শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের খাবার না পাওয়ার অভিযোগ 

#
news image

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে খাওয়া-দাওয়া সবই ফ্রি পাওয়া যায়। কিন্তু পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থেকেও এক বেলা খাবার পাননি মালেকা বেগম। একই অভিযোগ করেন, মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডের প্রায় দেড় শতাধিক রোগী ও তার স্বজনরা। অভিযোগ রয়েছে চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মেডিসিন, সার্জারি, কার্ডিওলজি, গাইনি, শিশুসহ করোনা ইউনিটে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০-৩৮০ জন পর্যন্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। কিন্তু সরকারিভাবে খাবার বরাদ্দ রয়েছে ২৫০ জনের। একজন রোগীর জন্য প্রতিদিনের ৩ বেলা খাবার বরাদ্দ ভ্যাটসহ ১২৫ টাকা। সাড়ে ১২% ভ্যাট বাদ দিলে জনপ্রতি বরাদ্দ দাড়ায় ১১৫ টাকা এবং করোনা (কোভিড-১৯) রোগীর জন্য ৩০০ টাকা। মেডিসিন ওয়ার্ডে হরিপুর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন মাইনুল হক বলেন, চারদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। একদিনও হাসপাতাল থেকে খাবার পাইনি। ওষুধপত্রসহ সব কিছুই বাইরে থেকে কিনতে হয়। তাহলে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লাভ কী? আমরা গরিব মানুষ সরকারি হাসপাতালে সব কিছু ফ্রি পাব। কিন্তু ফ্রি তো দূরের কথা সবকিছুই কিনতে হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন বালিয়াডাঙ্গী থেকে চিকিৎসা নিতে আসা হিরা আক্তার ও শরিফুল ইসলামসহ অনেকে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা নিপুন চন্দ্র বলেন, আমাদের করার কিছুই নেই। যা বরাদ্দ সে অনুযায়ী সাপ্লাই দিয়ে থাকি। স্ব-স্ব ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা আমাদের কাছ থেকে বুঝে নেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৪-৫শ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। পূর্বের লোকবল দিয়ে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ছোট-খাটো কিছু ত্রুটি থাকতেই পারে। সেগুলো শোনার সঙ্গে সঙ্গে ওভারকাম করছি। ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের লোকবল পেলে সমস্যাগুলো কেটে ওঠা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

প্রখ/ সাদ্দাম

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

০৯ এপ্রিল, ২০২২,  6:10 AM

news image

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে খাওয়া-দাওয়া সবই ফ্রি পাওয়া যায়। কিন্তু পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থেকেও এক বেলা খাবার পাননি মালেকা বেগম। একই অভিযোগ করেন, মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডের প্রায় দেড় শতাধিক রোগী ও তার স্বজনরা। অভিযোগ রয়েছে চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মেডিসিন, সার্জারি, কার্ডিওলজি, গাইনি, শিশুসহ করোনা ইউনিটে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০-৩৮০ জন পর্যন্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। কিন্তু সরকারিভাবে খাবার বরাদ্দ রয়েছে ২৫০ জনের। একজন রোগীর জন্য প্রতিদিনের ৩ বেলা খাবার বরাদ্দ ভ্যাটসহ ১২৫ টাকা। সাড়ে ১২% ভ্যাট বাদ দিলে জনপ্রতি বরাদ্দ দাড়ায় ১১৫ টাকা এবং করোনা (কোভিড-১৯) রোগীর জন্য ৩০০ টাকা। মেডিসিন ওয়ার্ডে হরিপুর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন মাইনুল হক বলেন, চারদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। একদিনও হাসপাতাল থেকে খাবার পাইনি। ওষুধপত্রসহ সব কিছুই বাইরে থেকে কিনতে হয়। তাহলে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লাভ কী? আমরা গরিব মানুষ সরকারি হাসপাতালে সব কিছু ফ্রি পাব। কিন্তু ফ্রি তো দূরের কথা সবকিছুই কিনতে হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন বালিয়াডাঙ্গী থেকে চিকিৎসা নিতে আসা হিরা আক্তার ও শরিফুল ইসলামসহ অনেকে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা নিপুন চন্দ্র বলেন, আমাদের করার কিছুই নেই। যা বরাদ্দ সে অনুযায়ী সাপ্লাই দিয়ে থাকি। স্ব-স্ব ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা আমাদের কাছ থেকে বুঝে নেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৪-৫শ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। পূর্বের লোকবল দিয়ে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ছোট-খাটো কিছু ত্রুটি থাকতেই পারে। সেগুলো শোনার সঙ্গে সঙ্গে ওভারকাম করছি। ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের লোকবল পেলে সমস্যাগুলো কেটে ওঠা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

প্রখ/ সাদ্দাম