনিয়তই আমাকে সাইটে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানসিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করতো। তাছাড়া আমাকে নানা ভাবে তার আশপাশের লোকজন মিলে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে বাসায় অথবা রিসোর্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাছাড়া অফিসে আমার সাথে কৃতদাসের মতো আচরণ শুরু করে। পরবর্তীতে আমি উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ জানাই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে রাঙামাটি ও ফরিদপুরে বদলী করা হলেও তিনি ক্ষমতার দাপটে বদলীর আদেশ দুইবারই বাতিল করে ঢাকায় একই প্রকল্পেই এলজিইডিতে আবার কাজে যুক্ত রয়েছেন। একাধিক এই ঘটনায় পরপর দুইবার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের অপারগতা প্রকাশ করে তদন্তভার ছেড়ে দেয়ার পর বর্তমানে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করছেন। বিগত ৯ মাসেও উক্ত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। এই অভিযোগের পরও আশরাফ কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে থাকায় আমিসহ অন্যান্য নারী কর্মীরা শঙ্কার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এভাবে যদি তদন্তে কালক্ষেপন করা হয় তাহলে আমি ফৌজদারী আইনের সহায়তা নিতে বাধ্য হবো বলে এই প্রতিবেদকে জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিযোগ কারী লায়লা।।

এবিষয়ে প্রকল্প পরিচালক সুজায়েত হোসেন বলেন, শুনেছি গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) প্রকল্প পরিচালের দপ্তরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (আউট সোর্সিং) লায়লা প্রধান প্রকৌশলীর কাছে উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করেছে। তবে এ বিষয়ে বেশ জটিতলা দেখা যাচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে একসময়ে কর্মরত সহকারী

প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম বলেন, পিডি হিসেবে সুজায়েত সাহেব দায়িত্ব গ্রহনের পরই আমার সামনেই আশরাফ গং লায়লাকে মারধোর করে জামা কাপড়ও ছিড়ে ফেলে এ বিষয়টা অফিসের সবাই প্রত্যক্ষ করেছে।

এ বিষয়ে প্রকৌশলী প্রশাসন (তদন্ত) শরীফ উদ্দিন বলেন, আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে তিনি সেই কারণ দর্শানোর লিখিত জবাব দিয়েছেন। এখন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত দেবেন।

তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন বলেছেন, অভিযোগের বিষয়টি আমি প্রশাসন বিভাগে যোগদানের পূর্বের ঘটনা। তবুও যেহেতু শ্লীলতাহানীর অভিযোগ রয়েছে তাই শীঘ্রই তদন্তের কাজটা সমাধান হওয়া উচিত ছিল। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ২ জন তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করতে অস্বীকার করায় এখন তৃতীয় দফায় সুপারেন্টেন্ড ইঞ্জিনিয়ার শেখ মো.নুরুল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করছেন। শীঘ্রই এর তদন্ত সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন তিনি।

উক্ত অভিযোগের বিষয়ে উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে লিখিত জবাব দিয়েছি। এই বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ মার্চ, ২০২৪,  3:24 AM

news image

* অনিশ্চয়তা আর শঙ্কায় চাকরি করছেন গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত নারীরা
* ৯ মাসেও তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেনি এলজিইডি
* তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতার দায়ভার নিতে নারাজ কর্মকর্তারা।

