শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

কালকিনি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম এখন  গরুহাট

#
news image

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় শেখ রাসেলের নামে নির্মিত মিনি স্টেডিয়াম এখন গরুর হাট। এতে স্থানীয় তরুনদের খেলাধূলা ব্যাহত হচ্ছে। তবে স্থানীয় মেয়রের দাবি এখানে কোন স্টেডিয়াম নেই। এটা দীর্ঘদিনের গরুর হাট।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌরসভার চর ঠেঙ্গামারা এলাকায় নদীর পাড়ের বিশাল অংশজুড়ে মাঠ ছিল। এই মাঠে ২০১৭ সালে ১৭ ডিসেম্বর তৎকালীন এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ মাঠটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে নামকরণ করে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের আওতায় বিপুল পরিমান টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে। পাশেই পাকাঘর, শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সেই মাঠেই কালকিনি পৌরসভার আয়োজনে গরুর হাট বসানো হয়েছে। এতে করে ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মোল্লা বলেন, ‘এই মাঠে প্রতিদিন বিকেলে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করে। বড় খেলার আয়োজনও করা হয় মাঝে মধ্যে।’

কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই মাঠটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে শেখ রাসেলের নামে। এখানে গরুর হাট না বসিয়ে অন্য কোথাও বসানো উচিত ছিলো। কিন্তু পৌরসভার মেয়র তার ক্ষমতা বলে এই কাজ করেছে। কাজটি ঠিক করেননি। আমরা চাই গরুর হাটটি অপসারণ করা হোক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কালকিনি পৌরসভার চর ঠেঙ্গামারা এলাকায় নির্মিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম জুড়ে বাঁশের বেড়া দিয়ে গরুহাট তৈরি করা হয়েছে। বাঁশের বেড়ার সাথে গরু বেঁধে রাখা হয়েছে বিক্রির জন্য।

মাদারীপুর জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. বকতিয়ার রহমান গাজী বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলাতেই শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম রয়েছে। কালকিনিতেও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম আছে।

গরুহাট বসানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি স্টেডিয়ামে কেউ হাট বসাতে চায় তাইলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। কালকিনি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে গরুহাট বসাতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমতি দিয়েছে বলে আমার জানা নেই।’ তবে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি বিষয়টা ভালো জানেন বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি পিংকী সাহা বলেন, ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম তো আমাদের মাঠ। ওখানে গরুহাটের অনুমতি দেয়া হয়নি। আমরা কালকিনিতে ১৫টি হাটের অনুমতি দিয়েছি। সেই তালিকায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নেই। আমি মাঠটি পরিদর্শন করে দেখবো।’

তবে ভিন্ন কথা বললেন কালকিনি পৌর মেয়র এস এম হানিফ। তিনি বলেন, পৌরসভা থেকে গরুর হাটের জন্য একটি জমি অধিগ্রহণ করা। এটা দীর্ঘদিনে গরুর হাট। সেই জমিতে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের নামে কারা যেন একটি ঘর নির্মাণ করেছে। কারা এই ঘর করেছে কাদের কাছে ঘর হস্তান্তর করেছে জানি না। এই গরুহাটকে স্টেডিয়ামে রুপান্তর করেছে এমন কোন কাগজপত্রও আমরা পাইনি।

স্টেডিয়ামের কোন কার্যক্রমও নেই বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, স্টেডিয়াম হলে তো মেয়র হিসেবে আমি জানবো। আমি জানি না। তৎকালীন সংসদ সদস্য স্থানীয়দের দাবি পরিপ্রেক্ষিতে স্টেডিয়ামের একটি ঘোষণা দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এখনও হয়নি।

জেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুর

০৫ জুলাই, ২০২২,  12:08 AM

news image

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় শেখ রাসেলের নামে নির্মিত মিনি স্টেডিয়াম এখন গরুর হাট। এতে স্থানীয় তরুনদের খেলাধূলা ব্যাহত হচ্ছে। তবে স্থানীয় মেয়রের দাবি এখানে কোন স্টেডিয়াম নেই। এটা দীর্ঘদিনের গরুর হাট।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌরসভার চর ঠেঙ্গামারা এলাকায় নদীর পাড়ের বিশাল অংশজুড়ে মাঠ ছিল। এই মাঠে ২০১৭ সালে ১৭ ডিসেম্বর তৎকালীন এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ মাঠটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে নামকরণ করে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের আওতায় বিপুল পরিমান টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে। পাশেই পাকাঘর, শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সেই মাঠেই কালকিনি পৌরসভার আয়োজনে গরুর হাট বসানো হয়েছে। এতে করে ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মোল্লা বলেন, ‘এই মাঠে প্রতিদিন বিকেলে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করে। বড় খেলার আয়োজনও করা হয় মাঝে মধ্যে।’

কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই মাঠটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে শেখ রাসেলের নামে। এখানে গরুর হাট না বসিয়ে অন্য কোথাও বসানো উচিত ছিলো। কিন্তু পৌরসভার মেয়র তার ক্ষমতা বলে এই কাজ করেছে। কাজটি ঠিক করেননি। আমরা চাই গরুর হাটটি অপসারণ করা হোক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কালকিনি পৌরসভার চর ঠেঙ্গামারা এলাকায় নির্মিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম জুড়ে বাঁশের বেড়া দিয়ে গরুহাট তৈরি করা হয়েছে। বাঁশের বেড়ার সাথে গরু বেঁধে রাখা হয়েছে বিক্রির জন্য।

মাদারীপুর জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. বকতিয়ার রহমান গাজী বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলাতেই শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম রয়েছে। কালকিনিতেও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম আছে।

গরুহাট বসানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি স্টেডিয়ামে কেউ হাট বসাতে চায় তাইলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। কালকিনি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে গরুহাট বসাতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমতি দিয়েছে বলে আমার জানা নেই।’ তবে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি বিষয়টা ভালো জানেন বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি পিংকী সাহা বলেন, ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম তো আমাদের মাঠ। ওখানে গরুহাটের অনুমতি দেয়া হয়নি। আমরা কালকিনিতে ১৫টি হাটের অনুমতি দিয়েছি। সেই তালিকায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নেই। আমি মাঠটি পরিদর্শন করে দেখবো।’

তবে ভিন্ন কথা বললেন কালকিনি পৌর মেয়র এস এম হানিফ। তিনি বলেন, পৌরসভা থেকে গরুর হাটের জন্য একটি জমি অধিগ্রহণ করা। এটা দীর্ঘদিনে গরুর হাট। সেই জমিতে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের নামে কারা যেন একটি ঘর নির্মাণ করেছে। কারা এই ঘর করেছে কাদের কাছে ঘর হস্তান্তর করেছে জানি না। এই গরুহাটকে স্টেডিয়ামে রুপান্তর করেছে এমন কোন কাগজপত্রও আমরা পাইনি।

স্টেডিয়ামের কোন কার্যক্রমও নেই বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, স্টেডিয়াম হলে তো মেয়র হিসেবে আমি জানবো। আমি জানি না। তৎকালীন সংসদ সদস্য স্থানীয়দের দাবি পরিপ্রেক্ষিতে স্টেডিয়ামের একটি ঘোষণা দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এখনও হয়নি।