বিশেষ সংবাদদাতা

শ্লীলতাহানীর লিখিত অভিযোগের পরও বহাল তবিয়তে চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন এলজিইডি'র গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম। কর্মস্থলে নারী কর্মীকে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলমকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর সদর দপ্তর থেকে রাঙামাটিতে স্ট্যান্ড রিলিজসহ বদলিও করা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে রাঙামাটিতে যোগদান না করে ঢাকায় অবস্থান করেন এবং বদলীর আদেশ বাতিল করে পুনরায় ঢাকায় একই কর্মস্থলেই থেকে যান।
একই অফিসে অভিযোগ কারী নারীকে কাজ করতে বাধ্য করছে প্রকল্প কর্মকর্তারা। যৌন নিপীড়নকারী উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফের ভয়ে অভিযোগকারিনী লায়লাসহ অনান্যনারী কর্মীরাও প্রতিনিয়ত আতংকে দিনযাপন করছে। অভিযোগ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প একটি হরিলুটের প্রকল্প। কয়েকজন প্রভাবশালী পৌর মেয়র ও এই এই প্রকল্পের কয়েকজন দূর্নীতিবাজের নিয়ন্ত্রনে।অবসরে যাওয়া পূর্বতন প্রকল্প পরিচালক কাজী মো. মিজানুর রহমানের সীমাহীন ঘুষ দূর্নীতির দূর্গ তৈরি করে দূর্নীতির বরপুত্র হিসেবে খেতাব প্রাপ্ত হয়েছেন। দূর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তকারী কর্মকর্তা দফায় দফায় তদন্ত করেও চাকরীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় অদৃশ্য কোন কারণে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি ।তদন্তের দীর্ঘসুত্রতার সুযোগে উপ প্রধান প্রকৌশলীর প্রশ্নবিদ্ধ পদোন্নতি হাতিয়ে নিয়ে এই প্রকল্পের দূর্নীতি ঢেকে রাখতে মন্ত্রণালয়ে তদবির করে, নিজেদের পছন্দ মতো সাতক্ষীরা কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী সুজায়েত কে পিডি'র দায়িত্বে দিয়েছেন । অভি যোগ রয়েছে গুরুত্বপুর্ন নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বর্তমান পিডিকে সাতক্ষীরা থেকে এই প্রকল্প পরিচালকের পদটি বাগিয়ে দিতে মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিব যিনি একসময়ে কক্সবাজার কর্মরত ছিলেন । বর্তমান প্রকল্প পরিচালক যখন সাতক্ষীরায় নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় নানা আইন বহির্ভূত কাজে যুক্তছিল বলে এই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি জানিয়েছেন। প্রকৌশলী সুজায়েত'র আগে এই প্রকল্পে ফরিদপুরে কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলীকে মাত্র কয়েক দিনের জন্য প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পূর্বতন প্রকল্প পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান এবং তার সিন্ডিকেট বর্তমান পিডিকে নিজেদের অপরাধ লুকাতেই এখানে দায়িত্বে দিতে উলঙ্গ ভুমিকা নিয়েছে। কারন গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে তরিকুল -রকিবুল -আশরাফুল সিন্ডিকেট কাজী মিজানের অবসরে যাবার পরে আগের লুটপাট আর করতে পারবে না অথবা আগের দূর্নীতি লুকিয়ে রাখতে পারবে না এই ভয়ে তার চেয়েও একধাপ আগিয়ে থাকা মো. সুজায়েত হোসেনকে এই প্রকল্পে কোটি টাকা খরচ করে পুর্নবাসন করেছে।
এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের একাধিক সূত্র এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একটি প্রকল্পে একজন পিডি নিয়োগের পরে মাত্র একমাসেরও কম সময়ে কাউকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া এটি এলজিইডি'র একটি বিরল ঘটনা বলে অনেকে মনে করেন । একাধিক
অভিযোগকারী'র তথ্যের ভিত্তিতে এবং গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) প্রকল্প পরিচালের দপ্তরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (আউট সোর্সিং) লায়লা জানান, বিগত ১৫/১০/২০২১ তারিখে ততকালীন প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশে সাইট পরিদর্শনে যাওয়ার পর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ গল্প করার ছলে হোটেল রুমে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। একজন নারী হিসেবে লোকজ মান সম্মানের ভয়ে বিষয়টি আমি গোপন রাখি। কিন্তু আশরাফ প্রতিনিয়তই আমাকে সাইটে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানসিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করতো। তাছাড়া আমাকে নানা ভাবে তার আশপাশের লোকজন মিলে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে বাসায় অথবা রিসোর্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাছাড়া অফিসে আমার সাথে কৃতদাসের মতো আচরণ শুরু করে। পরবর্তীতে আমি উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ জানাই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে রাঙামাটি ও ফরিদপুরে বদলী করা হলেও তিনি ক্ষমতার দাপটে বদলীর আদেশ দুইবারই বাতিল করে ঢাকায় একই প্রকল্পেই এলজিইডিতে আবার কাজে যুক্ত রয়েছেন। একাধিক এই ঘটনায় পরপর দুইবার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের অপারগতা প্রকাশ করে তদন্তভার ছেড়ে দেয়ার পর বর্তমানে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করছেন। বিগত ৯ মাসেও উক্ত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। এই অভিযোগের পরও আশরাফ কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে থাকায় আমিসহ অন্যান্য নারী কর্মীরা শঙ্কার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এভাবে যদি তদন্তে কালক্ষেপন করা হয় তাহলে আমি ফৌজদারী আইনের সহায়তা নিতে বাধ্য হবো বলে এই প্রতিবেদকে জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিযোগ কারী লায়লা।।

এবিষয়ে প্রকল্প পরিচালক সুজায়েত হোসেন বলেন, শুনেছি গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) প্রকল্প পরিচালের দপ্তরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (আউট সোর্সিং) লায়লা প্রধান প্রকৌশলীর কাছে উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করেছে। তবে এ বিষয়ে বেশ জটিতলা দেখা যাচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে একসময়ে কর্মরত সহকারী

প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম বলেন, পিডি হিসেবে সুজায়েত সাহেব দায়িত্ব গ্রহনের পরই আমার সামনেই আশরাফ গং লায়লাকে মারধোর করে জামা কাপড়ও ছিড়ে ফেলে এ বিষয়টা অফিসের সবাই প্রত্যক্ষ করেছে।

এ বিষয়ে প্রকৌশলী প্রশাসন (তদন্ত) শরীফ উদ্দিন বলেন, আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে তিনি সেই কারণ দর্শানোর লিখিত জবাব দিয়েছেন। এখন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত দেবেন।

তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন বলেছেন, অভিযোগের বিষয়টি আমি প্রশাসন বিভাগে যোগদানের পূর্বের ঘটনা। তবুও যেহেতু শ্লীলতাহানীর অভিযোগ রয়েছে তাই শীঘ্রই তদন্তের কাজটা সমাধান হওয়া উচিত ছিল। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ২ জন তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করতে অস্বীকার করায় এখন তৃতীয় দফায় সুপারেন্টেন্ড ইঞ্জিনিয়ার শেখ মো.নুরুল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করছেন। শীঘ্রই এর তদন্ত সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন তিনি।

উক্ত অভিযোগের বিষয়ে উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে লিখিত জবাব দিয়েছি। এই বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না।